চালাক গুড্ডুবুড়ার গোয়েন্দাগিরি

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

গুড্ডুবুড়ার বোকামিতে তার মা–বাবা অস্থির। খালাকে হলুদবাটা মুখে মাখতে দেখে সে নিজে মুখে মেখেছে আদাবাটা। কোনটা আদা আর কোনটা হলুদ, সে আলাদা করবে কী করে? চকলেট ভেবে সে খেয়ে ফেলেছে রং, ক্রেয়ন। আর রং ভেবে সে খাতার পাতায় ঘষাঘষি করেছে চকলেট দিয়ে। পিঁপড়া এসে ভরে ফেলেছে সেই খাতা। তারপর গুড্ডুবুড়ার গায়ে উঠে পড়েছে পিঁপড়া। লাল পিঁপড়ার কামড় খেয়ে গুড্ডুবুড়া কাঁদতে কাঁদতে শেষ।

মা–বাবা তাকে নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার গুড্ডুবুড়ার জিব দেখলেন। চোখ দেখলেন। পেট আর বুক পরীক্ষা করলেন। সবকিছু দেখে তিনি বললেন, ‘গুড্ডুবুড়া, তোমার সবকিছু ভালো। তবে একটাই সমস্যা, তুমি খেতে চাও না। না খেতে খেতে তোমার ব্রেন শুকিয়ে ফেলেছ। এখন থেকে বেশি করে খাবে।’

গুড্ডুবুড়া এর পর থেকে খেতে শুরু করল। সে ভাত খায়, মাছ খায়, মাংস খায়, শাক খায়। ফল খায়, দুধ আর ডিম খায়। ডাল খায়, সবজি খায়। আর খুব করে খেলাধুলা শুরু করে দিল সে। কয়েক মাসের মধ্যে তার শরীরের শক্তি ফিরে এল। মাথার বুদ্ধিও গেল খুলে।

এখন আর গুড্ডুবুড়া বোকা নয়। এখন বোকা গুড্ডুবুড়া হলো চালাক গুড্ডুবুড়া।

এর আগে বোকামো করে বোকা গোয়েন্দা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল সে। এবার তার সামনে সুযোগ এসেছে চালাক গোয়েন্দা হওয়ার।

তাদের হেডস্যার তাকে ডেকে বললেন, ‘গুড্ডু, তোমার তো খুব বুদ্ধি। আমি একটা বিপদে পড়েছি। তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে?’

হেডস্যার তাঁর চেয়ারে বসা ছিলেন। দাঁড়িয়ে পড়লেন। বেশ বড়সড় স্যারের রুমটা। দেয়ালে একটা বোর্ডে আগের হেডস্যারদের নামের তালিকা লেখা। বড় বড় আলমারি ভরা নানা ধরনের কাপ, শিল্ড। এগুলো স্কুলের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জিতে এনেছে।

স্যারের মাথায় চুল কম। তা ঢাকতে তিনি সামনের চুল লম্বা রেখেছেন। তাঁর চোখের চশমার ফ্রেম মোটা। আর চশমার কাচ দুই ধরনের। মানে বাই ফোকাল।

ফেব্রুয়ারি মাস। ঢাকায় তেমন শীত পড়েনি এবার। স্যার পরে আছেন একটা ছাইরঙা কোট।

স্যার বললেন, ‘শুনেছি, তুমি এর আগে তোমাদের ক্লাসে পরীক্ষার খাতা চুরি হয়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান করেছ। রহস্য ভেদ করেছ।’

‘জি স্যার। এটা তেমন কঠিন কিছু নয়। পুরোনো কাগজ যারা কেনে, তাদের কাছে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলেছিলাম।’

‘এবার তোমাকে আরেকটা কঠিন কাজ দেব। দেখো তো, এই পাশের দেয়ালে তাকাও। কিছু বুঝছ?’

‘জি স্যার। দেয়ালের এই জায়গায় একটা আয়তাকার সাদা জায়গা। চারপাশে ময়লার দাগ। মাঝখানটা পরিষ্কার। ওপরে একটা পেরেক। মানে এখানে একটা ছবি ছিল। সেটা নাই।’

‘ঠিক। তোমার কি মনে আছে, এখানে কী ছিল?’

‘আছে স্যার। এখানে ছিল একটা ছবি। জয়নুল আবেদিনের আঁকা ছবি। ছবিতে ছিল একটা গরু। সে বিদ্রোহ করার চেষ্টা করছে। দড়ি ছেঁড়ার জন্য ঘাড় বাঁকা করে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছে সে।’

‘ঠিক। ছবির নাম বিদ্রোহী। জয়নুল আবেদিন এই ছবি কয়েকটা এঁকেছিলেন। একটা তিনি আমাদের স্কুলকে দিয়ে যান। এটা ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। তিনি এই স্কুলে এসেছিলেন বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভায়। প্রধান অতিথি হয়ে। তখন তিনি ছবিটা আমাদের স্কুলকে দান করে দিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের স্কুল ম্যাগাজিনে সেই কথা লিখে রেখেছেন তখনকার শিক্ষক শ্যামলকান্তি সরকার। তো গুড্ডুবুড়া, কী বুঝলে?’

‘স্যার। ছবিটা কি চুরি হয়ে গেছে?’

‘হ্যাঁ। এই তো তিন দিনের ছুটি ছিল। এসে দেখি ছবিটা নাই।’

‘আপনি কখন দেখলেন ছবিটা নাই?’

‘এই তো। সকাল দশটায় আমি ছবিটার দিকে তাকালাম। কেন, বলো তো?’

‘আপনার রুমে কোনো আয়না নাই। আপনি ছবিটার কাচে মুখ দেখতেন।’

‘ঠিক। আমি চিরুনি বের করে চুল আঁচড়াচ্ছি। বোঝোই তো। চুল পড়ে যাচ্ছে। সামনের টাকটা অনেক কষ্টে ঢাকতে হয়। তো চুল আঁচড়ানোর সময় এই ছবিতে মুখ দেখি। আজ দেখি, ছবিও নাই। কাচও নাই।’

‘তারপর কী করলেন?’

‘আমার পিয়ন শরাফউদ্দিনকে ডাকলাম। সেই তো রুমের তালা খোলে। চাবি আমার কাছেই থাকে। গার্ড নুরু মিয়াকে ডাকলাম। তারা কেউ কিছু বলতে পারে না।’

‘আজকে কি তালা দেওয়াই ছিল?’

‘হ্যাঁ। আমার সামনে নুরু মিয়া তালা খুলেছে।’

‘ঠিক আছে স্যার। আমি একটু রুমটা ভালোভাবে চেক করি।’

স্যারের রুমের জানালাগুলোর পর্দা সরিয়ে সরিয়ে দেখল গুড্ডু। কোনো গ্রিল কি কাটা? না। জানালার গ্রিল সব ঠিকঠাক আছে। সে সবে মাকড়সার জাল ঝুল দেখে মনে হয় না গ্রিলে কেউ হাত দিয়েছে। জানালার কবাটও সব লাগানো। ছিটকিনি দেওয়া। এসবেও কেউ গত ৩০ বছরে হাত দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

গুড্ডু বলল, ‘স্যার, জানালা দিয়ে চুরি হয়নি। দরজা দিয়েই হয়েছে। আমাদের স্কুলে তো সিসিটিভি নেই। কোনো ক্যামেরা নেই। তাই তো?’

‘হ্যাঁ। আর উপায় নেই। আজকেই আমি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করে ফেলব।’

‘তাহলে তো স্যার পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।’

‘কী রকম?’

‘আমাদের স্কুলের চারপাশে তো সিসিটিভির ক্যামেরা আছে। বিভিন্ন বাড়িতে। রাস্তায়। তাদের ফুটেজে কিছু ধরা পড়ল কি না।’

‘দেখো বাবা, এখনই পুলিশকে বলতে চাই না। পুলিশকে বললেই সবগুলো কাগজে নিউজ হবে। টিভিতে নিউজ হবে। বড় বেশি হইচই হয়ে যাবে।’

‘কিন্তু স্যার, আপনাকে তো পুলিশে রিপোর্ট করতেই হবে।’

‘তার আগে তুমি যদি চেষ্টা করে রহস্য ভেদ করতে পারো, তাহলেই তো হয়।’

‘ঠিক আছে, স্যার। আমার কতগুলো চিন্তা আছে। আপনি স্যার মনে করতে পারেন, শেষবার আপনি যেদিন এই রুমে ঢুকেছিলেন, তারপর কি রুম থেকে কখনো বের হয়েছিলেন? রুমটা কি ফাঁকা ছিল?’

‘তা তো মনে করতে পারছি না।’

‘আমার কি মনে হয় জানেন, আপনি রুম থেকে বের হয়ে ক্লাস পরিদর্শনে গেছেন, সেই সময় কেউ ছবিটা সরিয়ে ফেলেছে।’

‘কী বলো? তাহলে তো স্কুলেরই কেউ।’

‘অবশ্যই।’

‘কে হতে পারে?’

‘স্যার, সন্দেহের তালিকায় তো সবাই থাকে। যিনি আপনার ঘর ঝাড়ু দেন, আমাদের শিক্ষকেরা, এমনকি আমাদের স্কুলে আসা কোনো বহিরাগত। আপনার ঘরে ঢুকে দেখল, আপনি নেই। ছবিটার দিকে তার নজর ছিল। একটা গায়ের চাদরের নিচে ছবিটা পুরে বাইরে চলে গেল।’

স্যার ঘামতে লাগলেন। ফ্যান ছেড়ে দিলেন তিনি।

গুড্ডুবুড়া বলল, ‘আমার স্যার একটু সহযোগিতা লাগবে। আমি আমাদের শরাফউদ্দিন ভাই আর নুরু ভাইকে একটু প্রশ্ন করব। আপনি আমার সামনে থাকুন।’

নুরু মিয়া ছোটখাটো। শরাফউদ্দিন লম্বা–চওড়া। তারা হেডস্যারের রুমে।

গুড্ডুবুড়া বলল, ‘নুরু ভাই, শীত কেমন পড়েছে?’

‘তেমন না। শীতের কাপড় তো পরাই লাগে না।’

‘লাস্ট বৃহস্পতিবার আপনি কী পরে এসেছিলেন?’

‘এই কাপড়ই। প্যান্ট। শার্ট। আর একটা হাফ সোয়েটার।’

‘শরাফউদ্দিন ভাই, আপনি কী পরে এসেছিলেন?’

‘আমি, এই কাপড়ই। এই প্যান্ট। এই শার্ট।’

‘আর কিছু না? গত বৃহস্পতিবার তো প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। ওই দিন তো এই কাপড়ে থাকলে শীতে জমে যেতেন।’

‘গত বৃহস্পতিবার গায়ে চাদর পরেছিলাম।’

‘আচ্ছা। যান।’

‘নাইট গার্ড বাদল মিয়াকে একটু দরকার।’

নাইট গার্ডকে ডেকে আনা হলো। গুড্ডু বলল,‍‍

‘রাতের বেলা আপনি কি ঠিকঠাক ডিউটি করেন?’

‘জি ভাইয়া। আমি তো রোজ রাতে এক ঘণ্টা পরপর ঘণ্টি বাজাই। সাতটার সময় সাতটা। আটটার সময় আটটা। হেডস্যারের বাড়ি তো কাছে। হেডস্যার শুনতে পান।’

‘ঘণ্টাটা কোথায় থাকে।’

‘বারান্দায় থাকে। হেডস্যারের রুমের পাশে।’

‘ঠিক আছে আপনি যান।’

গুড্ডু বলল, ‘স্যার। আমার মনে হয় শরাফউদ্দিন ভাই–ই চাদরের নিচে করে ছবিটা বের করে নিয়ে গেছেন।’

হেডস্যার বললেন, ‘কিন্তু তাকে তো অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি। সে বলে, সে কিছু জানে না।’

‘তাহলে নাইটগার্ড নকল চাবি বানিয়ে রাতের বেলা রুম খুলে নিয়ে গেছেন।’

‘নকল চাবি বানানো সহজ নয়। চাবিওয়ালাকে রাতের বেলা স্কুলে আনতে হবে।’

‘চাবিওয়ালারা অবশ্য তালা সহজেই খুলে ফেলতে পারে। তা–ও হতে পারে।’

‘তাহলে কী হলো?’

‘হলো যে আমাদের সন্দেহ দুইজনের দিকে। পিয়ন শরাফ ভাই আর নাইটগার্ড বাদল ভাই।’

‘কেউ তো স্বীকার করবে না। পুলিশকে বলব? রিমান্ডে নিয়ে কথা বের করবে।’

‘না না। তার দরকার হবে না।’

‘আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করে আপনি আমাকে নুরু ভাই, শরাফ ভাই আর বাদল ভাইয়ের ফোনের কল লিস্টটা একটু বের করে দেন স্যার। আর তাদের ফোনে বিকাশ নগদে টাকা আদান–প্রদান কী কী হয়েছে, এটা একটু চেক করে দেন।’

হেডস্যার বললেন, ‘তাহলে কি আমি আমার ছাত্ররা আছে মোবাইল কোম্পানিতে, তাদের হেল্প নেব?’

‘না স্যার। কঠিন করে ভাবার দরকার নাই। আপনি ওনাদের ডেকে ফোন সিজ করুন। তারপর ওনাদের সামনেই আমি কললিস্ট চেক করব। টাকাপয়সা কী আদান–প্রদান হলো, তা–ও বের করে ফেলব।’

তা–ই করা হলো। স্যার তিনজনকেই ডাকলেন। তিনজনের ফোন হাতে নিলেন। তারপর বললেন, ‘ফোন খোলো। কললিস্ট দেখাও।’

শরাফের কললিস্টে দেখা গেল, একজনের সঙ্গে বেশ কবার কথা হয়েছে। তার নাম লেখা আছে, সবুজ আর্ট।

এবার গুড্ডু বলল, ‘আপনি কী ব্যবহার করেন? বিকাশ নগদ না রকেট।’

শরাফ একটা জবাব দিল।

‘খোলেন।’

গুড্ডুবুড়া শরাফউদ্দিন পিয়নের টাকা ট্রান্সফারের হিস্ট্রিতে দেখল, সবুজ আর্ট তাকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছে।

দুই দিন পর জয়নুল আবেদিনের ছবি উদ্ধার করে নিয়ে এল গুড্ডুবুড়া। হেডস্যারের রুমে স্যার–ম্যাডামরা আছেন। তাঁদের সামনে ছবিটা তুলে দিল গুড্ডু, হেডস্যারের হাতে। তবে ফ্রেমটা নতুন।

স্যার তো অবাক। ‘কী করে পারলে গুড্ডু!’

গুড্ডু তখন বলল, ‘পিন্টু মামা, ভেতরে আসুন।’

ভেতরে এলেন পুলিশের ইউনিফর্ম পরা পিন্টু মামা। তিনি পুলিশের বড় অফিসার।

‘মামা বলেন, কীভাবে আমরা এই ছবি উদ্ধার করলাম।’

পিন্টু মামা বললেন, ‘সব গুড্ডুর বুদ্ধি। গুড্ডু আমাকে বলল, মামা, তোমাকে একজন ছবির ক্রেতা হতে হবে। চলো আমরা সবুজ আর্ট গ্যালারিতে যাই। ওখানে গিয়ে বলব, জয়নুল আবেদিনের কোনো ছবি বিক্রি হবে কি না। নকল না। আসল ছবি। আসল ছবি হলে ৩০ লাখ, ৪০ লাখ টাকা ব্যাপার না। এমনকি আরও বেশি দাম দিতে পারি।

‘তো আমরা গেলাম সবুজ আর্ট গ্যালারিতে। মালিকের নামও সবুজ মিয়া। তাঁর দেয়ালের ছবি দেখতে আমি বললাম, আমি আর্ট কালেক্ট করি। জয়নুলের কোনো ছবি হবে কি না। আর অমনি সবুজ মিয়া এই ছবি দেখাল।

না। অত সহজ নয়। আমি সবুজ মিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। তখন গুড্ডু চলে গেছে গ্যালারির পেছনে। সেখানে ছবি বাঁধাই করা হয়। সেখানে গুড্ডু দেখল, এই ছবিটা ফ্রেম বদলে রাখা।

গুড্ডু ছুটে এসে আমাকে জানাল। আমি তখন ফোর্স কল করলাম। সবুজ মিয়াকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিন ছবি।’

সবাই গুড্ডুবুড়ার নামে জয়ধ্বনি করে উঠল।

পিন্টু মামা বললেন, ‘একটা অসুবিধা আছে। এখন যদি আপনারা মামলা করেন, তাহলে ছবিটা প্রমাণ হিসেবে পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে।’

‘না না। তা তো করা যাবে না।’

‘কিন্তু তা না করলে আমি যে সবুজ মিয়াকে অ্যারেস্ট করলাম সন্দেহের ভিত্তিতে, তিনি তো জামিন পেয়ে যাবেন। আর শরাফ মিয়াকেও আমি থানায় বসিয়ে রেখেছি। শরাফ মিয়া সব স্বীকার করেছে। সবুজ মিয়া ফেসবুকে হেডস্যারের রুমের ছবিতে জয়নুলের পেইন্টিংটা দেখতে পায়। তখনই সে ঠিক করে এটা সরাতে হবে। সে শরাফকে কুড়ি হাজার টাকা দিতে চায়। ছবিটা বের করে আনতে হবে।

শরাফ মিয়াও লোভে পড়ে চাদর পরে স্কুলে আসে। আর চাদরের নিচে ছবিটা নিয়ে সে বাইরে চলে যায়। সবুজ মিয়া আগে থেকেই একটা সিএনজি নিয়ে ওখানে ছিলেন। ছবি পাওয়ামাত্র গ্যালারিতে চলে যান। পেছনে বাইন্ডারকে দেন ফ্রেম বদলাতে।

এর মধ্যে গুড্ডুবুড়ার বুদ্ধির জালে তিনি ধরা পড়ে যান।’

স্যাররা গুড্ডুবুড়াকে কোলে তুলে আদর করতে লাগলেন।

পিন্টু মামা বললেন, ‘স্যার, মামলা করতেই হবে। তবে ছবিটা যাতে আপনার ঘরেই থাকে, সেই ব্যবস্থা করা যাবে। আদালতের কাছে আপনারা অনুমতি চাইবেন। আমরাও বলব, আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। আমরা ছবিটার ছবি তুলে রাখছি। আশা করি, সমস্যা হবে না।’

জয়নুলের ছবিটা আবার হেডস্যারের রুমে শোভা পাচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্কুলে বসানো হয়েছে।

গুড্ডুবুড়ার কাহিনি কিশোর আলো পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এখন গুড্ডুবুড়া রীতিমতো হিরো।