প্রিয় কিআ,
ক্লাস ফাইভে যখন পড়তাম, তখন একদিন বাবার সঙ্গে লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম বই কিনতে। সেখানে খুব সুন্দর একটা ম্যাগাজিন আমার চোখে পড়ে। কভারে মেসি-নেইমারদের ছবি। ওপরে বড় করে লেখা ‘কিআ’। বায়না ধরে সেটি কিনে ফেলি। ভেতরে এত মজাদার গল্প, কুইজ, ফিচার দেখে আমি তো আহ্লাদে আটখানা। আর তখন থেকেই তুমি আমার খুব ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লাগে, সেটা হলো নতুন কিশোর আলোর গন্ধ। (কী পারফিউম ইউজ করো একটু বলবে?)
আচ্ছা, বিশেষ কথা বলব বলেছি। আগে এই চিঠিটা ছেপে দাও, পরের সংখ্যায় বলব। ভালো থেকো বন্ধু।
নবনীতা রায়
নবম শ্রেণি, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুমিল্লা
কিআ: পারফিউমটা তোমার ভালো লাগে জেনে খুব খুশি হলাম। তবে নামটা বলব, আগে তুমি তোমার বিশেষ কথাটা বলো, তারপর।
প্রিয় কিআ,
আমি তোমাদের নতুন সদস্য। জানুয়ারি ২০২২ থেকে নিয়মিত কিআ পড়ছি। বাবা বলেন, আমি নাকি অল্প বয়সে তোমার ভক্ত হয়ে গেছি। তৃতীয় শ্রেণিতে থেকে কিআ পড়া কি অপরাধ, বলো? রূপকথার গল্প আমার খুব পছন্দ। পরবর্তী সংখ্যায় রূপকথার গল্প দিয়ো। ভালো থেকে কিআ।
জান্নাতুল ফাতেমা
তৃতীয় শ্রেণি, ঘাট ফরহাদবেগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
কিআ: আরে না। অপরাধ হবে কেন? তোমার চেয়ে আরও ছোটরাও তো কিআ পড়ে, চিঠি পাঠায়, এমনকি চিঠি না ছাপালে আমাদের হুমকি-ধমকিও দেয়। তুমি নিশ্চিন্তে কিআ পড়ো। তোমার জন্য এবার একটা রূপকথাও আছে কিন্তু। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
আমি তোমার কাছে একটা পরামর্শ চাই। আমি একটা বিড়াল কিনব, কিন্তু আমি কোথা থেকে কিনব? আরেকটা কথা, আমার চিঠি যদি না ছাপো, তাহলে আমি আর কোনো দিন খাবার খাব না।
সোয়াইবা লুবাব
দ্বিতীয় শ্রেণি, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা
কিআ: বিড়াল পুষবে, এ তো দারুণ খবর। তবে না কিনেও কিন্তু বিড়াল পুষতে পারো। আশপাশে অনেক বিড়াল বিপদে আছে, ওদের কাউকে তুমি বাসায় নিয়ে যেতে পারো। ফেসবুকের কিছু গ্রুপে অনেকে বিড়ালছানা অ্যাডপশনের পোস্ট দেয়, সেখান থেকেও নিতে পারো। আর যদি কিনতে চাও, তাহলে ঢাকার কাঁটাবনে পশুপাখির দোকানে গেলে বিড়াল পাবে। বিড়াল কিনলে আমাদের ছবি পাঠাতে ভুলে যেয়ো না, ঠিক আছে?
প্রিয় কিআ,
(কাঁদো কাঁদো স্বরে) জানো, আমার না ভালো লাগছে না। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। জানো, আমি তোমার জুলাই মাসের সংখ্যাটা হারিয়ে ফেলেছি। তারপর থেকে আমার একটুও ভালো লাগছে না। তুমি হয়তো ভাবছ যে আমি কাউকে দিয়ে দিয়েছি পড়ার জন্য। নাহ! একদমই না। হারিয়ে ফেলার দিনটিতে আমি যে সেই সংখ্যা পড়ছিলাম এবং কুইজগুলোর সমাধান করছিলাম, তা আম্মুও দেখেছে (সাক্ষী হিসেবে)। কিছুক্ষণ পর আমি আমার পড়ার টেবিলে তোমাকে রেখে চলে গিয়েছিলাম। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ভুলে গিয়েছিলাম তোমার কথা। সেই রাতে টেবিল গোছানোর সময় হঠাৎ তোমার কথা মনে পড়লে সারা টেবিল-চেয়ার, পুরো রুম, বাসা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তোমাকে আর পাইনি। বুঝতে পারছি না যে এটা কী হলো। জানো, সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপারটা কী, আমি জুলাই মাসের সংখ্যাটা পুরোটা পড়িওনি। আরেকটা সংখ্যা কিনতে পারতাম। কিন্তু তবু আমার ভালো লাগছিল না আর কিনতে (কাঁদো কাঁদো স্বরে)। তুমিই বলো, আমার সঙ্গে ঘটা কাহিনিটি কি অন্যায় নয় আমার প্রতি? (কাঁদো কাঁদো স্বরে)
নুসাইবা বিনতে সাহেদ
নবম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: আমার মনে হয়, তুমি যে কিআর কথা ভুলে গিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলে, এটা বোধ হয় কিআ মেনে নিতে পারেনি। রাগ করে চলে গেছে। তুমি কি খুব অভিমানী? হয়তো এ কারণে তোমার কিআটাও অভিমানী। একটু আদর-টাদর করে রেখো।
প্রিয় কিআ,
কেমন আছ? দেখো, আমাদের বাগানের গাছ। আমার মায়ের হাতে লাগানো। এদের মধ্যে একটি তো তুমি চেনো—আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। অন্যটি জেলি ফুল। এগুলো আমার প্রিয় ফুল। আশা করি, তোমারও ভালো লাগবে।
মুহতাসিম সাদিদ
পঞ্চম শ্রেণি, উপজেলা প্রশাসন কবি হেয়াত মামুদ স্কুল, রংপুর
কিআ: বাহ্! খুব সুন্দর। খুব ভালো লাগল। মনে হচ্ছে একটু বেশি অক্সিজেন পেলাম।
প্রিয় কিআ,
জানো, বাবা সকালবেলা যখন কিআ এনে দিল তখন থেকেই পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কিআ পড়া শুরু করে দিলাম। দুপুরে যখন কিআ পড়তে যাব, তখন আবিষ্কার করলাম যে আমার মোটামুটি পুরো কিআই পড়া শেষ। এটা হলো কিআ হাতে পাওয়ার পর আমার প্রতি মাসের চিত্র। আমরা তোমাকে এত ভালোবাসি, তাই আমাদের প্রতিও তো তোমার কিছু দায়িত্ব আছে, তাই না? আমি তোমাকে দুই বছর ধরে চিঠি পাঠাচ্ছি। কিন্তু তুমি আমার একটা চিঠিও ছাপাওনি। আমি জানি, প্রতি মাসে তোমার কাছে অসংখ্য চিঠি আসে। কিন্তু তার মধ্যেও তোমার উচিত যাদের চিঠি কখনোই ছাপানো হয়নি, তাদেরটা ছাপানো। আর আমি তোমাকে একটা বুক রিভিউ লিখে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি সেটার অর্ধেকটা বাদ দিয়ে ছেপেছিলে। আমি অনেক মন খারাপ করেছিলাম। এ রকম আর কোরো না। আর সব সময় এ রকম দারুণ দারুণ সংখ্যা তৈরি কোরো।
মালিহা বখতিয়ার
অষ্টম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: মাঝেমধ্যে লেখা একটু ছোট করে দিতে হয়। এ নিয়ে মন খারাপ না করে নতুন উদ্যমে লেখা শুরু করো। এমনভাবে লিখবে যেন পৃথিবীর কোনো সম্পাদক এটাকে কেটে ছোট করতে না পারে। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
যখনই আমার মন খারাপ হয়, আমি কিআ পড়ি। আর আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। জুলাই মাসের আষাঢ়ে গল্পগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে, সব সময় আমার মন ভালো করে দেওয়ার জন্য।
শারমিন সাঈদ
অষ্টম শ্রেণি, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বগুড়া
কিআ: তোমাকেও ধন্যবাদ। কিন্তু তোমার মন খারাপ হয় কেন বলো তো। কিআ পড়েই মন ভালো হওয়ার পর আবার কে মনটা খারাপ করে? তাকে বকে দিয়ো।