‘কী খান আপনারা?’ ধমকে উঠলেন ক্রাক্রার ভিনগ্রহবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। তার ধমকে মাথা নিচু করে বসে রইলেন বিজ্ঞানীরা। ‘কথা বলছেন না কেন?’ আবার ধমক দিলেন প্রতিমন্ত্রী।
‘ঘাস খাই, স্যার।’ জবাব দিলেন অপেক্ষাকৃত তরুণ এক বিজ্ঞানী।
‘তো এত ঘাস খেয়েও ব্যাপারটা বের করতে পারছেন না? গ্রহের বেস্ট ঘাসটাই তো আপনাদের দেওয়া হয়। তারপরও কোনো অগ্রগতি নেই।’
‘স্যার, আসলে ব্যাপারটা খুবই জটিল। পৃথিবী থেকে আমরা যে স্যাম্পলটা এনেছি, তাতে মনে হচ্ছে সেখানকার প্রাণীরা খুবই বুদ্ধিমান।’
‘কী রকম?’
‘আমাদের নভোচারীরা যে আয়তাকার বস্তুগুলো তুলে আনতে সক্ষম হয়েছিল, তাতে পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার সমাধান লেখা। পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, গণিত, অর্থনীতি—সবকিছুই সেখানে এলোমেলোভাবে লেখা। প্রতিটা লেখাই ভিন্ন। একটা জায়গার প্রাণীরা যদি সব বিষয়ে এত জ্ঞানী হয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর কী অবস্থা চিন্তা করতে পারেন?’
‘চিন্তা করার জন্য আপনাদের রাখা হয়েছে।’ ধমকে উঠলেন প্রতিমন্ত্রী। ‘এখন বলুন, এই মুহূর্তে কি আমাদের পৃথিবীতে ঢোকা উচিত হবে?’
‘না স্যার। আরও সময় প্রয়োজন।’
‘গেট আউট।’
ওদিকে পৃথিবীতে হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের টয়লেট উধাওয়ের ৭২ ঘণ্টা কেটে গেছে কিন্তু এখনো কোনো ক্লু পায়নি তদন্ত কমিটি।