লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়া

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

অনেক দিন ধরে ভাবছি তোমাকে চিঠি লিখব। কিন্তু তুমি ছাপবে না ভেবে আর লেখা হয়নি। আজ লিখেই ফেললাম।

তোমাকে পড়তে কিন্তু আমার খুব ভাল লাগে। স্কুলের পড়ার বাইরে যখনই সময় পাই, তখনই তোমাকে হাতে নিয়ে পড়া শুরু করি।

কিন্তু তোমাকে মায়ের কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তে হয়। মায়ের সামনে সব সময় তোমাকে পড়লে বকুনি খেতে হয়। কারণ, তোমাকে হাতে পেলে আমি অন্য সব পড়ার কথা ভুলে শুধু তোমাকেই পড়তে থাকি। নইলে যে আমার দিন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই লুকিয়ে হলেও তোমাকে পড়ি।

সাবমেরিন নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল। গভীর সমুদ্রে কীভাবে এরা চলাচল করে, আমার খুব জানার ইচ্ছে। তাই আমি চাই, সাবমেরিন নিয়ে তুমি একটা সংখ্যা বের করো। ভালো থেকো কিআ।

ফাতিন আনজুম নূর
নবম শ্রেণি, রহমত-ই আলম একাডেমি, ময়মনসিংহ

কিআ: ও, লুকিয়ে লুকিয়ে? লুকিয়ে লুকিয়ে কিআ পড়া ততক্ষণই নিরাপদ, যতক্ষণ ধরা না পড়ো। তবে এটা নিশ্চয়ই জানো, মায়ের চোখ ফাঁকি দেওয়া খুবই কঠিন। কিআ পড়তে গিয়ে যদি স্কুলের পড়ার কথা ভুলে যাও, আর কেউ টের পাক না পাক, মা ঠিকই টের পেয়ে যাবেন। তাই সাবধান। আগে স্কুলের পড়া, তারপর কিআ। সাবমেরিন নিয়ে তোমার কৌতূহল আছে জেনে ভালো লাগল। সংখ্যা না হলেও একটা ফিচার তোমার জন্য দেবার চেষ্টা করব। অপেক্ষায় থেকো।

প্রিয় কিআ,

একটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি, বুঝলে। ঘটনাটা হলো, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আমি আমার স্যান্ডেলগুলো খাটের সামনে রাখি। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে যে সকালে উঠে আমাকে খাটের নিচ থেকে স্যান্ডেলগুলো আবার বের করতে হচ্ছে। ব্যাপারটা নিয়ে ইনভেস্টিগেশনে নামা দরকার। আমার ধারণা এটা কোনো ভৌতিক ব্যাপার। তবে তার আগে ইনভেস্টিগেশনে আমার কিছু তথ্য লাগবে। তাই তোমার কাছে জানতে চাইছি, এমন কোন ভূত কি তোমার জানা আছে, যারা খাটের নিচে থাকে এবং স্যান্ডেল পছন্দ করে? জানা থাকলে জানিয়ো। আর না জানা থাকলে জেনে নিয়ে তারপর জানিয়ো।

জাওয়াদ জারিফ
নবম শ্রেণি, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা

কিআ: ভূত আছে কি না, এ বিষয়ে তো সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। তবে, আমি ঠিক এরকম একটা সমস্যার কথা শুনেছিলাম। এক লোক ভাবত, খাটের নিচে ভূত আছে। অনেক টাকা-পয়সা, ওঝা-কবিরাজের চেষ্টা ব্যর্থ হলো, কিন্তু খাটের নিচের ভূত সমস্যার সমাধান হলো না। শেষে সমাধান দিল এক কাঠমিস্ত্রি। সে এসে খাটের চারটা পায়া কেটে ফেলল, খাটের তলা বলে আর কিছু রইল না। ব্যস, সেই লোক নিশ্চিন্তে ঘুমাতে লাগল। ভূত সমস্যার সমাধান। তোমাদের মতিঝিলে কাঠমিস্ত্রি নেই? খোঁজ নিয়ে দেখো তো।

প্রিয় কিআ,

তোমার কাছে এটা আমার প্রথম চিঠি। অনেক দিন ধরেই লিখব লিখব করেও আর লেখা হয়নি। স্কুল, কোচিং, বাসার দুটি প্রাইভেট—এত কিছু গুছিয়ে সময়ের অভাব। মাঝেমধ্যে এত হোমওয়ার্ক থাকে যে আমার দু–তিনটা কলম একদিনেই অক্কা পায়। যদিও এমনটা খুব কমই হয়। তুমি ছাপাবে কিনা, এটা নিয়েও ভয় ছিল। কিন্তু এখন আমি জানি যে তুমি সব চিঠি পড়ো। এটাও পড়লে খুব খুশি হব।

আমি কিআর বেশি পুরোনো পাঠক নই। তবে আমার কাছে ২০২৩–এর সব কপি আছে। আমার লক্ষ্য ২০২৩ সমগ্র। জানো, বিড়াল আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাণী। যতই মন খারাপ থাকুক, বিড়াল দেখলে আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই। তাহলে বিড়াল সংখ্যা কবে আসছে? বিড়াল নিয়ে আমার অনেক গল্প আছে। সেগুলো পাঠাতে হবে তো!

আর তুমি বেশি বেশি খেয়ে তাড়াতাড়ি মোটা হও। নইলে একদিন দেখা যাবে আতশি কাচ দিয়ে কিআ খুঁজতে হবে। এটা অবশ্য আমার মতো চশমিশদের ক্ষেত্রে। হি হি হি।

রেজোয়ানা আনজুম
সপ্তম শ্রেণী, সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঝালকাঠি

কিআ: বিড়াল নিয়ে কবে সংখ্যা হবে, তা জানিয়ে দেব আগামী সংখ্যায়। তোমরা লেখা নিয়ে রেডি হও। ঘোষণা আসছে।