সূর্যের কাছে পার্কার

২০১৮ সালের ১২ আগস্ট দুপুরের কথা। নাসা একটা নতুন মহাকাশযান আকাশে পাঠাচ্ছে। নাসা তো কয়েক দিন পরপরই আকাশে কিছু না কিছু পাঠায়। তারপরও আমার মধ্যে উত্তেজনা কাজ করতে লাগল। ইউটিউবে নাসার মহাকাশযান লঞ্চিং দেখতে লাগলাম। কারণ, এই মহাকাশযানে করে আমার নাম সূর্যে পাঠাচ্ছে নাসা। আমার নাম যে নাসা পাঠাচ্ছে, তার একটা সার্টিফিকেটও নাসা আমাকে দিয়েছে। অবশ্য শুধু আমার নামই যে পাঠাচ্ছে তা নয়, আরও ১১ লাখ মানুষের নামও দেওয়া আছে একটা ছোট্ট মেমোরি কার্ডে। ওই মেমোরি কার্ডে ১১ লাখ মানুষের নাম ছাড়াও আছে বিজ্ঞানী ইউজিন পার্কারের ছবি এবং তাঁর একটা গবেষণাপত্র। কারণ, ইউজিন পার্কারের ১৯৫৮ সালের ওই গবেষণাপত্রের হাত ধরে উদ্ভূত নানা প্রশ্নের সমাধান করতে এই মহাকাশযানটা যাচ্ছে সূর্যের দিকে। আর মহাকাশযানটার নামই তাই পার্কার সোলার প্রোব। পার্কারই পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি, যিনি নাসার একটা মহাকাশযান নিজের নামে উড়তে দেখলেন। এর আগে কখনো নাসা মহাকাশযানের নাম জীবিত কোনো ব্যক্তির নামে রাখেনি।

পার্কার মহাকাশযানে আমার বা আরও লাখো মানুষের নাম আছে বলেই যে এটা গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয়। এই অভিযানে পার্কার সূর্যের খুব কাছে চলে যাবে।

তোমরা নিশ্চয়ই ইকারাসের গল্পটা জানো। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, ইকারাসের বাবা ডিডেলাস তাকে দুটি পাখা বানিয়ে দিয়েছিল। পাখা দুটি ছিল পালক আর মোম দিয়ে বানানো। ডিডেলাস সতর্ক করে দিয়েছিল, ইকারাস যাতে খুব বেশি ওপরের দিকে না ওড়ে। কারণ, সূর্যের কাছে গেলে তাপে মোম গলে যাবে। কিন্তু ইকারাস ওড়ার সময় তার বাবার কথা শোনেনি। উড়তে উড়তে সূর্যের কাছে চলে গিয়েছে। ফলাফল মোম গলে ইকারাস সাগরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাই ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘Don’t fly too close to the sun’।

এখন দেখো, নাসা পার্কারকে সূর্যের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সূর্যের ৩৮ লাখ মাইলের মধ্যে চলে যাবে পার্কার। ৩৮ লাখ মাইল কিন্তু অনেক দূর। কিন্তু সূর্যের তাপের হিসাবে এ অনেক বেশি কাছে। এর আগে কখনো কোনো মহাকাশযান বা মানুষের বানানো কোনো কিছু সূর্যের এত কাছে যায়নি। ওই জায়গায় রোদের তেজ পৃথিবীর ৪৭৫ গুণ বেশি। বাসা থেকে বাইরে বেরোলেই আমাদের রোদের তেজে গা পুড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। চিন্তা করে দেখো, সেখানে পার্কারের কী অবস্থা হবে। রোদের তেজে ইকারাসের পাখার মতোই গলে যাওয়ার কথা।

রোদে বেরোলে তুমি কী করো? একটা ছাতা নিয়ে বের হও। নাসাও এই সহজ বুদ্ধিই ব্যবহার করেছে। একটা ছাতা দিয়ে দিয়েছে পার্কারের মাথায়। ছাতাটা বানিয়েছে রিইনফোর্সড কার্বন-কার্বন কম্পোজিট দিয়ে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় কার্বন দিয়ে বানানো এই বস্তু ১৩৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রাও দিব্যি সহ্য করতে পারে। তোমরা নিশ্চয় দেখেছ, ট্রাফিক পুলিশের ছাতার ওপর একটা সাদা কাপড় লাগানো থাকে। সাদা রঙের সবকিছু আলো প্রতিফলন করতে পারে বেশি, এ জন্যই এই ব্যবস্থা। কার্বন-কার্বন কম্পোজিটের ওপর একটা অ্যালুমিনিয়ামের স্তর লাগিয়ে দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাতে ছাতাটা হয়ে গেছে চকচকে আয়নার মতো। সূর্যের তাপ, মানে রোদের একটা বড় অংশ তাই প্রতিফলিত হয়ে যাবে। পার্কারের সব যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে ওই ছাতার ছায়ায়।

জানোই তো, সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় ৮ মিনিট লাগে। তাই পার্কার যখন সূর্যের খুব কাছে চলে যাবে, তখন পৃথিবী থেকে কোনো আদেশ দিলে তা পার্কারে পৌঁছাতে ৮ মিনিট লেগে যাবে। পার্কার থেকে কোনো তথ্য পৃথিবীতে পৌঁছাতেও সময় লাগবে ৮ মিনিট। পার্কার তো অনেক দ্রুত চলতে থাকবে। একটু এদিক–সেদিক হলেই ছাতার পাশ দিয়ে মূল মহাকাশযানে রোদ পড়তে পারে। আর ৮ + ৮ = ১৬ মিনিট ধরে রোদে থাকলে পার্কারের সব যন্ত্রই পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। তাই ছাতাটাকেই বানানো হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। ছাতাটা নিজেই দিক ঠিক করে নিতে পারে রোদের দিক বুঝে।

পার্কারের আকার কিন্তু খুব বড় নয়। একটা ছোট গাড়ির সমান। ৬৩৫ কেজি ভরের পার্কারের ছাতার ভরই ৭৩ কেজি। বাকিটা যন্ত্রপাতি। মজার ব্যাপার হলো, এই মহাকাশযানে দুটি সোলার প্যানেল দেওয়া আছে। ওই দুটি সোলার প্যানেল দিয়েই পুরো পার্কারের শক্তির চাহিদা মেটানো হবে। সোলার প্যানেল দুটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৩৮৮ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। মাত্র দেখলাম, আমাদের বাসার কাপড় ইস্তিরি করার যন্ত্রে ১০০০ ওয়াট শক্তি লাগে! অর্থাৎ পার্কারের যে শক্তি লাগবে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি শক্তি লাগে আমার কাপড় ইস্তিরি করতে। শক্তির কোনো অপচয় যে পার্কার করবে না, তা বোঝাই যাচ্ছে।

সূর্য কিন্তু একটা অগ্নিগোলক। এর জ্বালানি হলো হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন তৈরি হয় একটা ইলেকট্রন আর একটা প্রোটন দিয়ে। কিন্তু পৃথিবীর সাধারণ পরমাণুর মতো ওই ইলেকট্রন-প্রোটন কাছাকাছি থাকতে পারে না। কারণ সূর্যে হাইড্রোজেনগুলোর ধাক্কায় তা এত গরম হয়ে যায় যে পরমাণুর সব কণার ধাক্কাধাক্কি অনেক বেড়ে যায়। ফলাফলে ইলেকট্রন আর প্রোটনগুলো আলাদা হয়ে যায়। এই অবস্থাকে বলে প্লাজমা। কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থার মতো প্লাজমাও পদার্থের একটি অবস্থা। ওই হাইড্রোজেনগুলো একটার সঙ্গে একটা ধাক্কা খেয়ে যুক্ত হয়ে যায়। তাতে তৈরি হয় হিলিয়াম। এ সময় প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। যে তাপ বাইরের দিকে ছুড়ে দেয় সূর্য। সে তাপ আমাদের রোদে কিছুটা কষ্ট দিলেও পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এটাই আমাদের শক্তির প্রধান উৎস।

সূর্যের পুরোটাই প্লাজমায় তৈরি। কিন্তু সূর্যের কেন্দ্রে তাপ সবচেয়ে বেশি। প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আমাদের জানা বিজ্ঞান দিয়ে সহজেই তা ব্যাখ্যা করা যায়। একদম মাঝখানে যে পরিমাণ ধাক্কাধাক্কি, তাতে তো বেশি তাপ হবে। বাইরের দিকে চাপ একটু কম, তাই তাপমাত্রাও কম।

সূর্যের কেন্দ্রের প্লাজমা খুব ঘন। সূর্যের কেন্দ্রের প্লাজমা পানির চেয়ে ১৫০ গুণ ভারী। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে ঘনত্ব কমে যায়। সূর্যের একদম বাইরের দিকে ঘনত্ব আমাদের বাতাসের চেয়েও অনেক কম। বাতাসের শত কোটি ভাগের এক ভাগ হবে। স্বাভাবিকভাবে এখানের তাপমাত্রাও খুব কম। ৬ হাজার ডিগ্রি থেকে ২০ হাজার ডিগ্রির মতো। এটাও বিজ্ঞানীরা সুন্দর ব্যাখ্যা করতে পারেন।

এর আগে সূর্যের এত কাছে যায়নি মানুষের তৈরি কোনো কিছু

কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। কোথায় সেখানে যাওয়ার আগে সৌরঝড় নিয়ে কিছু বলা দরকার। সূর্য কিন্তু সব সময় তার মধ্য থেকে বাইরের দিকে প্লাজমা ছুড়ে দেয়। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ লাখ টন প্লাজমা ছোড়ে। এই প্লাজমার বেগও থাকে অনেক। প্রতি ঘণ্টায় ১২ লাখ থেকে ৮০ লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত।

সৌরঝড় ছাড়া আছে সৌরমুকুট। সৌরমুকুট হলো সূর্যের বায়ুমণ্ডল। এমনিতে সূর্যের চারপাশে এই সৌরমুকুট আছে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা দেখতে পাই না, মূল সূর্য অনেক বেশি উজ্জ্বল বলে। তবে যখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলে, তখন তার চারপাশে উজ্জ্বল মুকুটের মতো দেখা যায়। এ এক অপার্থিব অভিজ্ঞতা। পুরো সূর্যটা ঢেকে গেল, চারপাশ থেকে ঝলসে উঠল আলো। একটা মুকুটের মতো। এই সৌরমুকুট বা করোনা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ঝামেলা অনেক পুরোনো, দেড় শ বছর আগের। আগেই বলেছি, সূর্যের পৃষ্ঠে তাপমাত্রা হাজার দশেক ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। কিন্তু করোনার তাপমাত্রা লাখ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় ২০০ গুণ বেশি। কিন্তু এ রকম হওয়ার ভালো কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। কারণ, পৃষ্ঠ থেকে তাপ এসে করোনাকে উত্তপ্ত করে, সেই করোনা কীভাবে এত বেশি উত্তপ্ত হয়, তা তো সাধারণ বুদ্ধিতে বোধগম্য নয়।

আরেকটা সমস্যা হলো, সৌরঝড় যখন মূল সূর্য থেকে করোনায় পৌঁছায়, তখন ঝড়ের বেগ অনেক বেড়ে যায়। ব্যাপারটা এমন, তুমি একটা বল ছুড়ে মারলে, হিসাবমতো আস্তে আস্তে বলটার বেগ কমার কথা। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর বলটা হঠাৎ দ্রুত, এমনকি আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি বেগে ছুটতে শুরু করল। প্রশ্ন হলো, এ সময় ধাক্কাটা দিল কে?

ঝামেলা হলো, এই সৌরঝড় কখন কোন দিকে হয়, তা পৃথিবীতে বসে বোঝা মুশকিল। আগে এই ঝড় আমাদের জন্য খুব বেশি দুশ্চিন্তার ছিল না। কারণ, সৌরঝড়ের প্রায় পুরোটা আমাদের পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বাধা দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু সৌরঝড়ের পদার্থ আবার চৌম্বকীয়। এই ঝড়ের চৌম্বকক্ষেত্র আমাদের পৃথিবীর বেতারব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। পৃথিবীতে এক ঘণ্টার জন্যও যদি ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় কী অবস্থা হবে। সৌরঝড়ের কারণে ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতিরও কিন্তু বারোটা বেজে যেতে পারে। কিন্তু আমরা তো এটাই জানি না, সূর্যে ঝড় কখন কীভাবে তৈরি হয়। কীভাবেই বা সৌরঝড়ের বেগ হয় ঘণ্টায় ৩০ লাখ কিলোমিটার। এসব জানতে সূর্যের কাছাকাছি গিয়ে দেখা দরকার সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র কেমন। দেখা দরকার কোন দিক দিয়ে সৌরঝড় শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সূর্যের চারপাশের চৌম্বকক্ষেত্রের সঠিক ম্যাপ বানাতে পারলে হয়তো এগুলো জানা যাবে।

এ জন্য পার্কারে দিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো সেন্সর। এই সেন্সরগুলো সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য জানবে। চারপাশ পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর সেসব তথ্য পৃথিবীতে পাঠাবে।

পার্কার তো উড়ে গেছে সূর্যের দিকে। এই যাত্রা কিন্তু সোজা সূর্যের দিকে নয়, এমনভাবে পার্কারকে পাঠানো হয়, যাতে তা সূর্যকে ঘিরে ঘুরপাক খায়। এই ঘুরপাক একদম বৃত্তাকার নয়। উপবৃত্তাকার। পার্কার যখন উপবৃত্তের একদিকে থাকবে, তখন তা থাকবে সূর্যের খুব কাছে। আবার চলতে চলতে অন্যদিকে চলে এলে সূর্য থেকে অনেক দূরে চলে আসবে। যখন দূরে চলে আসবে, তখন এর পথের কাছাকাছি থাকবে শুক্র গ্রহ। শুক্র গ্রহের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে পার্কারের গতি বাড়বে। তখন পার্কার সূর্যের আরও কাছ দিয়ে উড়ে যেতে পারবে।

বিজ্ঞানীরা পরিকল্পনা করেছেন পার্কারের সাত বছরের যাত্রার। এই সাত বছর পার্কার ২০ বার সূর্যের চারপাশে ঘুরপাক খাবে। এর মধ্যে সাতবার তার দেখা হবে শুক্র গ্রহের সঙ্গে। প্রতিবার দেখা হওয়ার পর পার্কার সূর্যের আরেকটু কাছে পৌঁছাবে।

পার্কার প্রথমবার সূর্যের কাছাকাছি উড়ে যাবে মোটামুটি তিন মাস পর। নভেম্বরের শুরুর দিকে। তখন সূর্যের প্রায় ৬০ লাখ কিলোমিটার কাছে পৌঁছে যাবে পার্কার। তারপর কাছে যেতে যেতে এভাবে শেষ তিনবার সূর্যের প্রায় ৩৮ লাখ কিলোমিটার কাছ দিয়ে পার্কার উড়ে আসবে। এর আগে এত কাছে যায়নি মানুষের তৈরি কোনো কিছু। এর আগে সবচেয়ে কাছে গিয়েছিল হেলিওস ২। তবে তা ছিল পার্কারের চেয়ে আট গুণ দূরে।

প্রশ্ন হলো, সাত বছর পর, যখন পার্কারের মিশন শেষ হবে, সে কী করবে? সূর্যে ঝাঁপ দেবে? যেমনটা করেছিল নিউ হরাইজন, বৃহস্পতি গ্রহে ঝাঁপ দিয়েছিল। আমি কোথাও উত্তর খুঁজে পাইনি। তবে সূর্যকে কিন্তু ছুঁয়ে দিচ্ছে, যেহেতু সূর্যের বায়ুমণ্ডলের মধ্যে পৌঁছাবে পার্কার।

প্রতিদিন সূর্যের আলো আমাদের ছুঁয়ে যায়। এত আপন যে আমাদের বাঁচিয়ে রাখার প্রধান শক্তি জোগায়। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এবার আমরা ছুঁতে যাচ্ছি সূর্যকে। যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছে হাজার বছর ধরে, ছুঁয়েছে ইকারাসের ডানায় চড়ে। আনন্দ ও উত্তেজনার ব্যাপার হলো, সূর্যকে ছুঁয়ে দেবে আমার নামও।

লেখক: পিএইচডি শিক্ষার্থী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইওমিং

(লেখাটি কিশোর আলোর সেপ্টেম্বর ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত)