গোলাপগাছের খুদে ভূত

অলংকরণ: মামুন হোসাইন

বাগানের ঠিক মাঝখানে একটি গোলাপগাছ। সেই গাছটি সব সময় ছিল ফুলে ফুলে ভরা। সেই গাছের সবচেয়ে সুন্দর ফুলে বাস করত একটি খুদে ভূত। ভূতটা আকারে এতই ছোট ছিল যে কোনো মানুষই তাকে দেখতে পেত না। গোলাপ ফুলের প্রতিটি পাপড়ির পেছনে তার একটা করে শোবার ঘর।

সেই খুদে ভূতটি কিন্তু দেখতে ছিল একেবারে শিশুদের মতো সুন্দর। তার কাঁধে দুটো ডানা। সব সময় সুগন্ধে ম-ম করত তার শোবার ঘরটি। সেই ঘরের দেয়ালগুলো তৈরি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে।

সারা দিন ভূতটি সূর্যের সোনালি উজ্জ্বল আলো উপভোগ করত। ডানা মেলে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াত।

কখনো সে উড়ত রঙিন প্রজাপতির ঝাঁকের সঙ্গে। এভাবে একদিন সেই খুদে ভূতটা উড়তে উড়তে এক বাতাবিলেবু গাছে গিয়ে বসল। সেখানে বসে সে ভাবতে থাকে গোলাপগাছে কেমন করে ফিরবে। সে হিসাব করে দেখল, সেখানে ফিরতে তাকে কতটা পথ পেরোতে হবে।

মানুষের চলাচলের পথের হিসাব আর ভূতের পথের হিসাব কখনো এক রকম হতে পারে না। ভূতেরা পাতার ভেতরের শিরা-উপশিরাগুলোকে তাদের পথ মনে করে থাকে।

বাতাবিলেবুর গাছের ডাল থেকে খুদে ভূতটা রওনা হল তার বাসস্থান গোলাপগাছটির দিকে। পথের অর্ধেকটা মাত্র পেরিয়ে এসেছে, ঠিক তখন টুপ করে সূর্য গেল ডুবে। সোনালি আলো গেল মিলিয়ে। চারপাশ হয়ে গেল ভীষণ শীতল। টুপটাপ করে শিশিরের ফোঁটা ঝরতে থাকে। বাতাস বইতে থাকে হু হু করে। পুরো পরিবেশই বদলে গেল। খুদে ভূতটি বুঝতে পারল, তাকে এবার তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে। সে এবার ডানা দুটো মেলে উড়তে থাকে।

ভূতটি তার বাড়িতে ফিরে দেখল, গোলাপ ফুলগুলো তখন বুজে গেছে। তার একটাও আর খোলা নেই। তাই দেখে খুব ভয় পেয়ে যায় খুদে ভূত। এর আগে রাতের বেলা সে কখনো বাড়ির বাইরে থাকেনি। যেখানেই থাকুক না কেন ঠিক সন্ধেবেলাতেই বাড়িতে ফিরে এসেছে। রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে গোলাপের কোমল পাপড়ির পেছনে ঘুমিয়ে গেছে।

খুদে ভূতটি এ রকম পরিবেশে বেশ ঘাবড়ে যায়। মন খারাপ করে ভাবতে থাকে—এখন সে কী করবে? আসলে তার কী করা উচিত। যেভাবে তীব্র শীত নামছে তাতে তো সে একেবারে জমে যাবে। আর জমে গিয়ে মারা যাবে।

সে ডানে বাগানের অন্যদিকে মধুচোষা গাছ রয়েছে। সেই গাছের ফুলগুলো রঙিন শিঙার মতো। সে তখন ঠিক করল যে সেখানেই চলে যাবে। আজ রাতের মতো সেগুলোর কোনো একটাতে গিয়ে ঘুমোবে। সে উড়ে যায় মধুচোষা গাছটির দিকে। সেখানে গিয়ে সে দেখে দুজন মানুষ সেখানে বসে আছে। একজন যুবক আর এক যুবতী। তারা একে অপরকে ভালোবাসে।

যুবকটি যুবতীটিকে বলছিল, ‘আমাকে এবার যেতে হবেই। তোমার ভাইটি তো আবার আমাকে মোটেই পছন্দ করে না। আমাকে এখন পাহাড় আর সাগর পেরিয়ে যেতে হবে। তাহলে এবার বিদায় দাও।’

যুবককে একটি গোলাপ ফুল উপহার দিল মেয়েটি। ফুলটায় হাত দিতেই সেটা তার পাপড়িগুলো খুলে দিল। অমনি সেই খুদে ভূতটা ফুড়ুত করে ঢুকে পড়ল ফুলটার ভেতরে। সুগন্ধি পাপড়ির গায়ে মাথা রাখল। সে যুবকের কণ্ঠ স্পষ্ট শুনতে পেল। বিদায়...বিদায়।

খুদে ভূতটি বুঝতে পারল যে যুবকটি গোলাপ ফুলটিকে তার বুকের কাছে রেখেছিল। সে তার হূিপণ্ডের ধুকপুক শব্দ শুনতে পায়। খুদে ভূতটি সেই শব্দে আর ঘুমোতে পারল না।

ঘন অন্ধকারে ঢেকে থাকা বনপথ দিয়ে একাকী চলতে গিয়ে যুবকটি ফুল বের করে ঘন ঘন গন্ধ শুঁকছিল। সেই পরশে গোলাপটি পুরোপুরি ফুটে যায়। বিকশিত হয়। যেন তার গায়ে এসে পড়েছে দুপুরের ঝকঝকে আলো।

এবার সেখানে এসে উপস্থিত হলো এক কুিসত চেহারার মানুষ। দেখতে ভয়ংকর সেই মানুষটির চোখেমুখে কুটিলতার ছাপ। লোকটি ছিল যুবতীর ভাই।

যুবকটি যখন গোলাপ ফুলটি নিয়ে মগ্ন তখন পেছন থেকে সেই মন্দ ভাইটি যুবকটিকে হত্যা করল। তারপর বাতাবিলেবুর গাছের নিচে যুবকটিকে কবর দিল।

সেই নিষ্ঠুর ভাইটি ভাবছে, যাক, সমস্ত ঝামেলা এবার চুকেবুকে গেছে। সবাই ভুলে যাবে যুবকটির কথা। সে যাচ্ছিল পাহাড় আর সাগর পেরিয়ে দূরের এক যাত্রায়। এ ধরনের দুর্গম যাত্রার মানুষের তো মৃত্যু হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে আর কখনো ফিরে আসবে না। আমার বোনটি মনে করবে সে হয়তো মারা গেছে। তার সম্পর্কে আমাকে কোনো প্রশ্ন করারও সাহস সে আর পাবে না।

তারপর সেই নিকষ অন্ধকারের ভেতরেই বাড়ি ফিরতে থাকে নিষ্ঠুর ভাইটি। খুদে ভূতটাও চলল তার সঙ্গে সঙ্গে।

যখন শয়তান ভাইটা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে গর্ত খুঁড়ছিল, তখন তার মাথার ওপর ঝরে পড়েছিল বাতাবিলেবুর একটি শুকনো পাতা। আর খুদে ভূতটি সেই পাতার ভেতরে আলতোভাবে বসেছিল। ঘাতক ভাইটির জঘন্য কাজটাকে খুদে ভূত ভালো করেই দেখেছে। কী নির্মমভাবে সে হত্যাকাণ্ডটি ঘটাল।

খুদে ভূতটি এসব দেখে ঘৃণা আর আতঙ্কে কাঁপছিল।

ভোরবেলায় সেই নিষ্ঠুর ভাইটি তাদের বাড়িতে পৌঁছাল। নির্বিকার ভঙ্গিতে সে গেল তার বোনের ঘরে। যুবতীটি ভাবছিল যুবকটির কথা। এতক্ষণে না জানি সে কত দূরে চলে গেছে। বোনের শিয়রের কাছে এসে হাসিমুখে দাঁড়ায় সে। যেন সে তার বোনের কুশল জানতে এসেছে। ভাইটির মাথার চুল থেকে লেপটে থাকা শুকনো পাতাটি পড়ল বোনের বিছানায়। ভাইটি অবশ্য সে ব্যাপারটি লক্ষ্য করল না।

সেই পাতায় মিশে গিয়ে এতক্ষণ লুকিয়ে ছিল খুদে ভূতটি। ভাইটি পাশের ঘরে ঘুমাতে চলে যায়।

পাতার ভেতর থেকে নেমে আসে খুদে ভূত। তারপর যুবতীর কানের কাছে গিয়ে বসে। ফিসফিস করে শোনায় সেই হত্যাকাণ্ডের কথা। বর্ণনা দেয় কীভাবে তার ভাইটি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

খুদে ভূত যুবতীটিকে বলছে, ‘তুমি আবার ভেবে বসো না যে এতক্ষণ তুমি স্বপ্ন দেখছিলে। এসব কিছু স্বপ্নের ভেতরে শুনলে। এটা মোটেই স্বপ্ন ছিল না। এটা একটা সত্যি ঘটনার বিবরণ। ভয়ংকরভাবে সত্যি। এর প্রমাণ হিসেবে তোমার বিছানায় খুঁজে পাবে কুঁকড়ে যাওয়া বাতাবিলেবু গাছের একটি পাতা।

যুবতীর ঘুম ভেঙে যায়। সে তার বিছানার এক কোনায় একটি শুকনো পাতা দেখল। এই পাতার কথা সে খানিক আগে জানতে পেরেছে। এ কী ভয়ংকর কথা শুনল সে। প্রচণ্ড কষ্টে সে বিছানায় মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। তার এ যন্ত্রণার কথাটি সে আর কাউকে বলতে পারছে না।

অলংকরণ: মামুন হোসাইন

সারা দিন জানালা খোলা ছিল। খুদে ভূতটি ইচ্ছে করলেই গোলাপ বাগানে চলে যেতে পারত। কিন্তু সে গেল না। এমন দুখী মানুষকে ছেড়ে যেতে তার মন সায় দিচ্ছিল না। জানালার পাশেই ছিল এক গোলাপের ঝাড়। তারই একটা ফুলে বসে সে তাকিয়ে রইল দুখিনী মেয়েটির দিকে। খুদে ভূত দেখল তার ঘরে এসে ঢুকছে সেই নিষ্ঠুর ভাইটি। এত জঘন্য কাজ করার পরও তার চোখেমুখে অনুতাপের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই।

রাত গভীর হলে যুবতী চুপিসারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে গেল বাতাবিলেবু গাছের কাছে। শুকনো পাতার রাশি সরিয়ে মাটি খুঁড়তে থাকে। উত্তেজনায় তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে। কিছুক্ষণ মাটি খোঁড়ার পরই সে যুবকের মৃতদেহটি দেখতে পেল।

কান্নায় ভেঙে পড়ল যুবতী। তারপর কবরের পাশ থেকে কিছু মাটি আর জেসমিনের একটা ছোট ডাল তুলে বাড়ির পথ ধরল। নিজের বাড়িতে পৌঁছে সবচেয়ে বড় ফুলের টবে রাখল যুবকের কবরের মাটি। তাতে পুঁতল জেসমিনের ডাল।

খুদে ভূতটি চলে গেল তার নিজের গোলাপগাছের কাছে। দু-একটা পাপড়ি ছাড়া সে গোলাপও ততক্ষণে ঝরে পড়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর খুদে ভূত আরেকটি গোলাপগাছ খুঁজে নিল। যার নরম পাপড়ির আড়ালে সে নিরাপদে বাস করতে পারবে।

প্রতি ভোরবেলায় সে যেত ওই দুখিনী মেয়েটির ঘরের জানালার কাছে। মেয়েটিকে সব সময় কাঁদতে দেখত। প্রতিদিন তার চোখ থেকে অঝোরধারায় অশ্রু গড়িয়ে পড়ত জেসমিন ডালে।

দিন দিন যুবতী ফ্যাকাশে আর মলিন হতে থাকে। কিন্তু জেসমিনের ডাল আবার সতেজ আর সবুজ হতে থাকে। তাতে একের পর এক ডাল গজায়। সেই ডালে ছোট ছোট সাদা কুঁড়ি ফুটে উঠল। মেয়েটি সেই কুঁড়িগুলোর গায়ে কোমলভাবে হাত বুলিয়ে সোহাগ করত। এ কারণে তার জাঁদরেল ভাইটি অবশ্য তাকে প্রচুর গালমন্দ করত।

মেয়েটির বদরাগী, নিষ্ঠুর ভাইটি কিছুতেই বুঝতে পারত না যে তার লাজুক স্বভাবে বোনটি কেন ওভাবে ফুলের টবের পাশে বসে কাঁদছে। এই ব্যাপারটি তার কাছে ভীষণ বিরক্তিকর লাগে। ভাইটি তো আর জানে না যে সেখানে কার এক জোড়া সুন্দর চোখ মুদে আছে। কার লাল ঠোঁট টবের মাটির নিচে ক্রমশ বিবর্ণ আর ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে।

একদিন খুদে ভূত দেখতে পেল মেয়েটি ফুলের টবে মাথা রেখে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সে তখন তার কানের কাছে গিয়ে শোনাল গোলাপের সুন্দর আর খুদে ভূতের ভালোবাসার কথা। মেয়েটি এসব কথা শুনতে থাকে স্বপ্নের ঘোরে। অনেকটা আচ্ছন্নের মতো অবস্থায়। আর শুনতে শুনতে একসময় অতি শান্তভাবে তার জীবনপাখিটি শরীরের খাঁচার ভেতর থেকে বেরিয়ে গেল। তার আত্মা তখন স্বর্গের পানে উড়ে চলে যায়।

সে সময় পুরোপুরি ফুটে গেছে জেসমিন ফুল। সুগন্ধে আমোদিত করল চারপাশ।

এভাবে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়া শোক প্রকাশের আর কোনো উপায় তার জানা নেই।

বোনের মৃত্যুর পর তার নিষ্ঠুর ভাইটি ফুলের টবটাকে তার বিছানার কাছে রাখল। খুদে ভূতটি তাকে অনুসরণ করে সেই ঘরে গেল। সে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াল। প্রতিটি ফুলে বাস করা খুদে ভূতদের বলল, ‘আমরা সবাই জানি যে আমরা সেই সুন্দর যুবকের কবরের মাটি থেকে জন্ম নিয়েছি।’

ফুলগুলো তখন মাথা দুলিয়ে বলতে থাকে, ‘আমরা সবাই তো ভালো করেই জানি। সবাই জানি।’

গোলাপগাছের ভূতটি বুঝতে পারল না যে এত নির্মম একটা ঘটনার কথা জানা সত্ত্বেও ফুলগুলো কীভাবে চুপ করে আছে।

সে তখন উড়ে যায় মৌমাছিদের কাছে। তাদের শোনাল সেই মারাত্মক নিষ্ঠুর ভাইটির কথা। নির্মমতার যার জুড়ি নেই। দুটি প্রাণ বিনষ্ট হয়েছে যার কারণে। সে কত প্রসন্নভাবে এ রকম ভয়াবহ ক্ষতি করেছে।

মৌমাছিদের ঝাঁক এ রকমের নিষ্ঠুরতার কাহিনি শুনে চমকে যায়। ব্যথিত হয়। তারা সবাই মিলে তাদের রানিকে এসব কথা জানিয়ে দিল।

মৌমাছিদের রানির অনেক ক্ষমতা। সব মৌমাছি তাকে খুব মান্য করে।

এমন কথা শুনে মৌমাছিদের রানি দারুণ ক্রোধে জ্বলে উঠল। রানির শরীর থরথরিয়ে কেঁপে উঠল।

রানি তখনই আদেশ দিল, পরদিন ভোরে সবাই যেন সেই হত্যাকারী লোকটিকে আক্রমণ করে। হুল ফুটিয়ে তাকে বিনাশ করে ফেলে।

রাতের বেলায় ঘটল আরেক ঘটনা। যখন নিষ্ঠুর প্রকৃতির ভাইটি ঘুমিয়ে ছিল, তখন তার মাথার পাশে রাখা টবের প্রতিটি জেসমিন ফুলের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে খুদে ভূতের দল। তাদের সবার হাতেই ছিল বিষাক্ত বর্শা। ধারালো বল্লম। তারা নিষ্ঠুর ভাইয়ের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে শোনায় ভয়ংকর সব স্বপ্নের কথা। তারপর ঠোঁটের ওপরে উঠে বর্ষা আর বল্লম দিয়ে জিবে খোঁচা দিতে থাকে।

তারা একসঙ্গে বলল, ‘এবারে আমরা হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছি।’ এ কথা বলে তারা তাদের নিজ নিজ ফুলে ফিরে যায়।

ভোরে জানালা খোলামাত্র নিষ্ঠুর ভাইটিকে বিনাশ করার জন্য রানি মৌমাছির নির্দেশে পুরো ঝাঁক ঘরে প্রবেশ করে। গোলাপগাছের খুদে ভূতটিও ছুটে আসে।

কিন্তু ততক্ষণে ভাইটির মৃত্যু ঘটেছে। বিছানায় পড়ে রয়েছে তার নিস্পন্দ দেহ। মৃতদেহের চারপাশে ঘিরে থাকা মানুষজন আলোচনা করছিল যে সে মারা গেছে জেসমিনের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধে। তখন গোলাপগাছের খুদে ভূত জেসমিন ফুলের প্রতিহিংসার কথা বুঝতে পারল। সেই কথাটি রানি মৌমাছিকে বুঝিয়ে বলল।

তখন রানি মৌমাছি তার পুরো দলকে নিয়ে ফুলের টবের চারপাশে উড়তে থাকে। তাদের তখন কোনোভাবেই তাড়ানো যাচ্ছিল না।

রানি মৌমাছি বাতাসে উড়ে উড়ে মিহি সুরে গান গাইতে থাকে। তার গানের ভেতর দিয়ে সে অনেক কথা প্রকাশ করে। সে বলছিল, প্রয়োজন হলে ফুলেরাও প্রতিশোধ নিতে জানে।

লেখক পরিচিত: লেখক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তার কালজয়ী রূপকথার গল্পগুলোর জন্য। ঘুমকুমারী, তুষারকন্যা, সিন্ডারেলার গল্পগুলো সারা বিশ্বব্যাপী অনূদিত হয়েছে ১২৬টিরও বেশি ভাষায়। ড্যানিশ এই লেখকের জন্ম ১৮০৫ সালে, ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে।