ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ কাটার অভ্যাসটা তার বেশ পুরোনো। পাতার শেষ তারিখটাও কাটলেন। আরও একটি দিন কেটে গেল, চলে গেল একটি বছর।
এখন বেলা শেষের ডাক শুনতে পাচ্ছেন যেন!
আনমনে চিলেকোঠার ঘরে এসে পৌঁছান। একটি পুরোনো ট্রাঙ্ক। জং ধরা, ধুলো জমা। ট্রাঙ্কটি খুললেন তিনি। ভেতরে কতগুলো জামাকাপড়।
পোশাকগুলো চোখের সামনে ধরেন বুড়ি। কত বছর ধরে পোশাকগুলো সংগ্রহে রয়েছে তার। এক বছরের পোশাক; দুই বছর, তিন বছর...এভাবে সাত-আট বছর বয়সের পোশাকগুলো তাকে মনে করিয়ে দেয়, ছেলেটা অল্প অল্প করে বড় হচ্ছিল।
তারপর...
ভাবতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, বুড়ির ট্রাঙ্কে তার ছেলের বড়বেলার কোনো পোশাক ছিল না।