গ্রীষ্মকালে বন্ধু চিনি

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

বন্ধু আছে রাজশাহীতে, বন্ধু আছে চাঁপাই
যাদের কথায় সারা বছর নাচি-লাফাই-ঝাঁপাই।
একসাথে খাই ঈদের খাওয়া, একসাথে খাই পূজার
চোখের আড়াল হলে করি ফোনের ব্যালেন্স উজাড়।

বন্ধু আমার স্বর্ণ-হীরা, নয়তো তামা–পিতল
বসন্তকাল ফুলে ভরা, হয় না শীতে শীতল।
গ্রীষ্ম এলে দৃশ্য বদল, বদলায় এই স্বভাব
ফোন ধরে না, ব্যাক করে না, দেয় না চিঠির জবাব!
নামের পাশে সবুজ বাতি, সিন করে না মেসেজ
আর কী করে বলতে গেলে লিখতে হবে প্যাসেজ!

গ্রীষ্মে কেন এসব করে? ঠিকই বুঝি কারণ
এমন তো নয় হাওয়া খেয়ে করছি জীবনধারণ!
গ্রীষ্মকালে আমের সিজন, কারণ এটাই প্রধান
ভাবছে ওদের করতে হবে আমাকে আম প্রদান!

গ্রীষ্মকালই চেনার সময় বন্ধু আসল-নকল
বাকি সময় কাদের জন্য সহ্য করি ধকল।
আম খাওয়ানোর ভয়ে যারা গ্রীষ্মকালে লুকায়
তাদের দেওয়া আঘাত কি আর খুব সহজে শুকায়?
টের পায় নাই রেগে গেলে আমি কেমন জিনিস!
ওদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এখন থেকে ফিনিশ।

আমের দেশের বন্ধু নিয়ে কষ্ট আমার ভীষণ
এই গ্রীষ্মেই হাতে নিলাম এক বছরের মিশন!
মিশনে নেই লুকোচুরি, নেই তো কিছুই গোপন
শেষ করেছি ছাদের টবে আমের চারা রোপণ।
আগামীবার ছাদবাগানেই হবে আমের ফলন
দুষ্টগুলোর সাথে আমার বন্ধ চলনবলন।

গ্রীষ্মকালে বন্ধু চিনে বন্ধু কিছু হারাই
অপরদিকে আম বিষয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াই।