প্রিয় কিআ,
অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম তোমার কাছে চিঠি পাঠাব। আজ পাঠালাম। জানো, আমার না তিনটা বেস্ট ফ্রেন্ড আছে—শোভা, তাসফিয়া আর তুমি। সত্যি বলছি, তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাকে একটা সাহায্য করবে, তা হলো, আমার হাতের লেখা অনেক ধীরগতির। এখন কী করব বলো তো। আর হ্যাঁ, একটু মোটা হও। বিদায়।
তাছপিয়া আক্তার
ষষ্ঠ শ্রেণি, উত্তরা, ঢাকা
কিআ: আরে কী সৌভাগ্য। কারও বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারা দারুণ সৌভাগ্যের ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ তোমাদের। হাতের লেখা ধীরগতির, এ নিয়ে চিন্তা কোরো না। তুমি ঘড়ি ধরে রোজ অনুশীলন করো, দ্রুতই গতি বাড়বে একটু একটু করে। অগ্রগতি কেমন হলো জানিয়ো।
প্রিয় কিআ,
জানো, আমার কাছে ৬৭টি কিআ আছে। আচ্ছা, একটা গণিত সংখ্যা করবে। গণিত আমার ভালো লাগে। প্লিইইজ! মে সংখ্যাটা দারুণ। ‘দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি’ লেখার জন্য আদনান মুকিতকে ধন্যবাদ। আর তোমাকেও ধন্যবাদ সেটা ছাপার জন্য। আমি ভ্রমণকাহিনি লিখতে চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ করতে পারি না। একটু উপদেশ দেবে? ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এক ডজন একজন ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে ছাপাবে প্লিজ। সবশেষে অনেক ভালোবাসা রইল তোমার জন্য।
জারিন সুবিহা
ষষ্ঠ শ্রেণি, সরকারি পিএন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাজশাহী
কিআ: কোথাও ভ্রমণ শেষে আমরা কী করি বলো তো? ফিরে এসে বন্ধুদের বলি, ঘুরতে গিয়ে কী কী করলাম। একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিন্তু বলি না সব সময়। কী কী মজা হয়েছে বা জায়গাটা কেমন, বিচিত্র কী কী দেখলাম, সেগুলো বলি। লেখার ক্ষেত্রেও তুমি এভাবে ভাবতে পারো। ধরে নাও, তুমি বন্ধুদের বলছ তোমার ভ্রমণ প্রসঙ্গে। তাহলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাহলে কবে পাঠাচ্ছ তোমার ভ্রমণকাহিনি? আর সামনে অবশ্যই গণিত সংখ্যা হবে। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
আশা করি ভালো আছ। আমি তোমার তিন বছরের পুরোনো পাঠক। তোমার কাছে লেখা এটা আমার প্রথম চিঠি। মে মাসের সংখ্যাটা দারুণ ছিল। যদিও আমি ভালোভাবে গুছিয়ে কিছু লিখতে পারি না, তবু লিখছি। কিছুদিন আগে তোমাকে একটা চিঠি লিখেছিলাম, কিন্তু পাঠাতে ভুলে গিয়েছিলাম। আর ওই চিঠি এত যত্নে রেখেছি যে এখন খুঁজেই পাচ্ছি না। আচ্ছা, তুমি এখন ই–মেইলে পাঠানো কুইজের উত্তর নিচ্ছ না কেন? জানো, আমার একটা দুষ্টু ছোট ভাই আছে। সারাক্ষণ শুধু বিরক্ত করে। ওর নাম তাসনীম জাহান জিনান। প্রায় পাঁচ বছরের একটা ছেলে কেন এত জ্বালাবে? জানো, আমার না বিড়াল খুবই পছন্দ। তুমি বিড়াল অথবা পোষা প্রাণী নিয়ে একটা সংখ্যা করো, প্লিজ। আজ আর নয়। ভালো থেকো।
ইফফাত জাহান
ষষ্ঠ শ্রেণি, শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শেরপুর
কিআ: তুমি তো খুব গুছিয়েই লিখেছ চিঠি। শুধু শুধু ভাবছ, গুছিয়ে লিখতে পারবে না। পাঁচ বছরের জিনান তো একটু দুষ্টুমি করবেই। ও গম্ভীর হয়ে বসে থাকলে তুমিই আবার লিখে জানাতে, জানো, আমার একটা ভাই আছে, খুব গম্ভীর। পাঁচ বছরের একটা ছেলে কেন এত গম্ভীর হবে...বিড়াল নিয়ে সংখ্যা তো হবেই। অপেক্ষায় থাকো। ভালো থেকো।