কখনো তোমাকে আর চিঠি পাঠাইনি

চিঠিছবি: সংগৃহীত

প্রিয় কিআ,

কেমন আছ? আমি তোমার অনেক পুরোনো বন্ধু। সেই ক্লাস সিক্স থেকে তোমাকে নিয়মিত পড়ি। তোমার চিঠিপত্তর বিভাগ আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি অনেকবার চিঠি লিখেছি; কিন্তু এ পর্যন্ত কিছুই পাঠায়নি। প্রতিবার চিঠি লিখতাম আর নিজে নিজে পড়তাম। এক-দুবার পড়ার পর মনে হতো, এত বাজে চিঠি কিআ কখনোই ছাপাবে না। তাই কখনো তোমাকে আর চিঠি পাঠাইনি। আর দুই মাস পর আমার এইচএসসি পরীক্ষা। ১০ থেকে ১৯ বছরের ছেলেমেয়েদের কিশোর–কিশোরী বলে। খেয়াল করে দেখলাম, কিশোরী থেকে বুড়ি হতে বেশি দেরি নেই। তাই ভাবলাম, আমার এত বছরের বন্ধুকে একটা চিঠি দিতে এত কিসের ভয়! কিসের লজ্জা! লিখে ফেললাম চিঠি।

আমার ভয়, লজ্জা সব ভেঙে তোমাকে দিলাম আমার প্রথম চিঠি। তুমি না ছাপালেও কোনো কষ্ট নেই। কারণ, এই চিঠি ছাপানোর জন্য নয়, বরং আমার ভয় ভেঙে তোমাকে প্রথম চিঠি দিয়েছি এ জন্য। আর যদি ছাপাও, তবে সেটা হবে আমার উপরি পাওনা। অনেক অনেক ভালোবাসা তোমাকে। তুমি সারা জীবন আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।

উইনি অর্পিতা দাস

দ্বাদশ শ্রেণি, পাবনা কলেজ, পাবনা

কিআ: আমার হাতের লেখা তোমার মতো এত সুন্দর হলে আমি প্রতিদিন সবাইকে চিঠি লিখতাম। এত সুন্দর হাতের লেখা তোমার, আর তুমি এত দিন একটা চিঠিও লিখলে না? এটা কোনো কথা? জরিমানা হিসেবে পরীক্ষার পর প্রতি মাসে তোমাকে চিঠি লিখতে হবে। সঙ্গে অন্য লেখাও। কারণ, তোমার লেখাও বেশ ভালো। পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল। আমার ধারণা, হাতের লেখা দেখেই শিক্ষকেরাও তোমাকে বাহবা দেবেন। ভালো থেকো।

আরও পড়ুন