কিআ নিয়ে ঝগড়া

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

নিশ্চয় ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। এই ছুটিতে কিছু করার নেই, তাই ভাবলাম তোমাকে একটা চিঠি লিখি। জানো, এই মে মাসের ২৭ তারিখ আমার জন্মদিন এবং তোমার সঙ্গে এক বছর। তুমি খুব মজার। তাই তো আমি আর আমার বোন তোমাকে এতো পছন্দ করি, কিন্তু মাঝেমধ্যে তোমাকে নিয়ে আমাদের ঝগড়া লাগে। ভালো থেকো।

শ্রেয়ান সনজিব সিংহ
চতুর্থ শ্রেণি, নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা

কিআ: সেকি! ঝগড়া লাগে কেন? দুজনই তো কিআ পড়তে পছন্দ করো। তাহলে একসঙ্গে বসে পড়ে ফেললে হয় না? দেখো চিন্তা করে। তোমাকে আর তোমার বোনকে অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থেকো তোমরা (ঝগড়ামুক্ত থেকো)।

প্রিয় কিআ,

তোমার সঙ্গে আমার কীভাবে পরিচয় হয়, সে কথা এখনও মনে আছে। আব্বু ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তোমাকে নিয়ে এলেন। আব্বু বললেন যে হকার আঙ্কেল এখন থেকে বাসায় কিআ দিয়ে যাবে। যে দিন পেলাম তোমাকে, সেই দিনই পড়া শেষ। পরদিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেখি প্রথম আলো আছে, কিন্তু তুমি নেই। আব্বুর কাছে নালিশ করলাম যে হকার আঙ্কেল তোমাকে দেয়নি। আমি তখনও জানি না যে এটা মাসিক পত্রিকা। পরে আব্বু যখন বুঝিয়ে বললেন, আমার এতো মন খারাপ হলো, বলার মতো না।

সেই থেকে আমি তোমাকে প্রতি মাসে পাওয়ার পর এক দিনেই পড়ে শেষ করে ফেলি।

বি.দ্র. একটু সাহায্য দরকার। আমি কিআড্ডাতে অংশ নিতে চাই। এ জন্য কী করতে হবে?

মায়িশা ইসলাম
সপ্তম শ্রেণি, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ফেনী

কিআ: ক্যাডেট জীবন কেমন লাগছে? তুমি কিন্তু তোমার ক্যাডেট জীবন নিয়ে লেখা পাঠাতে পারো। কিআড্ডায় অংশ নেওয়ার নিয়ম চিঠিপত্তর বিভাগের শেষেই দেওয়া আছে। কিন্তু তুমি তো ক্যাডেট কলেজে পড়ো। সেখান থেকে কীভাবে কিআড্ডায় অংশ নেবে? ছুটিতে ঢাকা এলে অবশ্য কিআড্ডায় চলে আসতে পারো।

প্রিয় কিআ,

তোমার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। ৯ বছর ৩ মাস ধরে আমার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তুমি। ক্লাস থ্রিতে পড়া শিশু থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়া শিশু (১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু) হয়ে গেলেও তোমাকে কখনো চিঠি পাঠানো হয়নি। একাধিকবার চিঠি লিখতে বসলেও কখনো সেই চিঠি পাঠায়নি এই ভয়ে যে তুমি হয়তো ছাপবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সাহস করে তোমাকে চিঠি পাঠাচ্ছি। এ চিঠি পাঠানোর উদ্দেশ্য তোমার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যখনই আমার মন খারাপ হয়েছে, পাশে পেয়েছি তোমাকে। তোমাকে একবার পড়া শুরু করলেই মনটা ভালো হয়ে যেত (যখন এই চিঠি লিখছি, তখনো আমার মন খারাপ)। তোমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আছি দেখেই আমার স্বাস্থ্যের এই করুণ দশা দেখে আমি মর্মাহত। সবাই ডায়েট করছে দেখে তোমাকেও যে তা করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। ঠিকমতো খাবার খেয়ে মোটাতাজা হও। তোমার কিছু হলে আমরা পাঠকেরা কিন্তু অনেক কষ্ট পাবো। দোয়া রইল, তুমি আরও বড় হও, রঙিন করে তোলো আরও অনেক পাঠকের জীবন।

নুসরাত জাহান
হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা

কিআ: তুমি কিন্তু কাজটা ভালো করোনি। এত দিন চিঠি না লিখে চুপচাপ থেকেছ। এতে সুন্দর–গোছানো চিঠি পড়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা সবাই। এমন ভুল আর করবে না, ঠিক আছে? নিয়মিত লিখবে। আসলে আমাদের কাছেও এই ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত লাগে। প্রতিবছর তোমাদের ক্লাস বদলাতে থাকে। ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থী আস্তে আস্তে পেরিয়ে যায় স্কুল–কলেজের গণ্ডি। তারপর ভুলেই যায় আমাদের। তুমি আবার ভুলে যাবে নাকি আমাদের? তোমার জন্য শুভকামনা। মন ভালো রেখো। ভালো থেকো।