তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড

প্রিয় কিআ,

তুমি ভাবতে পারবে না জুলাই সংখ্যার ‘কে হবে আগামীর বিটিএস’ লেখায় এনহাইপেনকে দেখে আমি কত্ত বড় লাফ দিয়েছি। সিলিংয়ে মাথা ঠুকে যাচ্ছিল প্রায় (উচ্চতার দিক থেকে আমাকে খাটোই বলতে পারো)। তাহলে বুঝতেই পারছ, আমি কতটা খুশি হয়েছি। যদিও অনেকের বিষয়টা পছন্দ না-ও হতে পারে, তবু আমাদের মতো কে-পপ ফ্যানদের আবদার তুমি রেখেছ, এটাই অনেক। আমি তোমাকে নিয়মিত চিঠি লিখি বলব না, তবে প্রায়ই লিখি। তুমি ছাপবে, সে আশায় লিখি না। কিছু বেস্ট ফ্রেন্ড থাকে না, যারা উত্তর না দিলেও তাদের সঙ্গে কথা শেয়ার করতে ভালো লাগে? তুমিও আমার সে রকম বেস্ট ফ্রেন্ড। তোমাকে চিঠি পাঠিয়েই আমি খুশি। আমি যখন থেকে পুরো বাক্য বানান না করে পড়তে শিখেছি, তখন থেকে তোমার নিয়মিত পাঠক। সেই ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। বুঝতেই পারছ, আমার পুরো শৈশব আর কৈশোর, দুটোই তোমার সঙ্গে। আমার বাসায় কিন্তু তোমার একজন বিশেষ পাঠক আছেন—আমার বাবা। নামটা তোমার ‘কিশোর আলো’ হলেও তোমাকে প্রতি মাসে বাসায় আনার পর আমার কিংবা আমার ভাইয়ের আগে বাবাই তোমাকে পড়ে শেষ করে ফেলেন, হা হা। এভাবেই সব সময় আমাদের আনন্দ দিয়ো। ভালো থেকো আমার প্রিয় বন্ধু।

নুযহাত ইসলাম

এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বরিশাল

কিআ: ভাগ্যিস সিলিংয়ে মাথা ঠুকে যায়নি তোমার। সিলিংয়ের যদি কিছু হয়ে যেত? কী জবাব দিতাম তোমার বাবাকে? অনেক পুরোনো পাঠক তুমি। এত দিন ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তোমার বাবাকেও। সবাই ভালো থেকো।

আরও পড়ুন