পরির মেয়ে চাঁদের হাসি
নাচ করে না গান করে না
লেখাপড়ায় মন-উদাসী।
হাওয়ায় ওড়ে কোথায় ঘোরে
মা ডাকলেই বলে ‘আসি’,
কিন্তু মেয়ে ঘুরতে থাকে
নদীর বাঁকে স্বপ্ন আঁকে
কল্পনাতে দূর বিলাসী,
পরির মেয়ে চাঁদের হাসি।
মা-পরি হায় দুশ্চিন্তায়
বাঁক হারিয়ে দূর নীলিমায়
তাকিয়ে ভাবে—সর্বনাশী
নাম দিয়েছি চাঁদের হাসি
চাঁদের মতো হবি না তুই
হবি লোকের বাঁদি-দাসী!
পরির মেয়ে চাঁদের হাসি
হাসলে ঝরে মুক্তো রাশি
হেসেই বলে—শোনো তো মা
এমন করে আর বোলো না
লেখাপড়া শিখব আমি
হোক না বয়স সত্তর-আশি।
পরি দিল মাথায় ঝাঁকি—
এই মেয়েটা পাগল নাকি?
হতচ্ছাড়ি সর্বনাশী
সবই তখন হবে বাসি।
এবার মেয়ে চাঁদের হাসি
বলল কথা অবিনাশী—
পড়ব আমি লিখব আমি
মা তোমাকে ভালোবাসি।
মা বলল—চাঁদের হাসি
আমিও তোকে ভালোবাসি।