দুঃস্বপ্ন

মঙ্গল গ্রহ। সব এলিয়েন মুখ গোমড়া করে বসে আছে। এলিয়েনের বাচ্চাগুলোও গম্ভীর। তারা হি হি, খিক খিক, ফিক ফিক কোনোভাবেই হাসছে না। এলিয়েনরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তারা কেউই হাসতে পারে না। এটাই তাদের সমস্ত দুশ্চিন্তার কারণ। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সেখানকার জ্ঞানী এলিয়েনরা ঠিক করল একদল প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিমান এলিয়েনদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে হাসিখুশি গ্রহ পৃথিবীতে। সেখানকার সবচেয়ে হাসিখুশি দেশ, ‘বাংলাদেশ’ থেকে তারা এমন কাউকে তুলে আনবে যে হাসিখুশি এবং তাদের হাসতে শেখাবে। যেই বলা সেই কাজ। বুদ্ধিমান এলিয়েনরা তাদের স্পেসশিপে করে তুলে নিয়ে এল হাসিবিশেষজ্ঞ দুজন মানুষকে—আনিসুল হক ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁদের হাসি শেখানোর জন্য কঠিন শর্ত দেওয়া হলো। যদি তাঁরা মঙ্গল গ্রহের এলিয়েনদের হাসি শেখাতে না পারেন, তবে তাঁদের কখনোই পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো হবে না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল হাসতে পারার বৈজ্ঞানিক উপায় বের করতে লাগলেন এবং আনিসুল হক রম্যগল্প শোনাতে লাগলেন। কিন্তু এলিয়েনরা হাসে না। তারা অ্যানটেনার মতো কান দিয়ে শোনে আর সবুজ মাথার ওপরে তিনটি চোখ দিয়ে ড্যাব ড্যাব চেয়ে থাকে...লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসলাম। আহা রে, স্বপ্নে আমার প্রিয় দুজন মানুষের কী অবস্থা! স্বপ্নের কথা ভেবে এখন আমার হাসি পাচ্ছে। একটু হাসলামও। কিন্তু আর হাসতে পারলাম না। কারণ, আমার সামনে এখন গোমড়া সবুজ এলিয়েনটা দাঁড়িয়ে!