সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার 'বাঁশি পদ্ধতি'

চীনে শিশুদের জন্য বিশেষ টুপি
চীনে শিশুদের জন্য বিশেষ টুপি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বরাবরই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে মজার সব পদ্ধতিও ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকে মাথায় একধরনের বিশাল ক্যাপ ব্যবহার করছেন। যার পাশে পাখাসদৃশ দুটি বস্তু লাগানো হয়েছে। দেড় মিটারের মতো গোলাকার এসব টুপি চীনের বিভিন্ন স্কুলে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত, এমন কিছু পরিধান করা, যা অন্যকে তোমার থেকে দূরে রাখবে। এ রকমই মজার এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে ইংল্যান্ডের একটি পার্কে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডাক হুইসেল। ছবি: কফটন হলিডেস
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডাক হুইসেল। ছবি: কফটন হলিডেস

বিভিন্ন দেশে পশুপাখিকে ঘরে ফেরানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বাঁশি ব্যবহার করা হয়। হাঁসের জন্য ব্যবহার করা হয় ‘ডাক হুইসেল’। এই বাঁশি বাজিয়ে খামারিরা হাঁসকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারে। তোমরা অনেকেই হয়তো নিজের পোষা প্রাণীকে বিভিন্ন নামে ডাকো। আবার বিভিন্ন শব্দ করলেও তারা সাড়া দেয়। অনেকটা সে রকমই বলতে পারো। আবার অনেকেই দেখেছ, বিভিন্ন মুভিতে বিন বাজিয়ে সাপ বশে আনা হয়। ঘটনাটা সে রকমও বলা যায়। তবে হ্যাঁ, সাপের জন্য বিন বাজানোর বিষয়টি কিন্তু কাল্পনিক। কারণ, সাপ শুনতে পায় না।

নিজের আগমনের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করার জন্যই বাঁশির ব্যবহার
নিজের আগমনের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করার জন্যই বাঁশির ব্যবহার

পরিবার নিয়ে অনেকেই ছুটিতে বের হয়। বিভিন্ন পার্কে গিয়ে পিকনিকের আয়োজন করে। কিন্তু করোনাভাইরাসের অতিমারির পর সব বন্ধ। বিভিন্ন দেশে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও অনেক নিয়ম মেনে চলছে।

তেমনই ইংল্যান্ডের ডেভোনে একটি পার্কে ঘুরতে আসা মানুষদের বাঁশি দেওয়া হচ্ছে। চলাচলের সময় সবাই সেই বাঁশি বাজাচ্ছে, মনে করিয়ে দিচ্ছে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সঙ্গে অনেক কড়া নিয়ম তো আছেই। রিসোর্টটিতে আসা প্রত্যেক অতিথিকে এই বাঁশি দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ সাইকেল চালাচ্ছে, কেউবা জগিং করছে। কিন্তু সবার গলায় বাঁশি ঝোলানো আছে। রাস্তায় গাড়ির যেমন হর্ন দেওয়া লাগে, পার্কেও ঘোরাঘুরির সময় সবাই বাঁশি বাজিয়ে আগেভাগেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে আমি আসছি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।

কফটন হলিডেস পার্কের পরিচালক মূলত হাঁসের পাল দেখেই এই আইডিয়া পান। এরপরই ২৪ বাক্স বাঁশিও ফরমাশ দিয়ে দেন। মনে হতে পারে, বাঁশি বাজিয়ে বেড়ানো কাজটা মনে হয় বিরক্তিকর। কিন্তু দেখা গেছে, এতে আসলেই উপকার হচ্ছে এবং অতিথিরা বেশ মজাও পাচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চারা। কারণ, বাঁশি থেকে তো আসলে হাঁসের ডাক শোনা যাচ্ছে।

জার্মানির বার্গার কিংয়ের সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ক্রাউন। ছবি: বার্গার কিং জার্মানি
জার্মানির বার্গার কিংয়ের সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ক্রাউন। ছবি: বার্গার কিং জার্মানি

তোমরা হয়তো জানো আমাদের দেশেও গণপরিবহনে বেশ কড়াকড়ি করা হচ্ছে। সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে বসতে হচ্ছে। এ জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আমাদেরও অনেক ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার ব্যাপারটা তো আছেই।

(মিরর ডট কো)