দশ মিনিটের গোয়েন্দা

অলংকরণ: জুনায়েদ

কাচের বাক্সের দিকে তাকিয়ে ধক করে উঠল আলম সাহেবের বুক। নেই!

সঙ্গে সঙ্গে সতর্কসংকেত বাজিয়ে দিলেন। আর পোঁ পোঁ শব্দে কেঁপে উঠল ঘরটা। বন্ধ হয়ে গেল মূল দরজা। এখন আর কেউ ঘর থেকে বেরোতে পারবে না। এমনকি মূল দরজা পেরিয়ে যারা এখন সদর দরজা পর্যন্ত গিয়েছে, তারাও আটকা পড়বে। অবশ্য তাদের আটকে থাকতে হবে বাগানে। মূল দরজা থেকে চার মিনিটের হাঁটা পথ পেরিয়ে তবে সদর দরজা। চোরটা নিশ্চয়ই তখনো সদর দরজা পেরোয়নি। দুই মিনিট আগেও কাচের বাক্স জিনিসটা দেখে গেছেন আলম সাহেব। দুই মিনিট বাদেই হাওয়া!

২.

ঘরের ভেতর তাকালেন আলম সাহেব। মাত্র ছয়জন দর্শনার্থী। বাইরে কতজন আছে?

ফোন দিলেন সদর দরজারক্ষীকে, ‘জহির, বাগানে কতজন আছে?’

ওপাশ থেকে জহির জানাল, ‘স্যার, চারজনকে দেখতে পাচ্ছি।’

‘শোনো, কাউকে বেরোতে দেবে না এখন। কেউ বেরোতে চাইলেও না। নইলে কিন্তু বিপদে পড়বে। মনে থাকে যেন।’

‘ঠিক আছে, স্যার।’

মনে মনে হিসাব করলেন আলম সাহেব, ‘ঘরের ভেতর ছয়জন আর বাইরে চারজন। দশজন মানুষ মাত্র। এই দশজনকে সার্চ করা কঠিন কিছু হবে না। কিন্তু...’

কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল তাঁর। বেশ কয়েকটা।

৩.

টিং টাং টিং টিং। টিং টাং টিং টিং।

মোবাইলটা বেজে চলেছে। স্ক্রিনে তাকালেন রসিক আলী। অচেনা নম্বর। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল কেউ একজন। আর বলতে লাগল, ‘স্যার, আমাকে বাঁচান। স্যার, আমাকে বাঁচান।’

ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলেন রসিক আলী। জানতে চাইলেন, ‘কে বলছেন?’

‘স্যার, আমি আলম। ঘোড়াশালের আলম। চিনতে পেরেছেন?’

বললেন, ‘হুঁ। চিনেছি। কী হয়েছে আলম?’

আসলে রসিক আলী চিনতে পারেননি। অনেক সময় অচেনা মানুষকেও চেনার ভান করতে হয়।

‘স্যার, আমার সর্বনাশ হয়েছে। জিনিসটা চুরি হয়ে গেছে, স্যার।’

‘শেষমেশ আমাকে ছিঁচকে চোরের গোয়েন্দাগিরি করতে বলছ আলম?’

‘স্যার, ওটা ছিঁচকে চুরি নয়। আড়াই কোটি টাকার...’

পুরো কথা শেষ করতে দিলেন না রসিক আলী। বললেন, ‘আচ্ছা। দেখছি কী করা যায়।’

৪.

জহিরের ফোন, ‘স্যার, দুজন তো বেরিয়ে যেতে চাইছে।’

‘উঁহু। ওদের বেরোতে দেওয়া যাবে না। গোয়েন্দা আসা পর্যন্ত ওদের আটকে রাখো।’

‘স্যার, ওরা শুনছে না। বলছে চেক করে ছেড়ে দিতে।’

‘চেকিংটাও গোয়েন্দা করবেন। ওদের থাকতে বলো। জানিয়ে দাও, নইলে পুলিশি ঝামেলা হবে।’

বলেই কলটা কেটে দিলেন আলম সাহেব।

আর কল কাটতে না-কাটতেই আবার জহিরের ফোন। এবার খেপে গেলেন আলম সাহেব। চেঁচিয়ে বললেন, ‘বললাম না এখন কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া যাবে না? তবু বিরক্ত করছ কেন?’

ওপাশ থেকে জহির জানাল, ‘স্যার, বাইরে থেকে একজন ভেতরে ঢুকতে চাইছে।’

‘কী নাম?’

‘সাদ।’

কপালে আরও একটা ভাঁজ পড়ল আলম সাহেবের। সাদ!

জানতে চাইলেন, ‘কী চায়?’

‘বলছে গোয়েন্দা। রসিক সাহেব পাঠিয়েছেন।’

‘ও আচ্ছা আচ্ছা। আসতে দাও।’

৫.

সাদকে দেখে আলম সাহেবের কপালে আরও দুটো ভাঁজ বাড়ল। বললেন, ‘তুমিই গোয়েন্দা?’

সাদ বলল, ‘রসিক আঙ্কেল আমাকে পাঠিয়েছেন।’

‘হুঁহ্! তুমি একাই চোর ধরবে?’

‘না। পুলিশও আসছে। ওই মনে হয় এসে পড়েছে।’

তখনই চার পুলিশের একটা দল ঢুকল ঘরে। একজন পুলিশ এগিয়ে এসে হাত মেলালেন আলম সাহেবের সঙ্গে। বললেন, ‘আপনিই তো আলম সিদ্দিক?’

আলম সাহেব বললেন, ‘হ্যাঁ।’

‘আমি তুহিন সালাফি। এই থানার গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর।’

ততক্ষণে কাচের বাক্সটার হ্যান্ডেল থেকে হাতের ছাপ জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল অন্য তিন গোয়েন্দা পুলিশ।

এক গোয়েন্দার দিকে তাকিয়ে তুহিন সালাফি জানতে চাইলেন, ‘ছাপ মিলল?’

‘না স্যার। হাতে গ্লাভস ছিল। তবে...’

সঙ্গে সঙ্গে সবাই তাকাল সেই গোয়েন্দা পুলিশের দিকে।

‘তবে?’

‘স্যার, কথাটা আমি আড়ালে বলতে চাই।’

তুহিন সালাফি আর গোয়েন্দা পুলিশ একটু এগিয়ে গেলেন সামনে। ফিসফিস করে কী যেন আলাপ করলেন। এবার ইশারায় সাদকে ডাকলেন তুহিন সালাফি। বললেন, ‘তুমি নাকি গোয়েন্দা?’

সাদ বলল, ‘হওয়ার চেষ্টা করছি।’

‘রসিক আলী পাঠিয়েছেন তোমায়?’

‘হুঁ।’

‘বেশ। আমারও রসিক সাহেবের ফোন পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। তা কিছু সূত্র পেলে?’

‘না। আপনি কিছু...’

‘হাতের ছাপ নেই। থাকলে এখনই ধরে ফেলা যেত চোরটাকে। তবে একটা সূত্র মিলেছে। সেটা হচ্ছে...’

৬.

হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকলেন আমজাদ আসগর। পরিচয় পর্ব সারার পর তুহিন সালাফি জানতে চাইলেন, ‘আপনি এই হিরে প্রদর্শনী করতে গেলেন কেন?’

আমজাদ সাহেব বললেন, ‘আমার হিরের ব্যবসা আছে, জানেনই তো। ডায়মন্ড ট্রেন আমার প্রতিষ্ঠান। বড় বড় হিরে প্রদর্শনীটা কেবল আমার ব্যবসা প্রসারের একটা কৌশল। আর কিছুু নয়।’

‘চুরি যাওয়া হিরেটা আপনার?’

‘না। আমার বন্ধু আলী নেওয়াজের। পৈতৃক সূত্রে পেয়েছে সে। আড়াই কোটি টাকা দাম ওটার। অনেক চেয়েচিন্তে ওর কাছ থেকে হিরেটা এনেছিলাম। প্রদর্শনী শেষে আবার ফেরত দিতে হবে। এখন ওকে আমি মুখ দেখাব কী করে?’

তুহিন সালাফি বললেন, ‘বুঝেছি। বেশ ধূর্ত চোর। কিন্তু কাজটা সারল কেমন করে?’

আলম সাহেব বললেন, ‘চুরির সময়টাতেই বিদ্যুৎ ছিল না। তখনই কাজটা সেরে ফেলে চোরটা।’

তুহিন সালাফি জানতে চাইলেন, ‘কিন্তু বাক্সটায় তো একটা পাসওয়ার্ড নম্বর ছিল। সেটা সে পেল কী করে?’

আলম সাহেব কাঁচুমাচু হয়ে বলল, ‘জানি না স্যার।’

তুহিন সালাফি বললেন, ‘চোর তাহলে নিজেদের কেউ। আচ্ছা, ওই পাসওয়ার্ড জানত কে কে?’

৭.

সাদ বলল, ‘স্যার আমি কি একটা কথা বলতে পারি?’

তুহিন সালাফি বললেন, ‘বলো।’

‘স্যার, দুপুরের খাবারের তো সময় হয়ে গেল। আজগর সাহেবকে বলুন না আমাদের জন্য দুপুরের...’

কথাটা শুনে ফেলেছিলেন আমজাদ সাহেব। সঙ্গে সঙ্গে বিনয়ের অবতার হয়ে গেলেন তিনি, ‘অবশ্যই অবশ্যই।’

সাদ বলল, ‘তার আগে ওই দর্শনার্থীদের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত...’

তুহিন সালাফি জানতে চাইলেন, ‘তোমার কী ইচ্ছে?’

‘আমার বিশ্বাস ওঁরা কেউ চুরির সঙ্গে যুক্ত নন। ওঁদের...’

সঙ্গে সঙ্গে তুহিন সালাফি বললেন, ‘রফিক, নাম, ঠিকানা আর ফোন নম্বর দিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলো। কেউ যাতে ভুল নম্বর না দেয়। দরকার হলে ঘনিষ্ঠ কারোর নম্বর নিয়ে ক্রস চেক করে নাও।’

৮.

সাদ জানতে চাইল, ‘মুরগির হাড় চিবোতে কেমন লাগে আপনার?’

আলম সাহেব বললেন, ‘এখন ভালো লাগছে না।’

‘কেন?’

‘জানি না। মনটা কেন যেন খুব খারাপ হয়ে আছে। আমার অবহেলার কারণেই এত বড় চুরিটা হলো।’

‘আচ্ছা, আপনি কি বাঁহাতি?’

অবাক হলেন আলম সাহেব। থতমত খেয়ে বললেন, ‘নান-না। কে বলেছে? তুমি কী করে জানলে?’

মুচকি হেসে সাদ বলল, ‘ডানহাতিরা চোয়ালের ডান পাশ দিয়ে চিবোয়। আর বাঁহাতিরা বাঁ পাশ দিয়ে। আপনি বাঁ পাশ দিয়ে মুরগির হাড় চিবোনোর চেষ্টা করছেন।’

প্রদর্শনীঘরের পাশেই খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে। হোটেল থেকে চিকেন বিরিয়ানি আনা হয়েছে। এখানকার বিখ্যাত।

এবার তুহিন সালাফির দিকে তাকিয়ে সাদ বলল, ‘স্যার, আমি কিন্তু চোরটাকে চিনে গেছি।’

কথাটা শুনেই হঠাৎ হেঁচকি উঠল গোয়েন্দা দলের প্রধান তুহিন সালাফির। মুখভরা খাবার। সে অবস্থাতেই জানতে চাইলেন, ‘কী-ই-ই ভা-ও-ও-বে...’

৯.

খাবারটা মজার ছিল। কিন্তু অনেকেরই গলা দিয়ে ঠিকমতো খাবার নামছিল না। খাবার শেষে সবাই বসে আছেন খাবার টেবিলে। টেবিল পরিষ্কার হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে। কোমল পানীয়র বোতল খালি করছেন এখন সবাই। সাদ বলল, ‘আমাকে দেবেন না। আমি ও জিনিস খাই না।’

তখনই এসে হাজির হলেন রসিক আলী। রসিককে দেখেই তুহিন সালাফি এগিয়ে গিয়ে হাত মেলালেন। ‘রসিক ভাই, আপনিও এসে পড়েছেন দেখছি।’

রসিক আলীকে এই প্রথম দেখছে অন্য গোয়েন্দা পুলিশ। হালকা ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। সব কটি পাকা। মাথায় একটা ক্যাপ। চোখে রিডিং গ্লাস। দুই চোখে দুই ধরনের পাওয়ার। ডান চোখে প্লাস, বাঁ চোখে মাইনাস।

একটা খালি চেয়ারে বসে রসিক আলী বললেন, ‘সাদ, এবার পুরো ঘটনা জানাও।’

বলতে শুরু করল সাদ।

‘ঘটনা খুবই সামান্য। তখন বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। তাই সিসি ক্যামেরা কাজ করছিল না। এই সুযোগে হাতে গ্লাভস পরে হিরে চুরির কাজটা সেরে ফেলে চোর। এবং চোরটা...’

বলেই আলম সাহেবের দিকে তাকিয়ে সাদ বলল, ‘গ্লাভসটা কোথায় আলম সাহেব?’

যেন আকাশ থেকে পড়লেন আলম সাহেব। কপালে একগাদা ভাঁজ ফেলে জানতে চাইলেন, ‘কিসের গ্লাভস?’

সাদ বলল, ‘আপনার বাঁ হাতের গ্লাভসটা। আপনার ব্যাগে নেই। এ ঘরের কোথাও নেই। পুলিশ আঙ্কেলরা আগেই তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন। কোথাও পাননি। কোথায় ওটা?’

এবার তোতলাতে শুরু করলেন আলম সাহেব, ‘মানে তুমি বলতে চাইছ?’

‘এবার তাহলে তিক্ত কিন্তু সত্যি কথাটা বলেই ফেলি। হিরেটা আপনিই চুরি করেছেন আলম সাহেব। বাঁ হাতে গ্লাভস পরে। গ্লাভসের ভেতর দিয়েও তিনটা আঙুলের ছাপ নয়, ছোপ ছিল কাচের বাক্সের হাতলে। আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম বুড়ো আঙুলের ছাপটা কোন দিকে ছিল। ডান দিকে, নাকি বাঁ দিকে? যখন জানলাম ডান দিকে, তখনই নিশ্চিত হলাম ওটা কোনো বাঁহাতি লোকের কাজ। সবাইকে পর্যবেক্ষণ করলাম, কিন্তু এখানে বাঁহাতি কাউকে পেলাম না। এরপর দুপুরের খাবারের প্রস্তাবটা আমিই দিই, যাতে বাঁহাতি চিনতে পারি। আর বাঁহাতি কীভাবে চিনেছি, সেটা তো বুঝেছেনই। স্বীকার না করলে আপনাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর ওখানে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে প্রমাণ হয়ে যাবে...’

কথাটা শেষ হওয়ার আগেই আজগর সাহেব বললেন, ‘কীভাবে প্রমাণ হবে?’

তুহিন সালাফি বললেন, ‘হিরেটা যেহেতু কোথাও পাওয়া যায়নি, তার মানে ওটা কোথায় আছে আমরা জানি।’

সঙ্গে সঙ্গে আজগর সাহেবের গলা, ‘কোথায় আছে!’

আজগর সাহেবের কণ্ঠে কৌতূহল নয়, ছিল উত্কণ্ঠা। সুরটা ঠিক ধরে ফেলেছে সাদ। আর কেউ ধরতে পেরেছে কি না কে জানে। তুহিন সালাফিই হিরের সন্ধান দিলেন, ওটা এখন চোরের পেটে। খানিক বাদেই হিরের যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাবে চোর। আর তখনই তো আমরা...’

এবার মুখ খুললেন রসিক আলী, ‘হিরের যন্ত্রণা কিন্তু মারাত্মক। মৃত্যুও হতে পারে!’

তখনই তুহিন সালাফির পায়ের কাছে এসে মাথা কুটে পড়ল আলম সাহেব, ‘স্যার, আমিই চোর। আমি আসলে চুরি করতে চাইনি। চুরি করেছি তো...’

রসিক আলী বললেন, ‘তুহিন সাহেব, আজগর সাহেবকেও নিয়ে চলুন থানায়। এঁরা দুজনই দোষী। ভালোয় ভালোয় যদি আজগর সাহেব দোষ স্বীকার না করেন, তাহলে আমি প্রমাণসহ ব্যাখ্যা দিচ্ছি।’

তারপর আজগর সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কী আজগর সাহেব, নিজের দোষটা অপরের মুখে শুনতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। নিজেই বলে ফেলুন।’

১০.

সাদের পিঠে বিশাল দুটো চাপড় দিয়ে রসিক আলী বললেন, ‘শাবাশ সাদ! দারুণ দেখিয়েছ তুমি!’

এবার সাদের কপালে ভাঁজ। জানতে চাইল, ‘কিন্তু আজগর সাহেব যে চুরির সঙ্গে জড়িত আপনি কীভাবে...’

বাকিটা শেষ হওয়ার আগেই রসিক আলী বললেন, ‘তোমাকে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে আমিও খবর নিচ্ছিলাম। আর জানতে পারলাম এই হিরেটা আজগর সাহেবের নয়। এটা তাঁর বন্ধু আলী নেওয়াজ সাহেবের। অনেক দিন ধরেই নেওয়াজের কাছে হিরেটা চাইছিলেন আজগর। প্রথমে কিনতে চেয়েছিলেন। রাজি না হওয়ায় প্রদর্শনীর প্রস্তাব। বন্ধুত্বের খাতিরে এবার আর না করতে পারেননি। কিন্তু মনটা তাঁর খচখচ করছিল। আমিও ঘটনাটা জানতে পেয়ে দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়েছি। বুঝতে পেরেছি হিরেটার ওপর আজগর সাহেবের লোভ অনেক দিনের। তারপর তো...’

এবার রসিক আলীকে থামিয়ে দিয়ে সাদ বলল, ‘বুঝেছি। আর বলতে হবে না।’

তখনই রসিক আলীর কপালে ভাঁজ পড়ল দুটো—পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে তাকেই থামিয়ে দিয়েছে তাঁর সহকারী!

অবাক হয়ে সাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন রসিক আলী। সাহস আছে বটে ছেলেটার!