মোটা হওয়ার চাপ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ? জানি উত্তর ‘ভালো’ পেলেও আসলে তুমি ভালো নেই। আজকাল পাঠকদের এত চাপে কি আর তুমি ভালো থাকতে পারো! সবাই শুধু তোমাকে মোটা হতে বলে। এই মোটা হওয়াটা যে কতটা কষ্টকর, তা আর কেউ না বুঝলেও আমি ভালোমতোই বুঝি। জানো, আমাদের দুজনের মিল কোথায়? মিলটা হচ্ছে তুমিও চিকন, আমিও চিকন। তোমাকে যেমন তোমার পাঠকেরা মোটা হতে বলে, আমাকেও তেমনি আমার আব্বু-আম্মু মোটা হতে বলে। খালি ভাত খাও আর মোটা হও। যেমন তোমাকে সবাই গল্প আর কমিকস খেতে বলে। কিন্তু কত আর খাওয়া যায় বলো!

আমি মনে করি, তোমার এখন যে সাইজ আছে, সেটা হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড সাইজ। আর একটু বেশি মোটা হলেও ভালো দেখাবে না আর একটু চিকন হলেও না। লাইক মি...

আজ আর নয়। বেশি বড় চিঠি গিলতে গেলেও তো মোটা হয়ে যাবে। ভালো থেকো।

জেবিন জান্নাত
পঞ্চম শ্রেণি, বনশ্রী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: সেটাই তো, কত আর খাওয়া যায়। এই এবার যেমন গল্প খেতেই ইচ্ছা করল না। গত মাসে এত গল্প খেয়েছি যে কী বলব। তবে ভালো লাগছে যে অবশেষে কেউ আমার কষ্টটা বুঝল। ভাবছি তোমার চিঠিটা ফেসবুকের পিন পোস্টের মতো সব সময় ঝুলিয়ে রাখব। এর পর থেকে মোটা হওয়ার কথা বললেই তোমার চিঠিটা দেখিয়ে দেব। কী বলো তুমি? অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। ভালো থেকো তুমি।

প্রিয় কিআ,

হকার আঙ্কেলের ওপর আমার খুব রাগ। প্রতি মাসে তোমাকে দিতে দেরি করে। জুন সংখ্যাটা দিতে তিন দিন দেরি করেছেন। কীভাবে চলবে বলো তো? এতগুলো ভূতের গল্প পড়তে দেরি হয়ে গেল। এখন আবার পরীক্ষার ঝামেলা। নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে মূল্যায়নগুলোতে আমরা সবাই খুব আনন্দ করছি। এ বছর নতুন স্কুলে ভর্তি হয়ে আমার মতোই এক ‘বইয়ের পোকা’ বন্ধুকে পেয়েছি। তার নাম রায়তা। আমি আগে জানতাম না যে সে কিআ পড়ে। জানতে পেরে আমার খুশি দেখে কে! এতগুলো ভূতের গল্পের জন্য ধন্যবাদ।

উম্মে মুষণ ইসলাম
ষষ্ঠ শ্রেণি, ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফরিদপুর

কিআ: চিনি তো রায়তাকে। এবার ওর চিঠিও পেয়েছি। এই যে, নিচেই ওর চিঠি। দেখো তো, তুমি চিনতে পারো কি না।

প্রিয় কিআ,

তোমার ওপর আমার খুব রাগ। আমি তোমাকে এর আগে তিন-চারবার চিঠি লিখেছি। একবারও ছাপোনি। এবার আমার চিঠিটা ছাপো। জানো, আমার একটা বন্ধুও এবার চিঠি লিখেছে। ওর নাম উম্মে মুষণ ইসলাম। তুমি ওর চিঠিটাও ছেপে দিয়ো। এতগুলো ভূতের গল্প দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

রায়তা বিনতে বাশার
ষষ্ঠ শ্রেণি, ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফরিদপুর

কিআ: আরে, চিনি তো তোমার বন্ধুকে। এবার ওর চিঠিও পেয়েছি। এই যে, ওপরেই ওর চিঠি। দেখো তো, তুমি চিনতে পারো কি না।