প্রিয় কিআ,
জুন সংখ্যার ভুতুড়ে গল্পগুলো দারুণ ছিল। অবশ্য রাতে ঘুমাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
জানো তো, আমরা তিন ভাই–বোন (মৌসি, রাইসা, লাবিব) তোমার খুব বড় ভক্ত। তোমাকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিন টানাটানি চলে যে কে আগে পড়বে। সেদিন তো এই কারণে তুমি অসুস্থই হয়ে পড়লে। চলমান পরীক্ষা থাকার কারণে তোমাকে হাতের কাছে পেয়েও পড়তে পারছিলাম না। তাই একটু একটু মন খারাপ হচ্ছিল। ভালো থেকো।
রাইসা মাছুদ
দশম শ্রেণি, খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
কিআ: আজকাল প্রায়ই দেখি কেউ না কেউ আমাকে নিয়ে টানাটানি করছে। তোমাদের মধ্যে যারা গবেষক আছ, চিন্তাভাবনা করে দেখো তো, রবারের কিআ বানানো যায় কি না। তাহলে আর টানাটানিতে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না।
প্রিয় কিআ,
তোমাকে চিঠি দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। প্রতিবারই অপেক্ষা করি চিঠির উত্তরের জন্য। বন্ধুদেরও বলে রাখি। পরবর্তী সময়ে চিঠি ছাপা না হওয়ায় আমাকে হাসির পাত্র হতে হয় সবার কাছে। আরেকটা কথা, আমি অনেক ছোটগল্প লিখি। তুমি বললে তোমাকেও লিখে পাঠাব। ভালো থেকো।
সাফিন ইসলাম
দশম শ্রেণি, সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল, টাঙ্গাইল
কিআ: অবশ্যই, লিখে পাঠাও ছোটগল্প। আমরা তো ছোট ছোটগল্পই চাই। পাঠিয়ে দাও। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
আমি ভাবলাম, ভাইয়ের দেখাদেখি স্কেটিং শিখব। বাবাকে বললাম স্কেটিং জুতা কিনে দিতে। বাবা এক কথা বলে দিল, ‘না।’ আমি আর কী করব। তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। বাবার কাছে আমি পাঁচ হাজার টাকা পেতাম। বাবাকে বললাম সেই টাকাগুলো দিতে। তখন আর কথাই বলল না বাবা। ওদিকে ভাইয়াও বাসায় নেই। ভাবলাম, ওর স্কেটিং জুতাগুলো কাজে লাগাই। জুতা পরে স্কেটিং করতে গিয়ে গেলাম পড়ে। তাই তোমার কাছে এসেছি। তুমি কি আমাকে স্কেটিং শেখাতে পারো?
তকি
তৃতীয় শ্রেণি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ
কিআ: আহা, পড়েই গেলে! এখন কি আর তোমার বাবা তোমাকে স্কেটিং শিখতে দেবেন? আমিও স্কেটিং পারি না। স্কেটিং তো লিখে বোঝানো কঠিন। দেখি, তোমার জন্য ভিডিও তৈরি করতে হবে তাহলে। তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করো। ভাইয়ের জুতা পরে বেরিয়ে যেয়ো না, আবার উল্টে পড়ে ব্যথা পাবে।