প্রিয় বন্ধু

অলংকরণ: সাঈফ মাহ্‌মুদ

পাম্পুর ওপর সাইকেল জ্যাকসনের খুব রাগ। পাম্পুর কোনো কথা সাইকেল জ্যাকসন সহ্যই করতে পারে না। আজ তাই যখন পাম্পু বলছিল, ‘আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে’, ঝনাৎ করে খেপে গিয়ে সাইকেল জ্যাকসন বলে উঠেছিল, ‘আরে রাখো মিয়া তোমার আইডিয়া। তোমার জন্য আজ আমাদের এই দশা।’

পাম্পু আসলে পাম্প বা হাওয়া দেওয়ার ছোট একটা যন্ত্র। ছোট হওয়ার অসুবিধা হলো বড়রা তাদের দোষও ছোটদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়। এই এখন যেমন দিচ্ছে সাইকেল জ্যাকসন।

পাম্পু কিছু একটা বলতে চাইছিল। কিন্তু বেশি সুবিধা করতে পারল না। পাশ থেকে আধা চুপসানো ফুটু শ্বাসকষ্ট রোগীর মতো ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলে উঠল, ‘কথাটা সাইকেল ভাই একদম খারাপ বলেন নাই। এরা আসলে সুবিধাবাদী। দেখেন না, হেই বেডায় আপনেরেও পাম মারত, আমারেও পাম মারত। এই দুই নোলো সাপদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। বিপ্লব জিন্দাবাদ।’ ফুটু হচ্ছে একটা ফুটবল।

পাম্প দেওয়া মেশিনটা প্রতিবাদ করতে পারল না। তার নল আসলেই দুইটা। শরীরটাই আসলে লম্বা মোটা একটা নল। ওপরে একটা হাতল। হাতলটা টেনে ওপরে তুললে পাম্পু মুখ হাঁ করে পেটে একগাদা বাতাস ভরে নেয়। হাতলটা ঠেলে নিচের দিকে নামালে পাম্পু হাতির শুঁড়ের মতো লম্বা কিন্তু চিকন নাক দিয়ে বাতাস বের করে দেয়। সেটা তার দ্বিতীয় নল।

সেই নলের নাকের মাথায় একটা ক্লিপ বসানো থাকে। সেটা দিয়েই হাওয়া দেওয়া যায় সাইকেলের চাকা কিংবা ফুটবলে। ‘দুই নোলো সাপ’ গালিটা তাই নীরবে হজম করে যেতে হলো।

পাম্প দেওয়ার মেশিনটার সেই দ্বিতীয় নলের নাকটা, মানে ক্লিপটা ভেঙে গেছে অনেক দিন হলো। শুরুর দিকে যখন নষ্ট হব হব করছিল, তখন পাম্প দেওয়ার সময় বিচ্ছিরি রকমের শব্দ হতো। নিচতলার গ্যারেজে রাখা গাড়ির টায়ারগুলোর কেউ কেউ নাক চেপেও ধরত। ভাবত, পাম্প দেওয়া মেশিনটার নিশ্চয়ই পেট খারাপ থাকে, না হলে এমন শব্দ সে কেন করছে!

পাম্পটা অনেকবারই তার মালিককে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এমন লুজ নজেল দিয়ে পাম্প দিতে গিয়ে বারবার মান-সম্মান নিয়ে টানাটানির তো কোনো মানে হয় না। কিন্তু একে তো মালিক তার কথা বুঝতে পারে কি না, এ নিয়ে এখনো তাদের মনে সন্দেহ, তার ওপর মানুষের চরিত্র ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এখন কোনো যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে মানুষ তা সারানোর চেষ্টা করে না, এর বদলে নতুন কিনে নেয়।

একটু নষ্ট হলেই সারিয়ে তোলার বদলে সেটি ফেলে নতুন আরেকটি কেনার এই ব্যাপারটা ইদানীং মানুষের চরিত্রেও গিয়ে ঢুকছে। সম্পর্ক, মমতা, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব—এগুলোও তো মাঝেমধ্যে মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু মানুষ এগুলোরও রিপ্লেসমেন্ট খুঁজতে শুরু করছে এখন।

পাম্পুর জ্ঞানী জ্ঞানী ভাবনায় ছেদ পড়ল। ভেতরের আরও অন্ধকার থেকে মেঝেতে ঠুক ঠুক শব্দ তুলে ছুটে আসছে একটা চিত্কার, ‘আই অ্যাম আ ব্যাটম্যান, আই অ্যাম আ ব্যাটম্যান।’ সবাই চুকচুক করে উঠল। ব্যাটম্যানের মাথাটা আজ আবার বিগড়েছে। টেনিস বলে খেলার জন্য বানানো ব্যাট দিয়ে সত্যিকারের ক্রিকেট বলে খেলতে হলে যা হয়। হাতলটা হয়ে গিয়েছিল নড়বড়ে। ক্রিকেট ব্যাটের হাতলটাই তার মাথা।

তারপর থেকে সেই অচল ব্যাটটারও জায়গা হয়েছে এখানে। সমস্যা হলো মাঝেমধ্যেই ব্যাটটার কী যে হয়, ব্যাটম্যান ব্যাটম্যান বলে চিত্কার করতে থাকে। ক্রিকেটের সঙ্গে ব্যাটসম্যানের সম্পর্ক আছে, কিন্তু ব্যাটম্যান এল কোত্থেকে? কেউ জানে না।

কেউ যেমন জানে না, এই অন্ধকার জেলখানা থেকে তাদের মুক্তি মিলবে কবে। আদৌ মিলবে কি না।

তাই তারা এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছে। পাম্পুর মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছিল এই কয়েদখানা থেকে মুক্তির। কিন্তু সেটা কেউ শুনলে তো!

দুই

মুগ্ধর বাংলা মিস রচনা লিখতে দিয়েছে। রচনার বিষয়— প্রিয় বন্ধু। নিজে থেকে বানিয়ে লিখতে হবে। মুগ্ধ পড়েছে বিপদে। তার অনেক ক্লাসমেট আছে; কিন্তু বন্ধু নেই।

মুগ্ধ কয়েক দিন পর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এমন একটা ছেলের বন্ধু নেই? অনেকে শুনলে অবাক হবে। তবে ঢাকার ফ্ল্যাটবাসীরা জানে, এমনটাই হওয়ার কথা। এ বয়সী ছেলেদের বন্ধু তৈরি হয় খেলার মাঠে। মুগ্ধ আগে বাসার নিচের পার্কিংয়ে ক্রিকেট, ফুটবল খেলত। সাইকেলও চালাত। কিন্তু তখন অনেক ছোট ছিল। এ বয়সে আর নিচে ওসব করতে ইচ্ছা করে না।

মুগ্ধ এখনো ফুটবল খেলে, মোবাইলে। ক্রিকেটও খেলে, তা–ও মোবাইলে। সাইকেলের বদলে চালায় দারুণ দেখতে সব বাইক। সেটাও ভিডিও গেমেই। মুগ্ধর বন্ধু নেই, অনেক ‘ফ্রেন্ড’ অবশ্য আছে। গোপনে সে একটা ফেসবুক আইডি খুলেছে, সেখানে। কাজটা ভালো করেছে কি না, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। মা বলে, যে কাজ লুকিয়ে করতে হয়, যে কাজ ‘এটা আমি করেছি’—এমন গর্ব দিয়ে বলা যায় না, তা ভালো কাজ নয়।

বলতে বলতেই মুগ্ধকে ফেসবুকে মেসেজ পাঠাল রানভিন কাপড়। এটা আসলে তার ক্লাসের দীপ্ত। দীপ্তও একটা ভুয়া আইডি চালায়। প্রোফাইলে হিন্দি সিনেমার এক নায়কের ছবি লাগিয়ে রেখেছে। আর আইডির নাম লেখার সময় ইংরেজিতে কাপুর লিখতে গিয়ে ভুল করে লিখেছে কাপড়!

‘রচনা লেখা শেষ?’ দীপ্তর জিজ্ঞাসা।

‘না, বুঝতে পারছি না, কী লিখব। তুমি লিখেছ?’

‘আরেহ, আমার লেখা তো কখন শেষ।’

‘তাই নাকি, কী বলো!’

‘চিকন বুদ্ধি ইউজ করো, বুঝলা। আমি “ফ্রেন্ড শিপ” লিখে গুগল করছি। তারপর ইংরেজিতে কিছু রচনা টাইপ পাইছি। ওইগুলা গুগলেই ট্র্যান্সলেট করে বাংলা বানায় ফেলছি। এত ঝামেলা করার টাইম আছে!’ সত্যিই তো, প্রিয় বন্ধুর পেছনে কে এখন এত হাঙ্গামা করবে!

কিন্তু যে কিনা কাপুর লিখতে গিয়ে কাপড় লিখে ফেলে, সে গুগল ব্যবহার করে কী রচনা লিখেছে, কে জানে। হয়তো লিখেছে: ‘বন্ধু জাহাজ অনেক বড় একটা ব্যাপার’। ফ্রেন্ডশিপ কথাটা দীপ্ত আলাদা করে লেখে, মুগ্ধ আগেও খেয়াল করেছে।

দীপ্তর আইডিয়াটা পছন্দই হলো না মুগ্ধর। ফেসবুক বন্ধ করে সে ভাবতে থাকল, এই জীবনে কার সঙ্গে সে সবচেয়ে আনন্দময় সময় কাটিয়েছে? এই জীবনে কে বা কারা তাকে শুধু দিয়েই গেছে, বিনিময়ে কিছু চায়নি বা নেয়নি। বাবা? মা?

মুগ্ধ প্যাডেল মারছিল আর বলছিল, ‘বাবা ছেড়ে দিয়ো না, ধরে রেখো কিন্তু, বাবা!’ বাবা অভয় দিচ্ছিল, ‘আরে ছাড়ব না, তুমি প্যাডেল মারো।’

হঠাৎ তাদের কথা মনে পড়ে গেল মুগ্ধর। সে ছুটল তাদের স্টোররুমে। না, মা–বাবার খোঁজে নয়। কর্মব্যস্ত মা–বাবার চেয়েও তাকে অনেক বেশি সময় দিয়েছিল ওরা। ওরাই তো মুগ্ধর বেস্ট ফ্রেন্ড!

স্টোররুমটা অনেক দিন ধরে খোলা হয় না। দরজা খুলতেই একটা বদ্ধ বাতাসের গন্ধ ঝাপটা দিল মুগ্ধর নাকে। ভেতরে ধুলার আস্তরণ। মুগ্ধ খুকখুক করে কাশলও। ওই তো মেঝেতে ধুলোর মধ্যে নিথর পড়ে আছে। সব কটির কী আদুরে নামই না দিয়েছিল সে। ওই তো সাইকেল জ্যাকসন, ওই ফুটু, ওই তো পাম্পু।

ওই যে দেখা যাচ্ছে খেলনা ট্রেনটা, কী যেন নাম দিয়েছিল? যাহ, মনেই পড়ছে না। ওই যে মুগ্ধর প্রথম রিমোট কার, পেছনের চাকাগুলো খুলে কোথায় ছুটে গেছে কে জানে। আর ওই যে সেই ব্যাট, যেটা দিয়ে সে ভেঙে দিয়েছিল ব্রায়ান লারার রেকর্ড, সেটা অবশ্য কেউ জানে না। জানে শুধু তাদের গ্যারেজ।

আর সাইকেলটা? মুগ্ধর আজও মনে পড়ে সেই দিনটার কথা। পেছন থেকে সাইকেলটা ধরে রেখেছিল বাবা। মুগ্ধ প্যাডেল মারছিল আর বলছিল, ‘বাবা ছেড়ে দিয়ো না, ধরে রেখো কিন্তু, বাবা!’ বাবা অভয় দিচ্ছিল, ‘আরে ছাড়ব না, তুমি প্যাডেল মারো।’ তবু ভয় কাটে না মুগ্ধর, ‘বাবা ছেড়ো না, ছেড়ো না।’ ভয় আর রোমাঞ্চ মিলেমিশে একাকার! হঠাৎ মুগ্ধ খেয়াল করেছিল, পেছন থেকে বাবার আওয়াজ পাচ্ছে না। আরেহ ওই তো, বাবা দাঁড়িয়ে মুখ টিপে হাসছে। তাহলে সাইকেলের পেছনটা ধরে আছে কে? তার মানে!

জীবনে প্রথম একা একা সাইকেল চালাতে পারার আনন্দের সঙ্গে আর কিছুর তুলনা হয় না। জিপিএ ফাইভ পাওয়ার চেয়েও সেই আনন্দ কয়েক হাজার গুণ বেশি!

হঠাৎ সব কটি বাতিল খেলনা ধুপধাপ পড়ে যেতে শুরু করল। বাইরে থেকে একটা দমকা বাতাস এসেছে বলে হয়তো। মুগ্ধর অবশ্য ভাবতে ইচ্ছা করল, তাকে দেখেই তার একদম ছোটবেলার খেলার সঙ্গীগুলো খুশি হয়েছে।

সব কটি বারান্দায় এনে রাখল মুগ্ধ। আহা রে, সাইকেলের চাকা দুটো কেমন দেবে গেছে, পাম্প দিতে হবে। পাম্প দেওয়ার মেশিনটাও নষ্ট! সব কটি ধুয়ে–মুছে ঠিক করতে হবে।

অনেক দিন ফুটবলে লাথি মারা হয়নি, ফিফা খেলে কি আর আসল ফুটবলের আনন্দ পাওয়া যায়! আজকে বিকেলে আবার গ্যারেজে নামবে মুগ্ধ। ভাবতেই রোমাঞ্চ হচ্ছে।

তবে সবার আগে প্রিয় বন্ধু নিয়ে রচনাটা লিখে ফেলা দরকার। আমার ছোটবেলার খেলার সঙ্গী ছিল যারা, ওরাই আমার প্রিয় বন্ধু, প্রথম লাইনটা মনে মনে ঠিকই করে ফেলল মুগ্ধ।

তিন

স্কুলে আজ মুগ্ধ দারুণ হাততালি পেয়েছে। সবাই প্রিয় বন্ধু বলতে কোনো না কোনো মানুষের কথাই লিখেছে। আরিয়ান যেমন লিখেছে অপূর্বের কথা। তবে মুগ্ধ কি আর জানে না, পেটুক আরিয়ানকে অপূর্ব রোজ তার টিফিনের ভাগ দেয় বলে, না হলে আগে আরিয়ানের প্রিয় বন্ধু তো ছিল আফরান।

কেবল মুগ্ধ প্রিয় বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছে এমন কিছু, যা কেউ ভাবতে পারেনি। এরপর অবশ্য অনেকে বলেছে, তার প্রিয় বন্ধু হলো বারান্দার টবে রাখা গাছ। কেউ বলেছে, তার প্রিয় বন্ধু প্রায়ই তাদের গ্রিলে এসে বসা দুটো চড়ুই পাখি। এমনকি আরিয়ানও মুখ ফসকে বলে বসেছে, ‘আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হচ্ছে আমাদের বাসার ফ্রিজ। কত ইয়াম্মি চকলেট, আইসক্রিম...।’ শুনে আরিয়ানের দিকে বাড়িয়ে রাখা টিফিন বক্সটা টেনে নিয়েছে অপূর্ব।

মুগ্ধ যে সবাইকে নতুন করে ভাবাতে পেরেছে, এর জন্য মিস ওকে একটা গোল্ডেন স্টার দিয়েছে খাতায়।

বাবা আর মাকে এই গল্পগুলো শোনানোর জন্য মুগ্ধর তর সইছে না। আজ মা কেন জানি বাসাতেই আছে, কিসের ছুটি।

ড্রাইভার আংকেলের সঙ্গে স্কুল থেকে ফিরে মুগ্ধ দ্রুত লিফটে ঢুকতে যাবে, ওমনি এক লোকের সঙ্গে ধাক্কা প্রায় লেগেই গিয়েছিল তার। লোকটাকে আগেও কোথাও যেন দেখেছে মুগ্ধ। মাথায় ইয়া বড় একটা ঝাঁকা।

ছুটে বাসায় ঢুকে হাঁপাতে হাঁপাতে মাকে সব খুলে বলল মুগ্ধ। মা–ও খুশি হয়েছে খুব। আজ মুগ্ধর জন্য হবে স্পেশাল রান্না।

মুগ্ধ ভাবল, যাই, আমার প্রিয় বন্ধুদেরও খবরটা দিয়ে আসি। আসল বাহবা তো ওদেরই পাওনা।

তা ছাড়া কাল ছুটি। আজকেই ওদের সব কটিকে ধোয়া-মোছা করতে হবে। সাইকেলটা অবশ্য এখন আর চালাতেই পারবে না, ওটা একদমই ছোট। তবু পুরোনো বন্ধুকে কাজে লাগছে না বলে ভুলে যেতে হবে! এই ভুল সে আর করতে চায় না।

বারান্দায় এসে মুগ্ধ দেখল, সেখানে কিছুই নেই। মা কি সেগুলো আবার স্টোররুমে ঢুকিয়ে রাখল? স্টোররুম খুলে মুগ্ধ আরও অবাক। কিছুই নেই সেখানে। পুরোনো অনেক খবরের কাগজ ছিল, তা–ও নেই।

হঠাৎ একটা ভয় গ্রাস করতে শুরু করল। লিফটে ঢোকার মুখে প্রায় ধাক্কা লেগে যাওয়া লোকটাকে এবার ঠিক চিনতে পারল মুগ্ধ। কয়েক মাস পরপর পুরোনো পেপার কিনতে এসে লোকটা শুধু বলত, ‘আফা, আর কিছু নাই। পুরান জিনিসপত্র, লোহালক্কড়, পেলাস্টিক?’

এক দৌড়ে মুগ্ধ নামল সিঁড়ি দিয়ে। লিফটের জন্য অপেক্ষা করতেও ইচ্ছে করছিল না যে! কিন্তু কোথায় সেই লোকটা?

হু হু করে কেঁদে দিল মুগ্ধ। এই প্রথম সে বুঝতে পারল, ‘প্রিয় বন্ধু’ রচনায় আসল লাইনটাই তার লেখা হয়নি—হারিয়ে গেলেই কেবল বোঝা যায়, সেই বন্ধুটা কত আপন ছিল!