গল্প পড়ে ভিন্ন জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম

ফ্রিপিক

প্রিয় কিআ,

আজ অনেক দিন পর তোমাকে লিখতে বসলাম (তাই বলে এটা ভেবো না যে অনেক দিন পর তোমাকে পড়তেও বসেছি)। তুমি তো বেশ আনন্দেই আছ। কারণ, গত মাসে তোমার জন্মদিন ছিল। কিন্তু তোমার পাঠকেরা যে মোটেও আনন্দে নেই, তার খবর কি তুমি রাখো? জানো, আমাদের স্কুলে একটা ক্লাস টেস্ট শেষ হতে না হতেই আরেকটা শুরু হয়ে গেছে, যার ২০ শতাংশ আবার বার্ষিক পরীক্ষাতে যোগ করা হবে। তাই পড়াশোনায় এমন চাপে পড়ে গেছি যে কী বলব! তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও তোমাকে পড়তে কিন্তু আমার একদমই সমস্যা হয় না। অক্টোবর সংখ্যার গল্পগুলো কিন্তু অসাধারণ ছিল! প্রতিটি গল্পই পড়তে পড়তে যেন ভিন্ন কোনো জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। তোমার কাছে একটা আবদার আছে (এই প্রথম আবদার)। ‘ক্যারিয়ার ভাবনা’ নিয়ে একটা ফিচার ছাপিয়ো। আর জন্মদিনে কী কী উপহার পেলে, সেটাও জানাতে ভুলো না কিন্তু! সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা, তবু পাঠ্যবইকে সরিয়ে তোমাকে লিখতে বসেছি। এবার বিদায় জানাতে হবে, নয়তো পাঠ্যবই আমাকে বিদায় জানিয়ে দেবে! ভালো থেকো বন্ধু।

মো. আরাফ ইসলাম

নবম শ্রেণি, মুকুল নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: ভালো বিষয় তুলে ধরেছ। আমরা প্রায়ই শুনি তোমরা লেখাপড়ার চাপে পিষ্ট। পড়াশোনা করতে গিয়ে তোমরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হও, জানাতে পারো। আমরা তাহলে বুঝতে পারব তোমাদের কষ্টটা। অক্টোবর সংখ্যার গল্পগুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। মাথায় থাকবে ‘ক্যারিয়ার ভাবনা’র কথাও। আপাতত বার্ষিক পরীক্ষাটা ভালোমতো দাও। তারপরই তো উল্লাস!

আরও পড়ুন