পঞ্চাশই ভাড়া হয়
এক রাতে ধরল আমাকে দুই ডাকাতে
গুলিস্তানের মোড়, ঢাকাতে—
ঠেলেঠুলে নিয়ে গেল ফাঁকাতে
বলল মাটির দিকে তাকাতে—
উঁচু করে ইয়া বড় চকচকে ছুরিটা
বলল, আওয়াজ দিলে ফেঁসে যাবে ভুঁড়িটা
চলবে না ট্যাঁ–ফোঁ জারিজুরিটা।
মানিব্যাগ সার্চ করে টাকা পেল কুড়িটা—
কলারটা ধরে এক ডাকাতে
খুব রেগে শুরু করে ঝাঁকাতে
ডান হাতে গেল ঘুষি হাঁকাতে
মানিব্যাগে মোটে ওই কুড়ি টাকা থাকাতে—
টাকা নিয়ে তারা দু পা বাড়াতে
মনে পড়ে যেতে হবে তেজকুনিপাড়াতে
রাস্তায় বাস নেই—রাত বেশি বাড়াতে
অগত্যা পথরোধ করে হলো দাঁড়াতে—
মনে হলো—ভুল হবে পুরা দাবি ছাড়াটা
রাস্তায় আলো কম, সুনসান পাড়াটা
সোজা নয় হেঁটে ঘরে ফিরে যেতে পারাটা
বলি—ভাই দিয়ে যান রিকশার ভাড়াটা।
একজন বলে—দাঁত ফেলে দেব চড়িয়ে;
ধরলাম অতঃপর হাত তার জড়িয়ে
অতিদ্রুত সে–ও তার হাত নিল সরিয়ে
কেটে পড়ে পঞ্চাশ টাকা হাতে ধরিয়ে।
নিল বিশ, পঞ্চাশ দিল ওরা কী ভেবে!
তবে ওরা বোকা নাকি! নাকি কাঁচা হিসেবে!
ভেবে শেষে বুঝলাম—বোকা কাঁচা তারা নয়
তেজকুনিপাড়াতক পঞ্চাশই ভাড়া হয়।