অভিমান ভুলে লেখা চিঠি

অলিংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

নিয়মিত পাঠক হিসেবে তোমাকে অনেক কথা বলার আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কথা হলো, তোমার শরীরের যত্ন নিয়ো। কেননা তোমার বয়স বেড়েছে। কিন্তু খাওয়ার রুচি আছে আগের মতোই। ইদানীং বয়সের ভারে অনেক কিছুই ভুলে যাও তুমি। যেমন জানুয়ারির সংখ্যায় ‘অ্যানিমে-কথন’ বিভাগটি ছাপতে ভুলে গিয়েছ, যা আমার মনকে ভারাক্রান্ত করেছে। তাই অভিমানের ভারে ভেবেছিলাম, তোমাকে আর পড়ব না। কিন্তু তোমার সঙ্গে কি আর রাগ দেখানো যায়? তাই সব অভিমান ঠেলে আজ লিখতে বসেছি। জানুয়ারির সংখ্যায় মার্ভেলের তথ্যগুলো বেশ চমকপ্রদ ছিল।

তুমি যাতে আর কখনো কোনো বিভাগ ছাপতে ভুলে না যাও, তাই একটি পদ্ধতি বলছি:

প্রথমেই তুমি কিশোর আলোর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করবে, যেখানে পাঠকদের উদ্দেশে জানতে চাইবে সব পছন্দের বিভাগের নাম। সেই নামগুলো নোটবুকে নোট করে রাখবে। আর এভাবেই তুমি সবার পছন্দের বিভাগগুলো ছাপাতে ভুলবে না। তখন আমার মতো আর কেউ কষ্ট পাবে না। আর তুমি নাকি ই-মেইলের চিঠি ছাপাও না? আমার এই চিঠি ছাপিয়ে সবার ভুল ধারণা দূর করে দিয়ো।

মুশফিকুর হাসনাত

অষ্টম শ্রেণি, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: ভালো বুদ্ধি দিয়েছ। নোটের বিকল্প নেই। তবে বয়স যা হয়েছে, দেখা গেল নোট করে কোথায় রেখেছি, সেটাই ভুলে গেলাম। তবে জানুয়ারি সংখ্যায় অ্যানিমে-কথনের কথা কিন্তু ভুলে যাইনি। আসলে মার্ভেল নিয়ে অনেকগুলো লেখা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমে-কথনকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এ সংখ্যায় আবার ফিরে এসেছে তোমার প্রিয় বিভাগ। আর কে বলেছে ই-মেইলের চিঠি ছাপি না? এখন অনেকেই ই-মেইলে চিঠি পাঠায়। আমরাও সেগুলো মন দিয়ে পড়ি।