ক্যালার চন্দ্রবিন্দু

অলংকরণ: মাহফুজ রহমান

ভয় দেখানো নয় তো সোজা, সূত্র আছে ম্যালা,
ভয় দেখানোর শর্টকোর্সে ভর্তি হলো ক্যালা।
ক্যালা হলো কালীগঞ্জের শেওড়াতলাবাসী,
ইদানীং সে নিচ্ছে সবক, শিখছে ভয়ের হাসি।
শর্টকোর্সটা শেষের পথে, প্র্যাকটিক্যালের শুরু,
‘ভয় দেখিয়ে আয় তো বাছা’ বলল ক্যালার গুরু।
‘ভয় দেখানোর ভিডিওটা পরশু দিবি জমা,’
সঙ্গে গুরু ভয় দেখালেন, ‘নইলে নাহি ক্ষমা!’
ক্যালাটা ভাই লাজুক ভীষণ, গাছেই পড়ে থাকে,
গুরুর আদেশ শুনে যে তার পেট গুড়গুড় ডাকে।
তারপরও সে সাহস করে অমাবস্যার রাতে
বেরিয়ে পড়ে ভয় দেখাতে জানটা নিয়ে হাতে।
বিপিন বাবু বাংলা পড়ান, সুনাম আছে ভারি
উচ্চারণে ভুল করলেই দেন ভয়ানক ঝাড়ি!
ঝাড়ির চোটে বাড়ির রাস্তা যায় কেউ কেউ ভুলে,
তাঁর সামনেই ক্যালা হাজির হাওয়ায় দুলে দুলে!
আমতা আমতা করে ক্যালা বলল, ‘আঁ-আঁ-আঁমি...
ভঁয় দেঁখাতে এঁলাম তঁবে বঁড়ই শাঁন্তিকাঁমী।
ভঁয়ের চোঁটে ভিঁরমি খেঁলে মাঁফ কঁরবেন, সঁরি...!’
দৃশ্যপটটা বদলে গেল তার কিছুটা পরই!
রাগের চোটে বিপিন বাবু দিলেন ঝাড়ি কড়া—
‘ভূত হয়েছিস তাই বলে কি ভুলবি বইয়ের পড়া!
প্রতি শব্দে চন্দ্রবিন্দু—শিখলি কোথায় শুনি?
ভূত নস তুই আস্ত একটা বাংলা ভাষার খুনি!’
বিপিন বাবুর ঝাড়ি খেয়ে ক্যালার ঘোরে মাথা,
সেই থেকে সে বদলে গেল, কাঁথাকে কয় ‘কাথা’!