মাইশা কিংবা মশার কামড়

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

তোমাকে একটা মজার কথা জানাতে চিঠিটা লিখলাম। আমার নাম মাইশা। কিন্তু ক্লাসে প্রায়ই মানুষ আমাকে মশা বলে ডাকে। যদিও আমি মশা নই, তবে মশার মতো কামড়ে দিতে পারি ঠিকই। তবে আমাকে আবার কেউ থাপ্পড় মারতে পারে না। এখন টাটা বাই বাই। ভালো থেকো।

মাইশা সিদ্দীকা
পঞ্চম শ্রেণি, দ্য ব্লুমিং ফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

কিআ: মাইশাকে মশা? নামের এ কী দশা? যারা তোমায় মশা বলে, ঠিক হবে কি তাদের সঙ্গে বসা? ভেবে দেখো। মাইশা খুব সুন্দর নাম। নাম বিকৃত করার মধ্যে কোনো ভালো কিছু নেই। আশা করি, ওরা বুঝবে। তুমি ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার ঠিক কত বড় ভক্ত, সেটা সেদিনকার ঘটনা না বললে তুমি বুঝবে না।

হয়েছে কী, এই মাসে কিআ দিতে হকার আঙ্কেল বেশ দেরি করে ফেললেন। আর তাই আমি পাগলের মতো তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে একদিন স্কুল থেকে ফিরে দেখি, হকার আঙ্কেল কিআ দিয়ে গেছেন। তারপর আমি কোনো রকম ফ্রেশ হয়ে একদম ‘নিজে নিজে’ খাবার নিয়ে খেতে খেতে কিআ পড়তে শুরু করলাম। হঠাৎ আম্মু কাজের জন্য কিচেনে গেলেন। আচমকা ডাক দিলেন আমাকে। আমি গিয়ে আবিষ্কার করলাম, আসলে কিআ নামক ‘ব্যাধিতে’ আমি এতটাই আক্রান্ত যে মনের অজান্তেই সব খাবার না ঢেকে রেখে কিআ পড়তে শুরু করেছিলাম! তারপর আমার অবস্থা...সে এক ইতিহাস...!

আর হ্যাঁ, একটু বেশি করে খেয়ে মোটা হও। দিন দিন তো শুকিয়ে একদম তালপাতার সেপাই হয়ে যাচ্ছ! কে জানে, হয়তো না খেতে খেতে তোমার এমন অবস্থা হবে যে তোমাকে দেখতে গিয়ে আমার চশমার পাওয়ার বেড়ে যাবে!

জান্নাতুল ফেরদৌস
দশম শ্রেণি, শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুল, সিলেট

কিআ: বাকি ইতিহাস আমরা আন্দাজ করতে পারছি। দেখলে, খাওয়া থেকেই সমস্যাটার শুরু। এ জন্যই তো আমি কম কম খাই। তুমি ভালো থেকো। 

প্রিয় কিআ,

আমি গত বছরের জানুয়ারি থেকে তোমার সব কটি সংখ্যা পড়েছি। তবে এর আগে কখনো চিঠি লিখিনি, তুমি ছাপাবে না, এই ভেবে। তোমার সব সংখ্যার মধ্যে ভূত সংখ্যাটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। ভূত সম্পর্কে আমার অনেক বেশি আগ্রহ, তাই ভূত নিয়ে আরেকটি সংখ্যা বের করলে এবং ভুতুড়ে আরও গল্প ছাপালে অনেক খুশি হব!

তাসবীহা নাওয়ার
পঞ্চম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: কয়েক মাসের মধ্যেই ভূত সংখ্যা আসবে। আর তার আগে আসবে ভুতুড়ে গল্প। অপেক্ষায় থেকো। প্রথম চিঠির জন্য শুভেচ্ছা। আরও চিঠি পাঠিয়ো।