তোমাকে ঈদের শুভেচ্ছা

প্রিয় কিআ,

তুমি তো ভালোই আছ! তোমাকে চিঠি পাঠাব পাঠাব করেও আর পাঠানো হয় না। ভেবেছিলাম মার্চের প্রথম দিকেই তোমাকে একটা চিঠি পাঠিয়ে দেব, কিন্তু... অনেক দেরি হয়ে গেল! এবার ঈদ আর আমার জন্মদিন একদিনেই (যদি ৩০ রোজা হয়)। তবে কি জানো, এবার আমার জন্মদিন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। কারণ কী জানো? ওহ... তুমি কীভাবে জানবে! আমিই বলি... কিছুদিন আগে আমি কিশোরগঞ্জ থেকে নেত্রকোনায় আসি। ওখানে আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিল, কিন্তু এখানে নেই। তাই এবার মনটা অনেক খারাপ। যাক, কী আর করা! বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হবে। আর তোমাকে ঈদের শুভেচ্ছা। যা–ই হোক, এটাই তোমার কাছে আমার প্রথম চিঠি। আমি জানি, তুমি আমার চিঠি ছাপবে। কিছুদিন ধরেই নিজেকে হিমুর মতো মনে হচ্ছে (অধিকাংশ ভাবনা সত্যি হচ্ছে)! আচ্ছা, আমার জন্মদিনের উপহার পাঠিয়ে দিয়ো (আমার জন্য দোয়া কোরো) আজকের জন্য এটুকুই থাক, কেমন! ভালো থেকো তুমি।

আনিকা হোসেন

নবম শ্রেণি, নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নেত্রকোনা

কিআ: সত্যিই দেখি তুমি হিমুর মতো হয়ে গেছ। আশ্চর্য, সত্যি সত্যি চিঠি ছাপা হয়ে গেল! ঈদের সঙ্গে জন্মদিন—তোমার তো দ্বিগুণ আনন্দ হওয়ার কথা। কিশোরগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা কিন্তু খুব একটা দূর নয়। চলে আসতে বলো তোমার বেস্টফ্রেন্ডকে। আর নেত্রকোনায় যারা আনিকার আশপাশে আছ, ওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চলে যাও। বেচারা মন খারাপ করে জন্মদিন কাটাবে, এটা তো হতে পারে না। আর কেউ যদি না-ও যায়, কিআ কিন্তু ঠিকই পৌঁছে যাবে তোমার হাতে। শুভ জন্মদিন আনিকা। অনেক শুভকামনা তোমার জন্য।

আরও পড়ুন

প্রিয় কিআ,

কবে যে তুমি শুধু ‘কিশোর আলো’ থেকে ‘প্রিয় বন্ধু কিআ’-তে পরিণত হয়েছ, বলাটা মুশকিল। আজ তোমাকে পাঠানো চিঠিটি প্রকাশের জন্য কোনো দাবি রাখব না। শুধু আমার হৃদয় থেকে তোমার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদটুকু জানাতে চাই। ধন্যবাদ বন্ধু, অসময়ে সঠিক বন্ধুর ভূমিকা পালনের জন্য।

আনিকা

দ্বাদশ শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: তোমাকেও ধন্যবাদ আনিকা। এবার তো কোনো দাবি জানালে না, পরের চিঠিগুলোয় জানিয়ো। দাবিটাবি না দেখলে মনে হয়, আরে, কী যেন নেই। ভালো থেকো তুমি।

আরও পড়ুন