রহস্যভেদী গুড্ডুবুড়া

অলংকরণ: তুলি

বিয়ে করবেন?
হেডমাস্টারের জুতা চোর।
খায় কিশমিশ।
খায় বিড়ি।
খায় বিড়ি।

সুটকেসের সঙ্গে একটা কার্ড ঝুলছে। সেই কার্ডে লেখা: কাজি সাইফুল আজিম।

এটা গুড্ডুবুড়ার বাবার নাম।

তার নিচে লেখা এই সব।

বিয়ে করবেন?
হেডমাস্টারের জুতা চোর।
খায় কিশমিশ।
খায় বিড়ি।
খায় বিড়ি।

বাবা গেছেন জাহাজে। বিদেশিদের নিয়ে সমুদ্রে থাকবেন ১৫ দিন। সেই জাহাজ চলে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে। বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলা সম্ভব নয়।

এই সুটকেসটা খুলতে হবে।

সুটকেসটা লক করা। লক করা হয়েছে কোড দিয়ে। মানে গোলাকার চাকার গায়ে নম্বর লেখা। এখন যেমন সেখানে লেখা আছে ১২৩৪৫।

এটা ঠিকভাবে সাজালে খুলবে।

সুটকেসের মধ্যে জরুরি কাগজ। ছোট খালার পাসপোর্ট। পাসপোর্টটা দরকার। কিন্তু সুটকেসটা খোলা যাবে কী করে? বাবা সুটকেস লক করে রেখে চলে গেছেন সমুদ্রে। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।

গুড্ডুবুড়া আগে ছিল বোকা।

তখন সে খাওয়াদাওয়া করত না। এমন বোকা ছিল।

বাবা তাকে একদিন একটা গ্লোব কিনে দিলেন। সে ভাবল এটা একটা ফুটবল। গ্লোবটাকে ভেঙে স্ট্যান্ড থেকে বের করে সে মারল লাথি। শক্ত ছিল গোলকটা। গুড্ডুবুড়ার পা গেল ভেঙে।

তখন ডাক্তার বললেন, গুড্ডুবুড়া ঠিকমতো খায় না। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করলেই ওর মাথায় বুদ্ধি হবে।

এরপর থেকে গুড্ডুবুড়া ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করে। সে লম্বা হচ্ছে। নানা কাজে সে পরিচয় দিচ্ছে বুদ্ধিমত্তার।

এবার ছোট খালা এসে চিৎ​কার-চেঁচামেচি করে বাসা মাথায় তুলল। দুলাভাইয়ের কোনো দায়িত্ব নেই। সুটকেসটা লক করে চলে গেল। পাসওয়ার্ড কোথা​ও রেখে যাবে না।

গুড্ডুবুড়া বলল, আচ্ছা দেখি তো লকটা খুলতে পারি কি না।

সে ভালোমতো নিরীক্ষণ করল তালাটা। কাগজে তার বাবার নাম লেখা। তার নিচেই লেখা এসব কথা:

বিয়ে করবেন?
হেডমাস্টারের জুতা চোর।
খায় কিশমিশ।
খায় বিড়ি।
খায় বিড়ি।

গুড্ডুবুড়া বলল, আচ্ছা, আমার মনে হয়, আমি বুঝে ফেলেছি কোডটা। খুলে ফেলতে পারব।

ছোট খালা বললেন, সর তো। একটা চাবিওয়ালা ডেকে আনি। সে খুলে দিক।

গুড্ডুবুড়া বলল, চাবিওয়ালারা চাবি বানাতে পারবে। কোড ভাঙতে পারবে না। আমি পারব।

গুড্ডুবুড়া সুটকেসটার লকের ডিজিটগুলো ঘোরাল। সে লকটা খুলে ফেলল এক লহমায়। তোমরাও পারবে। বলো তো, পাঁচ ডিজিটের কোডটা কী ছিল?