আরজু নামের তুখোড় ছেলেটি

অলংকরণ: শিখা

আরজু ক্লাশে অসাধারণ, পরীক্ষাতে তার যা ফল!
পাঠ করে সে রবীন্দ্রনাথ, সারামাগো আর জাঁ পল।
পাঠশালাতে লেখাপড়ায় ছাত্র কোথায় তার মানের?
ক্লাশের প্রথম স্থানটি নিয়ে আরজু ও সেই আরমানের
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই; তবু ভক্ত সবাই আরজুরই
বহিঃপাঠ ও খেলাধুলায় মেলে কি আর তার জুড়ি?
মুখেই কষে অনেক অংক, নেই প্রয়োজন চক–খাতার
ক্রিকেট খেলা—দেখতে যদি হাত খুলে মার; ছক্কা তার!
জুডো খেলবে? প্যাঁচ খেয়ে ওর ঘুড়ির মতো নাট খাবে
সৎ সচেতন এই ছেলেকে কোন দিকে আর আটকাবে?
ঝগড়াঝাঁটি, হিংসে, কুচাল কেউ পাবে না ওর কাছে
কিন্তু পাবে অন্য কিছু: যে প্রাণ ধরে লোরকা, চে...

খুব সাধারণ লোকের মতোই ওর রুটি বা ভাত খাবার—
এসব শুনে মুখটা কারও হতেই পারে আঁতকা ভার
‘আমার ছেলে খায় না কিছুই’—খেদটি যেমন ওর মাতার
বিজ্ঞাপনের কাচ্চি পোলাও নয় প্রিয় শিক কোর্মা তার।

পিত্জা পুডিং হট চকোলেট নয় প্রিয় চিজ বরফি তার
এসব নিয়ে দুঃখ কত টাকার কুমির ওর পিতার!
ফ্যাশন–ভূষণ বাহুল্য যা ধেয়ে আসে ওর দিকে
আরজু সেসব ঝেড়ে ফেলে, যেমন লোকে সর্দিকে...

কিন্তু আছে আগ্রহটা দেখার চতুষ্পার্শ্বকে—
এই শহরের বাতাসে সে নতুন পুষ্পসার শোঁকে।