প্রিয় কিআ,
ছোটবেলা থেকেই আমি একজন ডব্লিউডব্লিউই ফ্যান। ডব্লিউডব্লিউই এমন এক জায়গা, যেখানে নাটক, কৌতুক, অ্যাডভেঞ্চার—সবকিছুই আছে। আর সেখানকার রেসলাররা? তাঁদের তো কথাই নেই! আমার সবচেয়ে প্রিয় রেসলার রোমান রেইগন্স! সবাই তাঁকে বলে ‘বিগ ডগ’, ‘দ্য হেড অফ দ্য টেবল’, কিন্তু আমি তাঁকে বলি, ‘দ্য ম্যান হু মেইকস মি লাফ।’ কেন জান? ছেলেটা এতো সিরিয়াস থাকার চেষ্টা করে, যে ঠিক উল্টাটা হয়ে যায়! সে যখন মাইক্রোফোন ধরে বলে ‘অ্যাকনলেজ মি!’ তখন আমার হাসি আটকাতে হয়! আর যখন সে সবার চেয়ে বড় বড় কথা বলে, তারপর ম্যাচ হারে, তখন তো আর কথাই নেই! হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা হয়ে যায়!
রোমান রেইগন্স আমাকে শিখিয়েছে যে সিরিয়াস হওয়া ভালো, কিন্তু নিজেকে নিয়ে হাসতে না পারাটা একটা বড় অপরাধ! লাইফে যত কঠিন সময়ই আসুক, হাসতে হবে। আর হাসতে হলে নিজেকে নিয়ে একটু মজা করতে হবে। তাই রোমান, তুমি আমার কাছে শুধু একজন রেসলার নও, তুমি একজন লাইফ গুরু!
তুমি যদি এই চিঠি ছাপ, তবে রোমান রেইগন্সকে একটা বড় ‘অ্যাকনলেজ মি!’ পাঠিয়ে দিয়ো আমার পক্ষ থেকে। আর হ্যাঁ, ম্যাচ হারার পরেও হাসতে ভুলবেন না যেন!
সাফওয়াত সাদাত কুদ্দুস
সপ্তম শ্রেণি, সিদ্দিকী’স ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা
কিআ: বাহ, রেসলিং থেকে তুমি যে এত সুন্দর একটা ইতিবাচক দিক খুঁজে বের করলে, এটা অবশ্য। ‘অ্যাকনলেজ’ করার মতো। আসলেই বেশি সিরিয়াস হওয়া ভালো না। হাসি, ঠাট্টা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবেলা করা যায়। শুভকামনা রইল তোমার জন্য। নতুন বছরে আরও বেশি হাসি ফুটুক তোমার মুখে। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
আমার শখবিষয়ক লেখা ও ছবি পাঠালে কিআতে সেটি ছাপা হবে কি?
পার্বণ তালুকদার
ষষ্ঠ শ্রেণি, জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
কিআ: অবশ্যই ছাপা হবে। তুমি পাঠাতে পারো।