আমার ছোট্ট বন্ধু

তখন আমি ক্লাস টু-থ্রিতে পড়ি। একদিন দেখলাম আমাদের পাশের বিল্ডিংয়ে একটা নতুন পরিবার উঠল। তাদের ৩-৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে ছিল। নাম ইলমা। ধীরে ধীরে ইলমার সঙ্গে আমার খুব ভালো সখ্য গড়ে ওঠে। ইলমার মা-বাবা দুজনই চাকরি করতেন। দিনের বেলায় ও থাকত মায়ের অফিসের ডে-কেয়ার সেন্টারে।

সন্ধ্যায় আমি স্কুল থেকে ফিরতাম। ইলমাও তখন বাসায় ফিরত। আমাদের দুই বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় কথা বলা যেত সহজেই। ইলমা বাসায় এসেই ডাকতে থাকত, ‘মালি, অ্যাই মালি, মালি!’—ঠিক এভাবেই। খাওয়ার সময়ও কথা বলতে বলতেই খেত। এভাবে দিন কাটতে লাগল।

মাসখানেক পরে ওরা এই বাসা ছেড়ে ওর মায়ের অফিসের কাছাকাছি কোথাও বাসা নেয়। তখন ওদের ফোন নম্বরটাও রেখে দেওয়া হয়নি।

এখন হয়তো ইলমা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমার কথা ওর মনে আছে কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওকে সব সময় আমার সেই ছোট্ট বন্ধু হিসেবেই মনে রাখব।