শিকার

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

‘ধুর! মশাগুলো খেয়েই ফেলল!’ মশা মারতে মারতে বলল সুমন। কবরস্থানের কেয়ারটেকার সে। আজকে চাকরিতে প্রথম ডিউটি তার। লোকালয় থেকে অনেক দূরে কবরস্থানটা। তাই এই কবরস্থানের কেয়ারটেকারের চাকরি পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি সুমনকে। প্রায়ই খালি হয় পদটা।

আরেকটা মশা মারল সুমন। ‘আহ্! মশাগুলো চাষ করে ফেলল হাতে-পায়ে।’ হঠাৎ ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে চমকে উঠল সুমন, যেন মরচে ধরা কোনো দরজা খুলে যাচ্ছে। শব্দটা আসছে সুমনের অফিসঘর থেকে। বিনা ভয়ে বাইরে এসে দাঁড়াল সুমন। আবার শুনতে পেল সেই ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ।

আকাশে মেঘ, বিদ্যুতের ঝলকানি। তার মাঝে দেখা যাচ্ছে নতুন খোঁড়া কবর। কবরটার ওপর মাটি নেই। কফিনটা দেখা যাচ্ছে। শব্দটা আসছে কফিনের ভেতর থেকেই। ধীরে ধীরে কফিনটার ওপর ঝুঁকে পড়ে সুমন। হঠাৎ একটা হাত কফিন থেকে বেরিয়ে সুমনকে টেনে নেয় কফিনে।

পরদিন কেয়ারটেকারকে না পেয়ে আরেকজনকে নিয়োগ দিলেন কবরস্থানের মালিক। মনে মনে দীর্ঘনিশ্বাস ফেললেন, ভাবলেন, ‘আরও একজন শিকার হতে চলেছে।’