আমাদের ফেবারিট সুপারহিরো ‘আয়রন ম্যান’

মার্ভেল স্টুডিওজের নিজেদের তৈরি করা প্রথম মুভি ছিল ২০০৮ সালের আয়রন ম্যান

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার অনেক পুরোনো পাঠক। যখন আমি কেবল তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি, তখন থেকে আজও তোমাকে পড়ছি। দেখতে দেখতে হাইস্কুলের সিনিয়র হয়ে গেলাম, কিন্তু তোমাকে পড়া বাদ দিইনি। এবারে সংখ্যাটা হয়েছে এককথায় মার্ভেলাস! আমি এবং আমার ছোট ভাই জিসান মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের বিরাট বড় ফ্যান। আমাদের দুজনেরই ফেবারিট সুপারহিরো ‘আয়রন ম্যান’। আমার ছোট ভাই প্রথম শ্রেণিতে পড়লেও কিআ পড়তে খুব ভালোবাসে। ওর সবচেয়ে প্রিয় হলো ‘ইলু বিলু’ কমিকস। ও জানতে চেয়েছে, তোমার ফেবারিট সুপারহিরো কে? চিঠির উত্তর দিয়ো। অয়ন-জিমির গোয়েন্দা গল্প ছাপার আবেদন রইল। ভালো থেকো কিআ।

লিসান আহমেদ

দশম শ্রেণি, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা

কিআ: আমার প্রিয় সুপারহিরো হচ্ছ তোমরা। তোমাদের মধ্যে কত সুপারপাওয়ার আছে! সময় হলেই সেগুলো আমরা টের পাব। তোমাদের দুই ভাইকে শুভেচ্ছা। ভালো থেকো তোমরা।

প্রিয় কিআ,

তুমি নিশ্চয়ই জানো, এখন অনেক শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে পড়াশোনা হচ্ছে। নতুন কারিকুলামের বিষয়বস্তু আমারও অনেক ভালো লেগেছে। আমি এখন নবম শ্রেণিতে পড়ছি। আমাদের এই বছর থেকেই নতুন কারিকুলাম শুরু হয়েছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমরা পুরোনো কারিকুলামেই ছিলাম। বুঝতেই পারছ, নবম শ্রেণিতে পড়াশোনার অনেক চাপ। তার ওপর আবার নতুন কারিকুলাম। তাই আমি একটু চিন্তায় আছি এটা নিয়ে। দোয়া কোরো যেন ভালোমতো পড়াশোনা করতে পারি। পঞ্চম শ্রেণিতে থাকতে আমার খালাতো বোন রীতি আপুর বাসায় গিয়ে আমি তোমার খোঁজ পেয়েছিলাম। আর তখন থেকে কখন আমার মা তোমাকে নিয়ে আসবে, সেই অপেক্ষায় বসে থাকতাম। এখনো থাকি। আমার বই পড়তে খুবই ভালো লাগে। যদিও বই পড়ার তেমন সুযোগ আমি পাই না। কিন্তু প্রতি মাসে তোমাকে পড়তে পারি, এটাই আমার বড় পাওয়া। তোমার মতো করে কেউই আমাকে এত কিছু জানায়নি, এত কিছু শেখায়নি। তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। আর আমার মতো বইপড়ুয়াদের প্রিয় মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসে বইয়ের তালিকার সঙ্গে কীভাবে সেগুলো পড়তে পারব, সেটাও একটু জানিয়ে দিয়ো। তোমার প্রতিটি সংখ্যাই অসাধারণ আমার কাছে। এভাবে আমার মতো অন্তর্মুখীদের জগৎ অনেক বড় করার জন্য আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ। এভাবেই যুগ যুগ ধরে ভালো থেকো, ভালো রেখো। (আমি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারি না। এটা মনে রেখে একটু কষ্ট করে এই পাঠিকার চিঠিটা পড়ো)।

তাসফিয়াহ তাবাসসুম

নবম শ্রেণি, বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া

আরও পড়ুন

কিআ: বলো কী, পড়াশোনার চাপ কমাতেই তো নতুন কারিকুলাম। তারপরও যদি চাপ থাকে, তাহলে তো বিপদ। এ মাসে আমরা অনেক বইয়ের খবর দিতে চেয়েছিলাম তোমাদের। অনেক প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগও করেছি। কিন্তু তাঁরা সময়মতো বইয়ের তথ্য, প্রচ্ছদ আমাদের পাঠাননি। আমরা চেষ্টা করব, মাসজুড়ে কিআর ওয়েবসাইটে নতুন বইয়ের খবর দিতে। চোখ রেখো। আর তুমি কিন্তু খুব গুছিয়ে লিখেছ। আরও লিখবে আশা করি। ভালো থেকো।