লাকি সেভেন

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার পুরোনো পাঠকদের একজন। ২০১৫ সালের অক্টোবর সংখ্যা থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি সংখ্যা আমার কাছে সাজানো আছে। ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত তোমার কাছে ছয়বার চিঠি লিখেছি, তুমি একবারও ছাপোনি। ক্যাডেট হওয়ার পর আর লেখার সুযোগ হয়নি, তাই আজ ছুটিতে তোমাকে লিখছি। আমার প্রায় প্রতিটি বন্ধু নিয়মিত রিডিং রুমে কিশোর আলো পড়ে, কিন্তু তাদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে পুরোনো পাঠক। ওরা আমাকে বলেছে, ৭ একটি লাকি নম্বর, তুমি আমার সপ্তম চিঠিটি ছাপাবে। তাই আর দেরি না করে লিখে ফেললাম, দেখা যাক কী হয়। আর তোমাকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা!

সাবিত হাসান
অষ্টম শ্রেণি, বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, বরিশাল

কিআ: ক্যাডেট সাবিত, ক্যাডেট–জীবন কেমন লাগছে? তোমার বন্ধুরা দেখি ঠিকই বলেছে। ৭ নম্বরটা আসলেই তোমার জন্য লাকি। নিয়মিত লিখবে আশা করি। আমরা সব চিঠি ছাপতে পারি না, তবে সব কটিই পড়ি। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

গত অক্টোবর থেকে আমি তোমার পাঠক। কমিকস আমার খুব পছন্দ। তোমাকে যদি কমিকস পাঠাতে চাই, তবে কী করতে হবে? আমি আমার স্কুলে একটা দেয়ালিকা তৈরি করি। প্রতি মাসে (অনেকটা তোমার আদলে)। সবাই এটা খুব পছন্দ করে। ও, আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের নামটা তো বলতেই ভুলে গেলাম! ওর নাম অর্ণব। চিঠিটা ছাপলে ওকে দেখাব।

প্রিতম দাশ
সপ্তম শ্রেণি, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

কিআ: এ জন্যই তো আমরা প্রতি সংখ্যায় তিনটা কমিকস ছাপি। মাঝেমধ্যে আরও বেশি। তুমিও তোমার কমিকস পাঠাতে পারো। যদি হাতে আঁকা কমিকস হয়, তাহলে তোমার আঁকা কমিকসটা স্পষ্টভাবে স্ক্যান করে পিডিএফ বা জেপিইজি ফরম্যাটে পাঠাতে হবে। চাইলে তুমি ডাকেও পাঠাতে পারো। তবে ই–মেইল করলে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে। দেয়ালিকা করো শুনে খুব ভালো লাগল। ছবি পাঠিয়ো আমাদের। তোমাকে আর অর্ণবকে অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থেকো তোমরা।

প্রিয় কিআ,

আগেরবার আমার চিঠি ছেপেছিলে বলে খুশি হয়েছি। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। এখন আসল কথায় আসি। মনে আছে, তুমি তোমার ১০০তম জন্মদিনে ১০০টি ছোটগল্প ছেপেছিলে? আমার একটা প্রশ্ন, তুমি ১০০টি গল্পই কেন দুঃখের গল্প ছেপেছিলে? একটা হাসির গল্পও নেই। আমি আবার দুঃখের গল্প পড়তে পারি না এবং বেশির ভাগ পাঠক দুঃখের গল্প পড়ে না। তাই তোমার কাছে অনুরোধ, ২০০তম জন্মদিনে তুমি ২০০টাই হাসির গল্প ছাপবে। কয়েকটা দুঃখের গল্প ছাপতে পারো, কিন্তু সব কটি নয়। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।

আরিবা এশাল
পঞ্চম শ্রেণি, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভার

কিআ: বলো কি, ১০০টাই দুঃখের গল্প ছিল? মনে তো হয় না। নানা ধরনের গল্প ছিল ওই সংখ্যায়। ভূত, ফ্যান্টাসি, রহস্য যেমন ছিল, হাসির গল্পও ছিল। তবে সংখ্যায় কম, এটা ঠিক। ওই সংখ্যায় কিন্তু পাঠকদের অনেক গল্প ছিল। পাঠকেরা দুঃখের গল্প পড়তে না চাইলে নিশ্চয়ই লিখে পাঠাত না। আচ্ছা, বাকিদের কী মত? সব হাসির গল্প নাকি নানা রকম গল্প? ভোট দাও। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

অনেক দিন থেকে দেখছি, সবাই নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে লেখা পাঠাচ্ছে। দেখে মনে হয় কুকুর, বিড়াল এগুলোই শুধু পোষা প্রাণী। আমার কাছে যে কবুতরগুলো আছে, সেগুলোও নিশ্চয়ই প্রাণী। সবার কাছে এক-দুইটা করে কুকুর বা বিড়াল আছে। খুব বেশি হলে তিনটা। আমার কাছে ৪৬টা কবুতর আছে। ৩ জোড়া থেকে ৪৬টা হয়েছে। সবার আলাদা আলাদা নাম অবশ্য রাখা হয়নি। তবে ওই ৩ জোড়া সিনিয়র কবুতরের ডাক আমার চেনা। বাকিগুলো ওই ছয়টার নাতিপুতি। বংশধর আরকি! আর কিছু বলার ইচ্ছা নেই। শুধু জানালাম, আমারও আছে পোষা প্রাণী।

মো. মিসবাহ হাসান
নবম শ্রেণি, পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, রংপুর

কিআ: ৪৬টা! বলো কী! এ তো ছোটখাটো কবুতরের হাট। তুমি কিন্তু তোমার কবুতরদের নিয়ে ছবিসহ একটা লেখা পাঠাতে পারো। তোমার কবুতরদের নিয়ে ভালো থেকো তুমি।