প্রিয় কিআ,
শুরুতেই তোমাকে তোমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তুমি জানো, আমি তোমার অন্ধভক্ত। প্রতিবার যখন ডেলিভারি বয় তোমাকে দিয়ে যায়, আমি গোগ্রাসে তোমার সব গল্প শেষ করে ফেলি। আর সামনে তো চশমা সংখ্যা আসছে। আমি এর জন্য লেখা পাঠাব । (ছাপালে খুব খুশি হব)। আর হ্যাঁ, ২৩ অক্টোবর কিন্তু আমার জন্মদিন। তাই আমি চাই, তুমি সবার আগে আমাকে উইশ করো। একটা মজার ঘটনা বলি, আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম, তখন আমি আর আমার বন্ধুরা জন্মদিন নিয়ে আলোচনা করছিলাম। জানতে পারলাম অনীক, সাদিয়া, নিশি আর আমার—চারজনের জন্মদিনই ২৩ অক্টোবর! আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে চারজনের জন্মদিন একই দিনে, তা-ও আবার একই ক্লাসে! কিন্তু আজ সেই বন্ধুদের সঙ্গে আর ক্লাস করা হয় না। একেকজন একেক স্কুলে পড়ছি। তবে মাঝে মাঝে ওদের সঙ্গে দেখা হয়। ভাবছি, যদি তুমি উইশ করো, তবে ওদের আমি দেখাব।
আব্দুল্লাহ আল রাফি
নবম শ্রেণি, দেবীদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়, কুমিল্লা
কিআ: চার বন্ধুর জন্মদিন একই দিনে! দারুণ ব্যাপার। একটা কেকেই চারজনের জন্মদিন পালন করা হয়ে যাবে। কী বলো? তোমাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছ। একই সঙ্গে শুভেচ্ছা তোমার বন্ধু অনীক, সাদিয়া, নিশিকেও। সবাই মিলে আনন্দ করো। ভালো থাকো।
প্রিয় কিআ,
তোমার সেপ্টেম্বর সংখ্যাটা অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে অ্যানিমে নিয়ে লেখা ছাপার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি নিজেও অ্যানিমের অনেক বড় ভক্ত। তো এই সেপ্টেম্বরে তোমার আমার পাঁচ বছরের বন্ধুত্ব পূর্ণ হলো। তো এই পাঁচ বছরের বন্ধুত্বের খাতিরে তোমার কাছে আমার একটা আবেদন আছে। প্লিজ অ্যানিমেকে তোমাদের নিয়মিত বিভাগের অংশ বানিয়ে নাও। যখনই তুমি অ্যানিমে নিয়ে কোনো লেখা ছাপাও তখন সবার আগে আমি ওই লেখাটাই পড়ি। প্লিজ, অ্যানিমকে তোমাদের নিয়মিত বিভাগ বানিয়ে দাও।
বি.দ্র.: আমার এই চিঠি ছাপাও বা না ছাপাও তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অ্যানিমে নিয়ে নিয়মিত লেখা না ছাপালে কিন্তু তোমার নাম Death Note-এ লিখে দেব।
তাসনিমুল হাসান
এসএসসি পরীক্ষার্থী, নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নওগাঁ
কিআ: আরে, অ্যানিমে তো আমাদের নিয়মিতই বিভাগই। মাঝেমধ্যে অনিয়মিত হয়ে যায় অবশ্য, কিন্তু সে জন্য একেবারে ডেথনোট-এ নাম তুলে দেওয়ার হুমকি? এটা তো ঠিক না। আচ্ছা, তুমি যে হুমকি দিচ্ছ, আগে বলো, তুমি কতটা অ্যানিমে-ভক্ত? নিজেকে জানো দেখে মিলিয়ে নাও। তারপর আবার লড়াই হবে। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
সেপ্টেম্বর সংখ্যাটা দারুণ হয়েছে। আমার অ্যাডভেঞ্চার গল্প অনেক ভালো লাগে। ইসমাইল আরমানের ‘অচিন পাখি’ আমার দারুণ লেগেছে। এ ধরনের গল্প পড়লে মনে হয়, ইশ্! আমিও যদি ওই গল্পের একটা চরিত্র হতে পারতাম। অচিন পাখি গল্পের রিয়া চরিত্রে তো আমি নিজেকেই কল্পনা করেছিলাম। খুব ভালো হয় যদি, কিশোর আলোর সব সংখ্যায় একটা করে অ্যাডভেঞ্চার গল্প দাও। আর তোমার কাছে আমার একটা গোয়েন্দা সংখ্যা ছাপার অনুরোধ রইল। ছাপবে কিন্তু।
তাসনিম জামান
দশম শ্রেণি, নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নান্দাইল, ময়মনসিংহ
কিআ: অ্যাডভেঞ্চার গল্প কার না ভালো লাগে বলো। প্রতি সংখ্যায় অ্যাডভেঞ্চার গল্প ছাপলে ভূতের গল্প, হাসির গল্প, সাই-ফাই—এরা মন খারাপ করতে হবে। সবাইকেই সমান সুযোগ দেওয়া দরকার না? তুমি কী বলো?
প্রিয় কিআ,
তোমার সমস্যা কী? আমি আগস্ট মাসে তোমাকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি সেটা সেপ্টেম্বর মাসের সংখ্যায় ছাপাওনি। আবার আমার কথায় কিছু মনে কোরো না। সেপ্টেম্বর মাসের সংখ্যায় অয়ন-জিমির নতুন উপন্যাস দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ইরাবতী কমিকসটাও বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আগামী সংখ্যায় এই কমিকসটার শেষ পর্ব। আচ্ছা, একটা চিঠি সংখ্যা করলে কেমন হয়? তাহলে তুমি যাদের চিঠি এত দিন ছাপাতে পারোনি তাহলে সেখানে ছাপাতে পারবে। আর আমারটাও। ঠিক আছে এখন আমি আমার লেখা শেষ করছি ভালো থেকো।
আইরিশ রহমান
স্টারলিট স্কুল অব ইংলিশ, ঢাকা
কিআ: ভালো বুদ্ধি। চিঠি সংখ্যা করা যায়। তবে সে জন্য তোমাদের অনেক চিঠি পাঠাতে হবে। এত এত চিঠি যেন পুরো কিআ কার্যালয় চিঠিতে ডুবে যায়। পারবে?
প্রিয় কিআ,
তোমার ওপর আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। তোমাকে পড়ে আমি তো হয়ে গেলাম পাগল! বাবাকে প্রতি মাসে বলি কিআ আনতে। আগস্ট মাসে আমি তোমাকে একটি গল্প পাঠিয়েছিলাম। তুমি ছাপাওনি। এবার আমার রাগ নাইনটি ডিগ্রিতে উঠে গেছে। এ চিঠিটা আমার প্রথম চিঠি। না ছাপালে আমি বাবাকে মানা করে দেব তোমাকে যেন আর কখনো ভুলেও না আনে। ও হ্যাঁ আমার কমিকস খুব ভালো লাগে। অন্তত নতুন কমিকস ছাপিয়ে আমার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করো।
উম্মে হালিমা তাসমিয়া
ষষ্ঠ শ্রেণি, বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
কিআ: অতিরিক্ত রাগ উচ্চ রক্তচাপের কারণ। যখন রাগ উঠে যাবে, এভাবে আমাকে চিঠি লিখে পুরো রাগটা ঝেড়ে ফেলবে। দেখবে কত শান্তি। এখন কী ঠিক করলে? বাবাবে বলবে কিছু? নাকি নতুন একটা গল্প লিখে পাঠাবে? দ্বিতীয়টাই মনে হয় তোমার-আমার জন্য ভালো। কী বলো? গল্পই লেখো তাহলে। অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
শুভ জন্মদিন! ভাবতেই অবাক লাগে তুমিও বড় হয়ে গেছ। ৯ বছর...উফফ! অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তোমার জন্য। এভাবেই আমাদের আনন্দ দিতে দিতে বড় হও। আর হ্যাঁ, প্লিজ তুমি একটু মোটা হও তো, যতই বয়স বাড়ছে খালি শুকাচ্ছ!
মাহিমা খান
দশম শ্রেণি, পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল
কিআ: জন্মদিনে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেল তো, একটু মোটা হলাম আবার। এখন আবার ডায়েট করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই আবার দ্বিতীয় টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শুরু। হাতের লেখা ঢিলে হওয়ার জন্য একটু সমস্যায় আছি। প্রায়ই কোনো না কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসতে হচ্ছে। এটার কি কোনো সমাধান তুমি দিতে পারো? উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
স্বস্তিকা বিশ্বাস
সপ্তম শ্রেণি, এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউট, মিরপুর, ঢাকা
কিআ: একটাই সমাধান—প্রচুর পরিমাণে লেখা। তুমি নিয়মিত হাতের লেখা অনুশীলন করো। আমার কাছেই চিঠি লিখলেও কিন্তু হাতের লেখার অনুশীলন হবে। ভালো থেকো।