আসলেই একটা ভূত ছিল

মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে বানানো ভূত

প্রিয় কিআ,

হ্যাপি, হ্যাপি, হ্যাপি নিউ ইয়ার! তোমাকে এবং সব কিআ বন্ধুদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ২০২৪ সবার জন্য অনেক সুন্দর হোক। আশা করি, এ বছর আমরা অনেক ভালো করে পড়াশোনা করব, খেলাধুলা করব আর কিআ ও অন্যান্য বইও পড়ব। সবাই সুস্থ থাকব, আনন্দে থাকব। ভালো থাকব, ভালো রাখব।

স্বস্তিকা বিশ্বাস, নবম শ্রেণি, মিরপুর ডেভেলপমেন্ট কমিটি মডেল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: হ্যাপি নিউ ইয়ার, স্বস্তিকা। আশা করি দারুণ কাটবে তোমার নতুন বছর। ভালো থেকো তুমিও।

প্রিয় কিআ,

আমি এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ট্রফি বলছি। এই প্রথম আমি বাংলাদেশে এলাম। এত সুন্দর তোমাদের দেশ! শিবলী-রাব্বিরা যখন আমাকে হাতে করে নিয়ে এখানে এল, নিজেকে তখন মহাতারকা মনে হচ্ছিল আমার। আশা করি, তোমরা আমাকে আর যেতে দেবে না। সেই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশে আসার এই ভ্রমণের কথা ছাপতে ভুলো না যেন। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা তোমার জন্য।

এশিয়া কাপের পক্ষে,

শুভনীল বড়ুয়া, দশম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: প্রিয় ট্রফি, তোমাকে তো আর যেতে দেব না। তবে আমাদের ট্রফি কেসে তোমার নিশ্চয়ই একটু একা লাগছে। শিবলী-রাব্বিরা যে ফর্মে আছে, আশা করি কিছু দিন পর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফিটাও তোমার পাশে চলে আসবে। কী বলো তুমি?

প্রিয় কিআ,

একদিন আমি আমার বাসার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে করিডরে হাঁটছিলাম। আমাদের করিডরে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের লিভিংরুমের জানালা থাকে। আমি হাঁটতে হাঁটতে আমার ডান পাশের জানালায় তাকিয়ে একটা মেয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম। খুব ধীরে ধীরে হেঁটে আমার উল্টা দিকে যাচ্ছিল মেয়েটা। আমি স্বাভাবিকভাবেই ওকে একবার দেখার জন্য বাঁ পাশে ফিরলাম। কিন্তু ওখানে কেউ ছিল না। ততক্ষণাৎ আমার ডান পাশে জানালার দিকে তাকালাম আর দেখলাম মেয়েটা ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছে। আমি বাঁ পাশে আর একবার তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেলাম না। এক দৌড়ে বাসায় ঢুকে দরজা বন্ধ করে চলে গেলাম বেডরুমে। কাঁথা দিয়ে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে শুয়ে পড়লাম। আমি এখনো বুঝি না, যে এটা আমার মনের ভুল ছিল নাকি আসলেই একটা ভূত ছিল। এই ঘটনাটা আমি এখনো কাউকে বলিনি। আশা করি দ্রুতই আমার চিঠির উত্তর দেবে। ভালো থেকো প্রিয় বন্ধু কিআ।

শেহেরীন আনান, অষ্টম শ্রেণি, মণিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা

কিআ: আমার ধারণা ওটা তোমার মনের ভুল। ভূত হলে নিশ্চয়ই তোমার সঙ্গে দেখা না করে গটগট করে হেঁটে চলে যেত না। আর যদি ভূত হয়, তাহলে খুবই ব্যস্ত ভূত। কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে তোমাকে ভয় দেখানোর সময়ই নেই ওর। তাই, ভয়ে পেয়ো না। এ নিয়ে ভেবো না এত। ভালো থেকো।