খরগোশ ও কচ্ছপ (ডিজিটাল ভার্সন)

নিউমার্কেটের এক বইয়ের দোকানের সামনে খরগোশ ও কাছিমের দেখা। খরগোশ কাছিমকে দেখেই মুখ বাঁকিয়ে বলল, ‘তোমার যা হাঁটার স্টাইল, দেখলেই হাসি পায়। মনে হয় ১০ মিনিটের রাস্তা ১০ ঘণ্টায় হেঁটে যাবে।’

তখন কাছিম বলল, ‘এখন তো আর হেঁটে পথ পাড়ি দিতে হয় না। সিএনজি আছে, বাস আছে, গাড়ি আছে। যেকোনো যানবাহন দিয়ে গেলেই হয়।’ খরগোশ এখন চোখ লাল করে বলল, ‘তার মানে বলতে চাও যে তুমি আমার আগে যেকোনো জায়গায় পৌঁছাতে পারবে?’

কাছিম বলল, ‘হতেও তো পারে।’ খরগোশ বলল, ‘তাহলে চলো একটা প্রতিযোগিতা করি। কে আগে গুলিস্তান পৌঁছাতে পারে।’ কাছিম তখন মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয় যে সে রাজি। কাছিম ‘হ্যাঁ’ বলার সঙ্গে সঙ্গে খরগোশ লাফিয়ে এক সিএনজিতে উঠে বলল, ‘চালাও জোরে।’ ড্রাইভার বলল, ‘কোথায় যাবেন?’ ‘গুলিস্তান,’ উত্তর দিল খরগোশ। আর তখন কাছিম তার ম্যানিব্যাগ বের করে দেখল তার কাছে মাত্র ৫০ টাকা আছে। তাই সে একটি রিকশা করে গুলিস্তান যেতে লাগল, রিকশাওয়ালা বুড়ো মানুষ তাই রিকশা আস্তে আস্তে চালাতে লাগল। এদিকে খরগোশ জানল, যত তাড়াতাড়ি গুলিস্তান পৌঁছাতে পারে, তত তাড়াতাড়ি যেন ড্রাইভার চালায়। কিন্তু খরগোশ জানত না, কোনো গাড়ি অনেক জোরে চালালে তার ব্রেক ফেল হয়। তাই গাড়ি যখন দোয়েল চত্বরের সামনে আসে, তখন ড্রাইভার ব্রেক কষতে গিয়ে গাড়ির চাকা শূন্যে উঠে গেল আর সিএনজির অ্যাকসিডেন্ট হলো। তখন সেই অ্যাকসিডেন্ট করা সিএনজির পাশ দিয়ে আস্তে আস্তে কাছিম রিকশা করে গুলিস্তান পৌঁছে গেল। এভাবেই কাছিম প্রতিযোগিতায় জিতে গেল।