জন্মদিনে কী ট্রিট দিচ্ছ?

অলংকরণ: রেহনুমা প্রসূন

প্রিয় কিআ,

সেপ্টেম্বর সংখ্যাটি খুব ভালো লেগেছে আমার। এ মাসে তোমার জন্মদিন। তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মজার ব্যাপার কি জানো? এ মাসের ৯ তারিখ আমারও জন্মদিন। তবে জানো, কয়েক বছর ধরে আমার জন্মদিনের সময় দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকছে। তাই আমার বান্ধবীরা আমাকে কিছু দিতে পারে না। আর আমিও ওদের কিছু দিতে পারি না। আমি আমার বান্ধবীদের জন্মদিনে সারপ্রাইজ প্ল্যান করি আর আমি কিছুই পাই না। কিন্তু আমার ভাইবোনেরা আমাকে চমকে দেয়। আচ্ছা, তুমি তোমার জন্মদিনে কী ট্রিট দিচ্ছ? তোমাকে এবার কোনো গিফট দিতে পারলাম না। ভালো থেকো।

উমাইজা হক
চিটাগাং আইডিয়াল হাইস্কুল, চট্টগ্রাম

কিআ: আমি তো গিফট পেয়েই গেছি। তোমার সুন্দর চিঠি। তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে আছে এই কেক। পছন্দ হয়েছে? খুব ভালো কেক, নষ্ট হবে না।

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ তুমি? দিন দিন না খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছ। তাই আমি তোমার জন্য খাবার পাঠাতে চাই। আমি তোমার জন্য একটি গল্প লিখতে চাই। তাই জানতে চাইছিলাম, কিআতে গল্প পাঠাতে হলে কি কিআ বুক ক্লাবের সদস্য হতে হয়? বা অন্য কোনো কিছুর? আর পাঠানোর নিয়মগুলোও একটু বলে দিলে ভালো হয়। জন্মদিনের অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল। ভালো থেকো। বেশি করে খেয়ো।

আল সাফায়েত
অষ্টম শ্রেণি, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম

কিআ: গল্প পাঠাতে গল্প পাঠানো ছাড়া আর কিছুই করতে হয় না। যেভাবে চিঠি পাঠিয়েছ, ঠিক সেভাবে মেইলের বডিতে গল্পটা লিখে পাঠাবে। শুধু সাবজেক্টের জায়গায় লিখবে ‘গল্প’। গল্পই পাঠাও; গল্প, কমিকস খেতেই আমার বেশি ভালো লাগে। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

দেখতে দেখতে তোমার আট বছর হয়ে গেল! বিশ্বাসই হচ্ছে না। এত বড় হয়ে গেলে তুমি! জানো, তোমার আর আমার ভাইয়ের জন্মদিন একই মাসে। শুধু দিন আলাদা। তোমার জন্মদিন ৫ তারিখ আর আমার ভাইয়ের ১৯ তারিখ। সুন্দর না? জানো, তোমার জন্মদিনের জন্য আমার একটা বিশেষ উপহার আছে। আশা করি, তোমার অনেক ভালো লাগবে। উপহারগুলো হলো আমার ফুলগাছের বিভিন্ন ফুল। যদিও আমার বেশি ফুলগাছ নেই, তবু যে কটি গাছ আছে, সেগুলোর ফুলই তোমার জন্মদিনের উপহার। এই উপহার তোমার আর আমার ভাই দুজনের জন্যই। আমি জানি, তোমার বেশ ভালো লাগবে। আমি যদি পারতাম তাহলে আমি নিজে কিআ কার্যালয়ে গিয়ে ফুলগুলো দিয়ে আসতাম। তবে সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই আমার ফুলগুলোর ছবি দিয়ে দিচ্ছি। ফুলগুলোর মধ্যে আছে জবা, অপরাজিতা, নয়নতারা, রঙ্গন এবং সদ্য ফোটা ইউফরবিয়া মিলি। বুঝতেই পারছ যে ফুলগুলো খুবই সাদামাটা। তবু আশা করি যে তোমার ভালো লাগবে।

নুসাইবা বিনতে সাহেদ
অষ্টম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: অনেক ধন্যবাদ, নুসাইবা। খুব সুন্দর তোমার ফুলগুলো। এবারের অন্যতম সেরা উপহার। একদিন আমরা তোমার ফুলগাছ দেখতে যাব। তুমি, তোমার ভাই আর এই ফুল—সবাই মিলে খুব ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

করোনা বিধিনিষেধে শুধু বই পড়ে সময় কাটিয়েছি। গত সপ্তাহে আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি বইটা পড়লাম। জন্মদিনে উপহার পাওয়া ডায়েরিতে বিভিন্ন ঘটনা লিখে রেখেছেন আনা। পড়ে খুব ভালো লাগল। আমিও ঠিক করলাম, আনা ফ্রাঙ্কের মতো ডায়েরি লেখা শুরু করব। যেই ভাবা সেই কাজ। তিন মাস ধরে আমিও হয়ে গেছি আনা ফ্রাঙ্ক। লিখছি আমার জীবনের মজার মজার ঘটনা। আমার ডায়েরিকে তোমার কথা বলেছি। বলেছি, তুমি ছাড়াও আমার আর একজন বন্ধু আছে—কিআ বন্ধু। আমি আমার ডায়েরিকে এটাও বলেছি, কিআ বন্ধুর ওপর অনেক রাগ করে আছি আমি। সে আমার একটি মাত্র চিঠি ছাপিয়েছে। তারপর ছাপেনি।

রিফাত রহমান
সপ্তম শ্রেণি, পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা

কিআ: ডায়েরি লেখা তো খুব ভালো অভ্যাস। শুরু করেছ, এ জন্য অভিনন্দন। তবে শুরুর চেয়েও কঠিন অভ্যাসটা ধরে রাখা। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা যদি লিখে রাখতে পারো, পরে একসময় দেখে খুব আনন্দ পাবে। এই যে তোমার চিঠিটা ছাপা হলো, এটা বলবে না ডায়েরিকে? বেচারা তো নইলে কিআকে নেগেটিভ রেটিং দিয়ে দেবে মনে মনে। তুমি আর তোমার ডায়েরি—দুজনের জন্যই শুভকামনা। ভালো থেকো।