এক শতে ১০০

অলংকরণ: রাকিব

এক শতে ১০০টা পেলে কেউ—মেধাবী
প্রতি মাসে করে থাকে খেলনার সে দাবি।
সবকিছু পেয়ে যায় রাগে সে, জিদে সে
উপহার নিয়ে আসে—যারা থাকে বিদেশে।
র‌্যাপিং পেপারে মোড়া, বাঁধা থাকে রিবনে
নানা রং আসে যায় মেধাবীর জীবনে।

মেধাবীর বেড়ে ওঠা সকলের আদরে
বলা থাকে, তার দোষ কেউ যেন না ধরে!
তটস্থ পরিবার, ভালো হবে কী খেলে
বরাদ্দ এক গ্লাস দুধ প্রতি বিকেলে।
বাকিরা আধা ডিম, তার ভাগে পুরোটা
তার পাতে চলে যায় কাতলের মুড়োটা।
মেধা হয় বিকশিত বেদানায়, আপেলে!
মেধাবীর চোখ ছোট এইগুলো না পেলে।

খাঁচা থেকে তাকে দেখে আটকানো পাখিরা
তার মতো স্বাধীনতা পায় না তো বাকিরা।
কালো বিড়ালের লেজ দড়ি দিয়ে বাঁধে ও
ঘুড়ি নিয়ে চাইলেই যেতে পারে ছাদে ও

বড়দের সাথে বসে খেতে পারে কফি সে
তাঁকে নিয়ে কথা হয় বাবা-মা’র অফিসে।
তার নামে বকা খায় যারা তার বয়সে
সেটা দেখে, সেটা শুনে খুশিটুশি হয়ও সে!

এক শতে ১০০ তো হয়ে গেল কিআরও!
খোঁজ নিয়ে দেখো দেখি করছে সে কী আরও!

(কিশোর আলোর ১০০তম সংখ্যায় প্রকাশিত)