ছোট হওয়ায় আনন্দ নাই

অলংকরণ: এস এম রাকিব

রোমেন রায়হান

বাসায় ছোট হওয়ার জ্বালা যে ছোট সে বোঝে

বিরক্তিকর কাজগুলোতে ছোটটাকেই খোঁজে!

আমি বাসায় সবার ছোট, তাই আমি সব জানি

ছোট হওয়ায় আনন্দ নাই, যা আছে তা গ্লানি!

ভাইয়া, আপুর সুখের জীবন, লাগায় না হাত, কাজে

আমায় ডাকে, ‘শুনছিস না! কলবেল যে বাজে!

দরজাটা খোল, কে এল দেখ! দে খুলে ছিটকিনি!’

আমার ঘাড়েই দরজা খোলার দায়িত্ব সব দিনই!

শাড়ি পরার সময় আপু ধরায় শাড়ির কুঁচি

প্রতিদিন ভাইয়া এবং বাবার জুতা মুছি!

বিরক্তিকর সবগুলো কাজ করতে আমায় বলে

‘নিচে গিয়ে মটরটা ছাড়! পানি তো নাই কলে!’

‘দেখিস না যে ঝড় হচ্ছে! সব জানালা লাগা’

দেরি হলে চলবে জোরে ঝাড়ির কামান দাগা!

খাবার সময় ‘টেবিল সাজা! সব গ্লাসে ঢাল পানি!’

ছোট হওয়ায় আনন্দ নাই, যা আছে তা গ্লানি!

ছোট হওয়ার যন্ত্রণা কী! বুঝবে না তা জাতি!

‘সন্ধ্যা হলো! এখনই যা, জ্বালা ঘরের বাতি!’

‘এই দিকে আয়, যত্ন করে মশারিটা খাটা

ঘরের বাতি দে নিভিয়ে, তারপরে দে হাঁটা!’

দশ বছরের জীবন আমার অভিজ্ঞতায় ঠাসা

ছোটজনের ঘাড়ের ওপর সচল সবার বাসা।

থাকত যদি ভাই অথবা বোন যে আমার ছোট

পেতাম আমি স্বাধীন জীবন, কাজ ফেলে স্রেফ টো টো!