গিয়েছিলাম বিয়ে খেতে

অলংকরণ: মানিক-রতন

বিয়ের দাওয়াত পেলেই আমার মনটা ওঠে নেচে
তৈরি হতে শুরু করি কাপড়চোপড় কেচে।
কমিউনিটি সেন্টারে না, বিয়ের দাওয়াত খেতে
সেজেগুজে হচ্ছে এবার হাসপাতালে যেতে...

কী যে দাওয়াত খেতে এলাম! কেমন ধারা বিয়ে!
ওজন মেপে, প্রেশার মেপে ঢুকেছি গেট দিয়ে।
মঞ্চ আছে। মাথার ওপর ঘুরছে জোরে পাখা
বর ও কনে বসবে বলে হুইলচেয়ার রাখা!

বরযাত্রী হাজির হলো অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে
চিমটি কাটি। আমি জেগে! নাকি ঘুমের ঘোরে!
বর কী রকম দেখব বলে দৌড়ে ছুটে যাই
বরের দেখি মাথায় টোপর, মুখে রুমাল নাই।

বর ভালো তো! নাকি রে ভাই গুপী বাঘার গুপী?
বরের মাথায় অপারেশন থিয়েটারের টুপি!
রুমাল ফেলে মাস্ক দিয়ে বর মুখ রেখেছে ঢেকে
মাথা হলো এলোমেলো ব্যাপার-স্যাপার দেখে।

বিয়েবাড়ির খাবার দেখে অবাক হয়ে মরি
রোস্ট রেজালার জায়গাটাতে ভিটামিনের বড়ি!
বোরহানি নেই। ইচ্ছে করে? নাকি কারোর ভুলে!
বেয়ারাটা দিয়ে গেল খাবার স্যালাইন গুলে।

মালাবদল দেখে আমার জ্ঞান বুঝি পায় লোপ
মালা কোথায়? অদলবদল হলো স্টেথোস্কোপ।
সবাই বিয়ের ছবি তোলায় ফটোগ্রাফার দিয়ে
এই বিয়েতে লোকরা হাজির এক্স-রে মেশিন নিয়ে!

এই বিয়েতে খটকা আছে বোঝা উচিত ছিল
প্রেসক্রিপশন প্যাডে যখন বিয়ের দাওয়াত দিল।
খটকা কোথায় বোঝা গেল অনেক ভাবার পর
এমবিবিএস এই বিয়েটার কনে এবং বর।