‘বিড়াল সংখ্যা’র প্রি-বুকিং

অলংকরণ : সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

প্রথমেই আসল কথাটা বলি। আগের সংখ্যায় দেখলাম, বিড়াল নিয়ে সংখ্যা বের করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তো, কবে এ সংখ্যা বের করার পরিকল্পনা করছো, তা জানিও। আমার আবার বিড়াল আছে কিনা! তাহলে ওদের নিয়ে লেখাও দিতে পারব। আর হ্যাঁ, জানুয়ারি সংখ্যার ‘খুনে এলিয়েন’ গল্পটা কিন্তু আমার দারুণ লেগেছে। আর শোনো, আমার কিন্তু থ্রিলারধর্মী লেখা পড়তে দারুণ লাগে! এবার বড় একটা থ্রিলার গল্প ছাপাও, কেমন?

বি.দ্র.: যখন এই চিঠি লিখছি, তখন আমার বিড়াল ‘মিউ’ একটা কাচের বয়াম ভেঙে ফেলেছে! কী একটা অবস্থা বলো তো!

বিবি মরিয়ম লাবণ্য
একাদশ শ্রেণি, ভোলা সরকারি কলেজ, ভোলা

কিআ: আমার অবস্থা তো ভালোই। কিন্তু কাচের বয়াম ভাঙার পর তোমার আর মিউয়ের কী অবস্থা, তা কল্পনা করেই চিন্তা হচ্ছে। তোমরা ঠিক আছো তো? বিড়াল নিয়ে সংখ্যা হলে অবশ্যই তোমাদের জানাব। তোমাদের লেখা ছাড়া সংখ্যা করব কী করে? তুমি আর মিউ মিলে লেখা শুরু করে দাও। তবে লেখার সময় কাচের বয়াম থেকে দূরে থেকো।

প্রিয় কিআ,

আমার দুর্ভাগ্য কি জানো? তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখাটা হয়েছে অনেক দেরিতে। নভেম্বর সংখ্যাটা প্রথম আমার হাতে আসে। আর জানোই তো, আমি খুব সিরিয়াস পাঠক। এক বসাতেই পুরো সংখ্যা পড়ে শেষ। পড়তে পড়তে যখন শেষ পৃষ্ঠায় চলে এলাম, মনটা খারাপ হলো। ইশ! যদি আর কয়েকটা পৃষ্ঠা বেশি থাকত! বান্ধবীদের বাসায় যা কাছে যে কয়টা সংখ্যা পেলাম, পড়ে ফেললাম নাওয়া–খাওয়া ভুলে। আমার মনে হয় কি জানো, যদি এক বছর পরপর তোমার একটি করে সমগ্র বের হলে খুব খুব ভালো হবে। হাত বাড়ালেই যেকোনো সময় যেকোনো সংখ্যা পড়া যাবে। আশ করি বিষয়টি ভেবে দেখবে।

আজ এ পর্যন্তই। ভালো থেকো।

সাদিয়া আফরিন
৭ম শ্রেণি, বেঙ্গলীয়া মিডিয়াম হাইস্কুল, ঢাকা

কিআ: খুব ভালো আইডিয়া। এ বছর আমাদের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আমরা তোমার কথামতো কিছু একটা করার চেষ্টা করব। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

এটা তোমাকে লেখা আমার প্রথম চিঠি। প্রায় চার বছর আগে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল তোমার সঙ্গে। এটার কিন্তু একটা মজার ঘটনা আছে। কয়েকটা কিআ আমাদের বুক শেলফে পড়ে ছিল। আম্মু সেটা পরিষ্কার করার সময় আমাকে ডেকে বললো, ‘ময়না পাখি (বাসায় আমার ডাক নাম আবার ময়না পাখি), এগুলো কিশোর আলো। এটা অনেক ভালো ম্যাগাজিন। তুমি এটা পড়তে পারো।’ তখন আমি বলেছিলাম, ‘আমি কি কিশোর নাকি? আমি তো কিশোরী। আমি কেন কিশোর আলো পড়ব?’

আর জানো, গত নভেম্বর সংখ্যায় তুমি আমার একটা লেখা ছেপেছিলে। সেটা আমাদের স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যার পর্যন্ত জেনেছিলেন। তিনি আমাকে একটা উপহারও দিয়েছেন। এই প্রথম আমাদের স্কুলের কারও লেখা কোনো ম্যাগাজিন বা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

আমি একটা সুন্দর গল্প লিখেছি। এখন কত শব্দের মধ্যে হলে গল্গ অথবা কোনো ফিচার পাঠানো যাবে? আর বিষয় কী দেব? আমি কিন্তু আরেকটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমি কিআর আম্মুর সঙ্গে দেখা করব। আর বলব যে, কিআ তো ঠিকমতো খায় না। তাই কিআকে একটু বকা দেবেন। যাতে সে ভালো করে খায়, আর মোটা হয়। ভালো থেকো।

ফারিয়া নূর
দশম শ্রেণি, শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুল, হবিগঞ্জ

কিআ: আরে এ তো দারুণ খবর! তোমার আম্মুকে অনেক ধনব্যাদ। তিনি না বললে তুমি হয়তো কিআই পড়তে না। আর না পড়লে লিখতে না। না লিখলে প্রিন্সিপাল স্যারের কাছ থেকে পুরস্কারও পেতে না। এখন তোমার গল্পটা ছাপা হলেই বড় পুরস্কার হবে তোমার আম্মুর জন্য। ১০০০ শব্দের মধ্যে গল্প লিখে পাঠিয়ে দাও। আর ফিচার লিখবে ৮০০ শব্দের মধ্যে। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় আছি।

প্রিয় কিআ,

আমি তোমার নতুন বন্ধু। তোমাকে আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। তুমি যখনই পেছনে তাকাবে, তখনই আমাকে আর জুলিকে দেখতে পাবে। কারণ, আমরা তোমার সঙ্গে আছি সব সময়। ওহ, বলাই হয়নি, জুলি আমার মিষ্টি বিড়াল। তার একটা ছবি এঁকেছি। প্লিজ, ছবিটা ছাপিয়ো। এটা আমার আর জুলির অনুরোধ। আর প্রিয় লেখক আনিসুল হককে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ো আমার পক্ষ থেকে। ব্রাজিল হারার পর যে মন খারাপ ছিল, তা তুমি ভালো করেছ। ধন্যবাদ তোমাকে।

সুমাইয়া আক্তার
এসএসসি পরীক্ষার্থী, মাধবদী সতি প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন, নরসিংদী

কিআ: খুব সুন্দর লিখেছ তুমি। আসলেই আমরা তোমাদের দেখতে পেলাম কল্পনায়। তোমরা সব সময় আমাদের সঙ্গে আছো, এটাই আমাদের শক্তি। ভালো থেকো তোমরা।