আমার হাত জানতে চায়...

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

আমার হাতটা কত দিন ধরে আমাকে বলছে, ‘আয় না, তুই আর আমি মিলে কিআতে একটা চিঠি পাঠাব, কিআর কাছে জানতে চাইব, যে ভূত সংখ্যাটা কবে ছাপবে (আমার হাত আবার একটু বেশিই ভূতের গল্প লিখতে পছন্দ করে)?’। দুই মাস ধরে আমাকে জ্বালাতন করছে। আজ আমি আমার হাতকে আর কন্ট্রোলই করতে পারলাম না! সে লিখতে বসে গেল, আমার পারমিশন ছাড়াই! আর কী করার? যদি একটু বলে দাও ভূত সংখ্যাটা কবে ছাপবে? না হলে আবার আমার হাত লেখাপড়া, খাওয়াদাওয়া, গোসল—সবকিছুই ছেড়ে দেবে!

ইউসরা জাহান
ষষ্ঠ শ্রেণি, মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা

কিআ: তিন-চার মাসের মধ্যেই ভূত সংখ্যা পেয়ে যাবে তোমার হাত। তত দিন পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করো। ভালো থেকো। তোমার হাতকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে ভুলে যেয়ো না।

প্রিয় কিআ,

জানো, আম্মু আমাকে কিআ পড়তে দিতে চায় না। এমনকি প্রতি মাসের কিআও কিনে দিতে চায় না। আমি নবম শ্রেণিতে ওঠায় লেখাপড়ার অনেক চাপ। এ জন্যই কিআ পড়তে দিতে চায় না আম্মু। অনেক আকুতি–মিনতি করার পর আমাকে কিআ কিনে দেয়। কিন্তু পড়ার সময় দেয় না। তবু আমি রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়ি। কিআ পড়ার পাশাপাশি আমার মনের চরম ইচ্ছা হচ্ছে, আনিসুল হক স্যারের সঙ্গে দেখা করা আর কিআড্ডায় যাওয়ার। তবে এ বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায় যে আমি  তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব কি না।

মো. আল শাহরিয়ার ফাহিম
নবম শ্রেণি, গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহী

কিআ: তুমি তোমার আম্মুকে পরীক্ষায় ভালো করার গ্যারান্টি দিয়ে দাও। আশা করি তাহলে তিনি আর আপত্তি করবেন না। আর তুমি কিন্তু চলে আসতে পারো কিআ কার্যালয়ে। সময় বুঝে এলে আনিসুল হকের সঙ্গে তোমার দেখা হবে। কিআড্ডাতে কীভাবে আসতে হয়, সেটাও তো তুমি জানোই। চলে এসো একদিন। দেখা হবে।

প্রিয় কিআ,

ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটা আমার দারুণ লেগেছে। মজার বিষয় হচ্ছে, যেদিন আমি ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটা শেষ করি, এর পরদিনই আমার চোখে সমস্যা ধরা পড়ে। ফলে এখন আমার চোখে চশমা এবং আমিও চশমিসদের মধ্যে একজন। যাহোক, পড়তে বসতে হবে।

ফাহমিদা হক
দশম শ্রেণি, বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা

কিআ: আহহা! এখন তো মনে হচ্ছে চশমা সংখ্যা না করলেই ভালো হতো। অনেকেরই দেখি চশমার লেখা লিখতে গিয়ে চশমা নিতে হলো। তোমাকে চশমা নিতে হলো পড়তে গিয়ে। কী একটা অবস্থা। যাহোক, চশমার যত্ন নিয়ো। ভালো থেকো।