'তিনটা চিঠির মধ্যে একটাও তুমি ছাপোনি'
প্রিয় কিআ,
এটা তোমাকে লেখা আমার চতুর্থ চিঠি। এর আগের তিনটা চিঠির মধ্যে একটাও তুমি ছাপোনি। তবু আমি আবার লিখছি। এটাও যদি না ছাপো, অসুবিধা নেই। আমার চিঠি যে তোমার কাছে যাচ্ছে, তুমি যে পড়ছ, এটাই অনেক। গত মাসে ব্যস্ততার কারণে চিঠি লিখতে পারিনি। তাই এখন লিখছি। তোমার এপ্রিল মাসের সংখ্যাটা দারুণ হয়েছিল। বিশেষ করে ‘অভ্রভেদী’র জন্য। আমার প্রিয় লেখকের উপন্যাস ধারাবাহিক করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আর তুমি একটু শফিক ইমতিয়াজ স্যারকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিয়ো। তিনি চমৎকার সব ছড়া লিখে আমাদের যেভাবে মুগ্ধ করেন, সেই তুলনায় সামান্য ধন্যবাদ কিছুই না। জানো, তোমার এপ্রিল সংখ্যাটা পড়ে আমি মহাসৌভাগ্যবতী এক বালিকার সন্ধান পেয়েছি। তার নাম ‘শায়িরা রেজওয়ানা’। আমার পক্ষ থেকে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ২০১৯ সাল থেকে কিআ পড়ে ২০২৩ সালের কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে নিজের নাম দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এ ছাড়া এই সৌভাগ্য দ্বিতীয়বার আমার হয়নি। আর শায়িরা একটা সংখ্যায় তিনবার (কুইজ, গণিতের ধাঁধা আর চিঠিপত্তর) তিন বিভাগে নিজের নাম দেখার সৌভাগ্য পেয়েছে। এ রকম একজন সফল ও সৌভাগ্যবতী বালিকার সন্ধান দেওয়ার জন্য তোমার কাছে আমার এই সামান্য চিঠি ছাপানোর আবদার করাটাই স্বাভাবিক। তাই না?
ইউসাইরা আলম
এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: আরে বাহ! ভালো জিনিস খুঁজে বের করেছো তো। শায়িরার ভাগ্য আসলেই ভালো। এটাকেই বলে লটারি। যদি লটারিতে কারও নাম আসে, তাকে তো বাদ দেওয়া যায় না, তাই না? আশা করি, তোমার নামও একদিন একাধিক বিভাগে ছাপা হবে। ভালো থেকো।