বিড়াল
আমার আছে পোষা প্রাণী
সে হলো বিড়াল।
সব সময় তার দিকে
রাখতে হবে খেয়াল।
চোখের আড়াল হলেই বিড়াল
মাছ করবে সাবাড়।
রোজ চাই তার সকাল বিকাল
ভালো ভালো খাবার।
কাওমী চাঁদনী
শখের বক
একেক রকম মানুষ
একেক রকম শখ,
আমার যে ভাই শখ হয়েছে
পুষব সাদা বক।
বক কোথায় যায় রে পাওয়া
ভাবতে আমি থাকি
কী করব বুঝছি না তাই
বাবাকে আমি ডাকি।
বাবাকে জিজ্ঞেস করি,
‘কোথায় পাব বক?’
বাবা বলে, ‘ব্যস্ত আছি’
করো না বক বক।
কী আর করি মার কাছে যাই
বক যে আমার চাই
রাগ করে মা আমায় বলে
কর যা মনে তাই।
হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে,
ঢাকায় কী বক আছে?
রড-সিমেন্টের এই জগতে
বক কী করে বাঁচে?
নিজের কথা ভেবে আমি
নিজেই হাসতে থাকি
এত হাসি বলো আমায়
কোথায় এখন রাখি?
সুনেহির পার্থিব
ক্লাস এইট
১.
আনিলার বেঞ্চিতে কে যেন চুইংগাম লাগিয়েছে,
স্যার, আশিক আজ স্কুল পালিয়েছে।
আবিরের সাইকেলের টায়ার ফুটো করেছে কারা যেন,
বলবে কি কেউ, নীতুর টিফিন চুরি হলো কেন?
স্যার, আজ সবকিছুর করতে হবে বিচার।
স্যার ভাবেন মনে মনে, ‘কেন যে হলাম টিচার...’
২.
চুইংগাম কে লাগিয়েছ, স্বীকার করো তাড়াতাড়ি
কতবারই বললাম তো, চুইংগাম খাওয়া বাড়াবাড়ি
আনিলা বলে, ‘আশিক এ কাজ করেছে, স্যার’
আশিক তো পালিয়েছে স্কুল, তাই থেমে গেল বিচার।
কিন্তু আশিক পালিয়ে যাবে কই? ফিরে সে আসবেই
তখন স্যারের শাস্তির জালে ছেলেটা ফাঁসবেই।
সাইকেলের টায়ার ফুটো করিস, দিয়ে দিবি সারানোর দাম,
নইলে বেতিয়ে শরীর থেকে ছুটিয়ে দেব ঘাম।
টিফিনের বক্স নিরাপদে রেখো, যে খেয়েছে, পেয়েছিল বড় খিদে,
তবু জেনো, শুনলে এ কথা, টেবিলের নিচে মাথা করতে হবে সিধে।
আর শোনো, তোমরা বড় হয়েছ, এত নালিশ করবে না আর
নিজেদের ঝামেলা, নিজেরা মেটাও, আমার কানে করবে না চিত্কার।
৩.
পরদিন আশিক স্কুলে এসেছে, কেউ বলল না, আশিক এসেছে স্যার
আনিলা কতগুলো চুইংগাম আশিককে দিল উপহার
সঞ্জয় আবিরের টায়ারে দিয়েছিল বাঁশ, সেও ঘোরে আবিরের ক্যারিয়ারে।
নীতু আজ তার টিফিন বক্স চেক করে না বারে বারে
এখন কোনো ঝামেলা নেই, আমরা শুরু করেছি বড় হওয়া
যত যাই হোক, দিন শেষে মোরা বন্ধুই, যাদের কাছে প্রাণের কথা কওয়া।
আলী মোর্তজা