দাদুর ব্যাটিং

অলংকরণ: এস এম রাকিব

দাদুর বয়স সেভেনটি আর নাতির বয়স ফোরটিন

বলেন দাদু, ‘ক্রিকেট খেলা কী আর এমন কঠিন?

আজকালকার ছেলেপেলে

কী যে ছাতার ক্রিকেট খেলে!

খেলতে নেমে খেই হারিয়ে দৌড়ায় পাসপোর্টহীন

ওদের দেহে ঘাটতি যেন ভিটামিন আর প্রোটিন।

‘আরে বাবা! খেলবি তো খেল—এমন পিটান পিটা

বোলার যেন বুঝতে পারে পিটান কেমন মিঠা।

ব্যাট চালিয়ে বলটাকে দে এমন তুলো ধুনে।’

(নাতির মুখে ঢুকল মাছি দাদুর কথা শুনে)।

‘বোলিং হবে বুলেট গতির, সামাল দিতে দিতে

স্ট্যাম্পটা উপড়ে গিয়ে পড়বে গ্যালারিতে।

ছক্কা–চারের ঝটকা তুফান ছুটবে সমানতালে

কত ক্রিকেট খেলেছি যে আমরা বয়সকালে।

প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি আর উইকেট পাঁচ–ছটা

শত শত কাপ জিতেছি রাখব হিসাব কটা!

‘কিন্তু এখন ক্রিকেট যেন

দিনকে দিনে হচ্ছে ন্যানো

বোলিং–ব্যাটিং খুব সাধারণ, বলব এসব কাকে?’

ঠিক তখনই একটা মশা বসল দাদুর টাকে।

দাদু চেঁচান ‘উরিব্বাবা! মশা তো নয় হাতি।’

ইলেকট্রিকের ব্যাটটা এনে এগিয়ে দিল নাতি।

বলল, ‘দাদু ব্যাটিং করো দেখব তোমার শটে

কয়টা মশা আটকে গিয়ে মরণদশা ঘটে।’

সজোরে ব্যাট চালান দাদু দুষ্টু মশার ঝাঁকে

ততক্ষণে মশারা সব খেলছে দাদুর টাকে।

মশার ঘষায় নাকাল দাদু, চামড়া গেছে ফুলে

দাদু বলেন, ‘পরিস্থিতি নয় রে অনুকূলে।

ইলেকট্রিকের ব্যাটে কি আর ছক্কার সাধ মেটে!’

‘ঘুম পাচ্ছে’ বলেই দাদু দ্রুত পড়েন কেটে।