বাবার জন্য গিফট

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

১৮ জুন বাবা দিবস ছিল। আমি স্কুল থেকে বাসায় এসে বাবার জন্য একটি কার্ড তৈরি করি। বাবার জন্য একটি গিফট কিনেছিল মা। সন্ধ্যায় বাবা অফিস থেকে এসে নাশতা খেয়ে আমাদের সঙ্গে গল্প করছিল। আমি বাবাকে কার্ড আর মায়ের গিফট দিলাম। বাবা খুব খুশি হলো। এখনো আমার কার্ড আর মায়ের গিফট বাবা গুছিয়ে রেখেছে। আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি। আমার বাবা সেরা।

যারিন সুবহা রুমাইসা
তৃতীয় শ্রেণি, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা

কিআ: আরে বাহ্‌! দারুণ! নিশ্চয়ই খুব ভালো সময় কেটেছে তোমাদের। অনেক শুভকামনা তোমাদের জন্য। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তোমার সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। ইয়া মোটা একটা গল্পের বই পড়ছিলাম, বাবা পড়ছিল প্রথম আলো পত্রিকা। হঠাৎ বাবা বলল, ‘দেখো তো মা, এই বইটা পছন্দ হয় কি না। যদি চাও, আমি তোমাকে এটা কিনে দেব। প্রথম আলোর আঙ্কেলটা প্রতি মাসেই দেবে।’ তখনই আমি বললাম, ‘ওকে। এমনিতেও এই মোটা বইটা পড়তে ভালো লাগে না।’ এরপর অপেক্ষা আর অপেক্ষা। কখন কিআ হাতে পাব। একদিন বাবা জানাল, হকার আঙ্কেল নাকি কিআ দিতে ভুলে গেছে। তখন আমার কী কান্না! শেষে বাবা তাকে ফোন করে আবার কিআ আনতে বলল। কিআ পাওয়ার পর দুই দিনেই পড়া শেষ। অনেক মন খারাপ হয়েছিল তখন। পরে জানলাম, এটা মাসিক ম্যাগাজিন। জানো, আগে আমরা ঢাকার সেগুনবাগিচার তানাকা টাওয়ারে থাকতাম। মজার ব্যাপার, সেখানে আমাদের এক জাপানিজ আন্টি ছিলেন। তাঁর নাম ছিল তানাকা সমিকো। তিনি সব সময় আমাকে দেখলেই নানা রকম জাপানিজ চকলেট দিতেন। আমরা তাঁকে খুব ভালোবাসতাম। অবশ্য তিনি আর ওখানে থাকেন না। আমরাও বাবার বদলির কারণে চুয়াডাঙ্গায় এসেছি। আমার বন্ধু, স্কুল রেখে আসতে যেমন কষ্ট হচ্ছিল, তার চেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছিল কিআ না পাওয়ার জন্য। নানি আমার সব কিআ বড় একটা ট্রলিতে রেখে দিয়েছিল। ট্রেনে পড়ার জন্য একটা কিআ চাইলাম, দিলই না। এর সঙ্গে যুক্ত হলো চুয়াডাঙ্গায় কিআ না পাওয়ার শোক। শুরুর দিকে বাবা তার অফিসের পত্রিকা বিক্রেতাকে বলল কিআ এনে দিতে। এরপর আবার শুরু হলো কিআ–যাত্রা। আমার দেখাদেখি আমার বান্ধবী মুনতাহাও কিআ পড়ে। তোমার জন্য আমি একটা ছড়া লিখেছি।

কিশোর আলো
থেকো তুমি ভালো।
করো মোরে তোমার যাত্রাসঙ্গী,
অনেক সুন্দর তোমার ভাবভঙ্গি।
কিআর প্রতি অনেক ভালোবাসা,
কোরো না কাউকে দোষারোপ
ছড়াও মনে আশা।
আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি। ভালো থেকো।

জান্নাতুল ফেরদাউস
চতুর্থ শ্রেণি, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চুয়াডাঙ্গা

কিআ: দারুণ ছড়া! একনিমিষেই শেষ হয়ে গেল পড়া।

প্রিয় কিআ,

আজকাল ভীষণ চাপ যাচ্ছে আমার ওপর দিয়ে। পরীক্ষার জন্য তোমাকে চিঠি লেখার সময় পাচ্ছি না। তবু কোনোভাবে সময় বের করে তোমাকে চিঠি লিখলাম। অনেক দিন ধরে দেখছি গল্পধাঁধা বিভাগটা তুমি আর ছাপাও না। কেন? ওটা আমার প্রিয় ছিল। আর দুই মাস ধরে ক্রিকেট বিভাগটাও চালু নেই। তবু জুন সংখ্যাটা দারুণ ছিল। দারুণ দারুণ সব ভূতের গল্প আর ‘দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মে মুরগি’ তো আছেই। ছড়াগুলোও ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। ভালো থেকো।

নাসিফ চৌধুরী
চতুর্থ শ্রেণি, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর

কিআ: গল্পধাঁধার লেখক এমন জটিল এক ধাঁধা বানিয়েছেন যে নিজেই সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। সমাধানহীন ধাঁধা কি তোমাদের উপহার দেওয়া ঠিক হবে? লেখক সমাধান পেলেই গল্পধাঁধা হাজির হয়ে যাবে আবার। চিন্তা কোরো না।