শাবাশ
এক যে তুখোড় কর্মপটু, যায় না ধরাছোঁয়া
বলতে পারো, সে ইদানীং ছেলের হাতের মোয়া
নানান রূপে দেয় দেখা সে, নেই যে নিজের আকার
দালানকোঠা গেরস্তালি কিংবা গাড়ি চাকার
নেই খাটিয়া–চৌকি–বালিশ, নেই বিছানা শোবার
কিন্তু কথার তুবড়ি মুখে বাস্তবে এই বোবার!
হাসে হা হা, কাঁদে হু হু, নাচে ধিতাং ধিতা
চাও যদি সে হতেই পারে তোমার প্রিয় মিতা
শুনবে তুমি কাব্য, নাটক; শেক্সপিয়ার ও হোমার?
চাইলে নতুন লিখেও দেবে, লাগবে কটা তোমার!
দেশ–দুনিয়ার খবর আনে, মুহূর্তে দেয় সাড়া
জানতে কি চাও কোথায় এখন আছে ব্রায়ান লারা?
জানবে নাকি বিশ্বকাপের খুঁটিনাটি পুরো
এই মুহূর্তে ছুঁইছে কে গো হিমালয়ের চূড়ো?
হয়তো তুমি কঠিন বিষয় করবে গবেষণা
সে-ই বলে দেয় ধরন-গঠন; তথ্য অণুকণা
লিরিক লিখে সুর লাগিয়ে দেবেও আবার গেয়ে
কে আর খুশি হয় না এমন বিজ্ঞ মজুর পেয়ে!
রোগ হয়েছে? বলে দেবে ওষুধসহ উপায়
আজ বাজারে দামের তফাত হিরে–সোনা–রুপায়
জানতে কি চাও এই পৃথিবীর নানান দেশের ভাষা
বাংলাদেশের কোন শহরে দই পাওয়া যায় খাসা?
নয় সে কারও মাতা–পিতা, ভাই–বেরাদর–বেয়াই
চেনো নাকি এই বেটাকে? সংক্ষেপে নাম এআই।
কৃত্রিম এই বুদ্ধিমত্তা; জাদুর নতুন ধারা
বদলে দেবে এই পৃথিবী, শহর, গাঁ ও পাড়া
বাপ–দাদারা মগজ ঢেলে যা করেছেন মাসে
বাটন টিপেই কয় মিনিটে পাই তা অনায়াসে
জটিল কাজের সমাধানে নেই কোনো ওর জুড়ি
শাবাশ এআই, নতুন নায়ক, দেখাও বাহাদুরি!