‘হয়তো এমন কেউ, যে কথা বলতে পারে না। দাঁড়াও, আমি দেখছি,’ উঠে দাঁড়ালেন বাচ্চাদের মা, ‘দেখো, তুমি কে? আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাও না? আচ্ছা শোনো, আমরা কিছু প্রশ্ন করি? তোমার উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয়, তবে একবার শব্দ করবে আর যদি না হয়, তবে “দুবার”। ঠিক আছে?’
কিছুক্ষণ সব চুপচাপ।
‘তুমি কি আমাদের কথা বোঝো?’ বলে উঠলেন বাবা।
ঠক!
অবাক হয়ে গেল ওরা সবাই।
‘তুমি কি আমাদের খুঁজতে এসেছ?’ বলে উঠল তাদের ছেলে।
ঠক ঠক!
‘তুমিও কি আমাদের মতো হারিয়ে গেছ?’ ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলেন মা।
ঠক ঠক!
‘তুমি কি এই বনেই থাকো?’
ঠক!
‘আচ্ছা, তুমি কি পুরুষ?’
ঠক ঠক!
‘তাহলে? তুমি নারী?’
ঠক ঠক!
‘আরে! এ কেমন কথা? তুমি মানুষ তো?’ রেগে উঠলেন বাবা।
ঠক ঠক!
চমকে উঠল সবাই। গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়াল সবাই।
‘তুমি কি জীবিত?’ হুট করেই বেফাঁস প্রশ্নটা করে বসল তাদের মেয়ে।
ঠক ঠক!
তীব্র আতঙ্ক ঘিরে ধরল সবাইকে।
‘তুমি কি একা?’ কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন মা।
ঠক ঠক!
‘কতজন আছ তোমরা? সবাই শব্দ করো…’ মাটিতে বসে পড়লেন বাবা, কেমন যেন পাগলামি পেয়ে বসেছে তাকে।
‘ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক…’
চলতেই থাকল সেই শব্দ!