যেভাবে তৈরি হলো পারমাণবিক বোমা, ফেলা হলো হিরোশিমায়

পারমাণবিক বোমার আঘাতে মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যায় যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা একটি জনপদ

সবে জেগে উঠতে শুরু করেছে জাপানের ছোট্ট কিন্তু কর্মব্যস্ত দ্বীপ হিরোশিমা। ঘড়িতে ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। তারিখ ৬ আগস্ট, ১৯৪৫। শহরের এক টিন কারখানার কেরানি মিস তোশিকো সাসাকি। অফিসে ঢুকে মাত্র নিজের আসনে বসেছেন। পাশে বসা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ ফেরালেন মিস সাসাকি। ঠিক সেই মুহূর্তে চোখধাঁধানো নিঃশব্দ এক আলোয় ঝলসে গেল পুরো ঘর। ভীষণ আতঙ্কে চেয়ারেই স্থির রইলেন তিনি। চোখের সামনেই নিমেষে ধূলিসাৎ সবকিছু। অবিশ্বাস্য এ ধ্বংসযজ্ঞ সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারালেন মিস সাসাকি। কারখানার ছাদ ধসে ওপরতলার লোকজন গড়িয়ে পড়তে লাগল নিচে। সাসাকির পেছনের শেলফ দুটি প্রচণ্ড বেগে তেড়ে এল তাঁর দিকে। বোমা নয়, একগাদা বইয়ের নিচে চাপা পড়ে আহত হলেন সাসাকি।

হিরোশিমার অন্য প্রান্তে ঠিক সে সময় নিজের হাসপাতালের বারান্দায় আয়েশ করে বসেছিলেন চিকিৎসক মাসাকাজু ফুজি। সকালের খবরের কাগজ পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। তখনই সেই রহস্যময় আলোর ঝলক দেখলেন মাসাকাজু ফুজি। খবরের কাগজ হলুদ আলোয় ঝলসে উঠতে দেখলেন তিনি। হতভম্ভ ফুজি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার আগেই পুরো হাসপাতাল সশব্দে পাশের নদীতে ভেঙে পড়ল। আর তার ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়লেন মাসাকাজু ফুজি।

হিরোশিমায় বেঁচে যাওয়া গুটি কয়েকের মধ্যে ভাগ্যবান দুজন মিস সাসাকি আর চিকিৎসক ফুজি। ৬ আগস্ট সেই রহস্যময় আলো সাসাকি আর ফুজির মতো প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের কাছে গলিত সূর্যের অংশ হঠাৎ পৃথিবীতে নেমে আসার মতো। কারও কাছে সাক্ষাৎজ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড বা নরকতুল্য। কিন্তু তাঁরা কেউই তখনো জানতেন না, মাত্র এক মিনিট আগে তাঁদের শহরে লিটল বয় নামের বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমাটি ফেলা হয়েছে। তাতে সেই সকালে মুহূর্তেই মারা গেছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। বর্বরোচিত সেই হামলায় পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তাদের প্রিয় হিরোশিমা। সেই ধ্বংসস্তূপে ঢোকার আগে একটু পেছনের গল্পটা জানা দরকার।

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করতেই পদার্থবিদ্যা প্রবেশ করেছিল নতুন যুগে। তাঁর এ ভুবনখ্যাত তত্ত্বটির সমীকরণ E = mc2। এখানে E হচ্ছে শক্তি, m বস্তুর ভর আর c আলোর গতি। সমীকরণটি ইঙ্গিত দিল, কোনো বস্তু থেকে সেই বস্তুর ভরের সঙ্গে আলোর বেগে বর্গের গুণফলের সমান শক্তি পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎসামান্য পরিমাণ বস্তু থেকে বিপুল শক্তি। ধরা যাক, এক কেজি ভরবিশিষ্ট বস্তুকে শক্তিতেরূপান্তর করা হবে। তাহলে পাওয়া যাবে ২২ মেগাটন টিএনটির (ট্রাই-নাইট্রো-টলুইন) সমতুল্য শক্তি। কাগজে-কলমে বিষয়টি প্রমাণিত। কিন্তু বাস্তবে এভাবে শক্তি পাওয়ার উপায় তখনো কেউই জানে না।

হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল

অবশ্য আশার কথা, এ ঘটনার কয়েক দশকের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা বস্তুর একেবারে অভ্যন্তরে উঁকি দিতে সক্ষম হলেন। তাতে অতিসূক্ষ্ম অণু-পরমাণু সম্পর্কেও বিশদভাবে জানা গেল। আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ। ১৯৩০-এর দশকে এই তেজস্ক্রিয় পদার্থই বস্তু থেকে বিপুল শক্তি পাওয়ার পথ দেখাল। ইউরোপ ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন, তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম (ইউরেনিয়াম ২৩৫) থেকে বিপুল শক্তি পাওয়া সম্ভব। বিজ্ঞানী অটো হান আর লিস মেইটনার প্রমাণ করলেন, ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস দুভাগে ভাগ করে শক্তি পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতির নাম ফিশন। বিশ্ব তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। তাই এ শক্তিকে দৈনন্দিন কাজে লাগানোর আগে বিজ্ঞানীরা যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহারটাই আগে ভেবে দেখলেন। ডাচ্ বিজ্ঞানী নিলস বোর তাঁর ছাত্র হুইলারকে নিয়ে হিসাব কষে দেখলেন, এভাবে পারমাণবিক বোমা বানানো সম্ভব। আঁতকে উঠলেন বোর। দেরি না করে তাঁরা দেখা করলেন আইনস্টাইনের সঙ্গে।

তত দিনে জার্মানিতে একনায়ক হিটলার বেশ জমিয়ে বসেছেন। কিছুদিন পরই শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন আর ইহুদি নিধন শুরু করলেন। গোটা ইউরোপ পরিণত হলো যুদ্ধক্ষেত্রে। কিছুদিন আগেই জার্মানি থেকে আইনস্টাইন পালিয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। হিটলারের নািস বাহিনী ইউরোপের অন্য দেশও দখল শুরু করলে সেসব দেশের বিজ্ঞানীরাও একে একে ভিড় জমাতে লাগলেন যুক্তরাষ্ট্রে। তখন চারদিকে গুজব, হিটলার পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছেন। আর জার্মানির হাতে এ বোমা পড়লে রক্ষে নেই। ভীষণ আতঙ্কিত হলেন বিজ্ঞানীরা। তাই বোরসহ অন্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শে ১৯৩৯ সালের ২ আগস্ট আইনস্টাইন চিঠি লিখলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকে। পারমাণবিক বোমা বানানোর সম্ভাবনা আর জার্মানির মতো শত্রু কোনো দেশের হাতে সেটি পড়তে পারে এমন হুঁশিয়ারি ছিল ওই চিঠিতে। শোনা যায়, আইনস্টাইনের অনুরোধে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এ বোমা বানানোর তাগিদ দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন রুজভেল্টকে। অবশ্য হিরোশিমা ও নাগাসাকির ধ্বংসযজ্ঞ দেখলে, সম্ভবত এ চিঠি লিখতেন না রবীন্দ্রনাথ।

মানুষের বর্বরতায় সাক্ষী হয়ে আছে হিরোশিমা

সত্যিই বসে ছিলেন না হিটলারও। তিনি অনিশ্চয়তার সূত্রের জনক হাইজেনবার্গকে পারমাণবিক বোমা বানানোর নির্দেশ দিলেন। ১৯৪১ সালের দিকে হাইজেনবার্গ দেখা করলেন তাঁর শিক্ষক নিলস বোরের সঙ্গে। বোর বিপদের আঁচ পেলেন। দেরি না করে তিনিও শুভদিন দেখে জন্মভূমি ডেনমার্ক ছেড়ে আশ্রয় নিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাতে পারমাণবিক বোমা বানানোর দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেন একনায়ক হিটলার। কারণ, সে সময়ের বিখ্যাত সব পদার্থবিদ তখন মার্কিন আশ্রয়ে।

এদিকে আইনস্টাইনের চিঠি পেয়েও শুরুতে তেমন গা করেনি মার্কিন প্রশাসন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে সরাসরি অংশ না নিলেও গোপনে ব্রিটেনসহ অন্য দেশগুলোকে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছিল। তবে সামরিক চুক্তির কারণে জাপানের সঙ্গেও ওপরে ওপরে সদ্ভাব বজায় রাখতে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে এক সামরিক চুক্তি ভঙ্গের জের ধরে জাপানের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মিত্র ব্রিটেনও একই উদ্যোগ নেয়। এর জেরে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তি জাপান। সে সময় ভারত উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনে থাকায় কলকাতাতেও বোমা হামলা চালিয়েছিল জাপান। সেটি ১৯৪২ সালের জানুয়ারির ঘটনা। কলকাতা আক্রমণের প্রায় এক মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে বিমান হামলা চালায় জাপান। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রায় দুই ঘণ্টার ওই আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পার্ল হারবার বন্দর। প্রায় আড়াই হাজার প্রাণহানিসহ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের আটটি যুদ্ধজাহাজ আর নৌবাহিনীর আরও ১৩টি জাহাজ। একদিন পরেই জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট।

ফ্যাট ম্যান

এ সময় আইনস্টাইনের পরামর্শই সম্ভবত ভাবিয়েছিল তাদের। তড়িঘড়ি করে এক অতিগোপনীয় প্রকল্প অনুমোদন করে মার্কিন সরকার। ইতিহাসে যা ম্যানহাটন প্রজেক্ট নামে কুখ্যাত। এতে অর্থের জোগান দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকারও। প্রজেক্টের প্রধান বিজ্ঞানী ছিলেন মার্কিন পদার্থবিদ রবার্ট ওপেনহাইমার। নিলস বোর, জেমস চ্যাডউইক, এনরিকো ফার্মি, রিচার্ড ফেনিম্যানসহ অনেক নামী বিজ্ঞানীও এতে জড়িত ছিলেন। ১৯৪২ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তী চার বছরের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার খরচ আর ১ লাখ ৭৫ হাজার কর্মীর অংশগ্রহণে তৈরি হয় চারটি পারমাণবিক বোমা। গোপনে এগুলোর একটি পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে। ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ঘটানো সেই বোমার আকার ছিল মাত্র একটি বেসবলের সমান। কিন্তু তার শক্তি ২০ হাজার টিএনটির সমতুল্য। বোমাটির বিস্ফোরণ দেখে সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন উপস্থিত বিজ্ঞানীরা। বিপুল সেই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে ওপেনহাইমার গীতা আওড়েছিলেন, ‘আমিই পৃথিবীর ধ্বংসকারী। আমিই মৃত্যু।’

ঠিক ২২ দিন পর বিশ্ববাসী নতুন এক যুদ্ধাস্ত্রের ঝলক দেখেছিল। তত দিনে মারা গেছেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হ্যারি ট্রুম্যান। তাঁর নির্দেশেই পেটের মধ্যে লিটল বয় নিয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান বি-২৯ যার নাম এনোলা-গে এগিয়ে চলে জাপানের দিকে। ইউরেনিয়াম ২৩৫ দিয়ে বানানো ম্যানহাটন প্রজেক্টের দ্বিতীয় বোমাটির এটিই ছিল ডাক নাম। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমা জেগে ওঠে হাজারো মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে। সকালে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এনোলা-গে থেকে শহরে টুপ করে নেমে আসে লিটল বয়। তারপর হঠাৎ আলোর ঝলকানি। মুহূর্তে লন্ডভন্ড হিরোশিমা। সেদিনের সেই ভয়াবহতার হাত থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আরেকজন চিকিৎসক সুন্তারো হিদা। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা তিনি দিয়েছিলেন এভাবে, ‘এমন যন্ত্রণাদায়ক আলো...চোখ বুজেও মনে হলো মগজ গলে যাবে। ধীরে ধীরে চোখ খুলে যেখানে বোমা ফেলা হয়েছিল, সেদিকে তাকাই। দেখি, মাশরুমের মতো কালো মেঘ, এগিয়ে আসছে। মুহূর্তে ঘরবাড়িসহ আমি খড়কুটোর মতো উড়ে গেলাম।’

লিটল বয়

সবাই ড. হিদার মতো সৌভাগ্যবান নয়। সেদিন লিটল বয়ের বিকট শব্দ আর ক্ষতিকর গামা রশ্মি, সেই সঙ্গে হাজার ডিগ্রি তাপে মুহূর্তে কয়লা হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। ধুলায় মিশে যায় ৬৯ শতাংশ ঘরবাড়ি। মৃত্যুপুরী হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালের শেষ নাগাদ পারমাণবিক বিকিরণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় আড়াই লাখে। ক্ষত-মৃত্যু আর বর্বরতার স্মারকচিহ্ন। আজও বিকলাঙ্গতা, মানসিক প্রতিবন্ধী আর প্রজননক্ষমতা হ্রাসের মধ্য দিয়ে সেই প্রজন্মক্রমিক ক্ষতকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে জাপানিদের।

লিটল বয়ের বিষাক্ত ছোবলের রেশ কাটতে না কাটতে ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে ফেলা হয় ফ্যাটম্যান। তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম (প্লুটোনিয়াম ২৩৯) দিয়ে বানানো ম্যানহাটন প্রজেক্টের তৃতীয় বোমা এটি। মুহূর্তেই প্রাণ হারায় প্রায় ২৭ হাজার মানুষ। শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা শিকার হলেন ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তার। মাথার চুল উঠে গেল শিশুদের। কেউবা হারিয়ে ফেলল খাওয়ার শক্তি। এই বীভৎস দৃশ্য উন্মাদ করে তুলেছিল বোমা নিক্ষেপকারী মার্কিন মেজর চালর্স সুইনিকেও।

ম্যানহাটন প্রজেক্টের চতুর্থ বোমাটি আগস্টেই জাপানের আরেক শহরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু পরপর দুটি বোমার আঘাতে তত দিনে মনোবল ভেঙে পড়ে জাপান সরকারের। হতভম্ভ জাপান ১৯৪৫ সালের ১৪ আগস্ট আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। তার চার মাস আগেই আত্মহত্যা করেছিলেন ইতিহাসের খলনায়ক হিটলার। সমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। কিন্তু ৭০ বছর আগে জাপানে সেই বর্বরোচিত হামলার কথা ভেবে আজও শিউরে ওঠে বিশ্বের লাখো যুদ্ধবিরোধী আর শান্তিকামী মানুষ। হিরোশিমা ও নাগাসাকির লাখো নিরীহ মানুষের রক্ত আজও মানবজাতির বিবেক-বুদ্ধির গরিমার ইমারতে বড় ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে।

সূত্র: হিরোশিমা: জন হারসে

অনুবাদ: দীপা ইসলাম/বাংলা একাডেমি মাইক্রোসফট এনকার্টা, উইকিপিডিয়া।

(কিশোর আলোর আগস্ট ২০১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত)