প্রিয় কিআ,
স্কুল খুলে গেছে! অনেক খুশি আমি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে কিছুটা দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। তা–ও দেড় বছর পর আবার সবকিছু শুরু, বেশ ভালো লাগছে। কিন্তু একটা সমস্যা আছে। জানো সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে আমার, এত দিন জমিয়ে ঘুম দিয়ে এখন ওটাই প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে। আমার কিন্তু দোষ নেই, বিশ্বাস করো। কারণ, আমি যতবার উঠতে চাই, আমার বিছানা আর বালিশ মিলে ষড়যন্ত্র করে আমার ওপর ভয়ানক চাপ সৃষ্টি করে। তখন আমি না পারি পালাতে, না পারি সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে। এখন তুমিই পারো আমাকে বাঁচাতে। আমাকে এই অতিরিক্ত ঘুমের কিছু সমাধান দিয়ো প্লিজ, আর একটু ওজন বাড়াও, বাতাসে উড়ে যাচ্ছ তো। ভালো থেকো আর আমাদেরও ভালো রেখো।
আনিকা মুস্তারিন
কিআ: আরে, আমারও তো একই অবস্থা! অ্যালার্ম দিয়ে রাখি একগাদা, টেরই পাই না। তারপরও তোমাকে আমি অবশ্যই এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় বাতলে দেব, তার আগে একটু ঘুমিয়ে নিই…এই অল্প একটু…তারপর বলছি….
প্রিয় কিআ,
আমার আপু একদিন কিআ পড়ছিল। হঠাৎ আপুকে রান্নাঘরে সাহায্য করতে ডাক দিল আম্মু। তখন আমি আমার আপুর কিআ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। কিন্তু আপু হুট করে চলে এসে স্পয়লার দিয়ে দিল। তখন সেই গল্প পড়তে আর ইচ্ছাই হলো না আমার। আচ্ছা, তুমি কি আমার আপুকে বকে দিতে পারবে?
এস এম ফয়সাল জামান
চতুর্থ শ্রেণি, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া
কিআ: বকে দিয়ে বিপদে পড়ব নাকি? পরে দেখা গেল, তোমার আপু চিঠি লিখে আমাকে কোনো কিছুর স্পয়লার দিয়ে দিল। তোমাদের সব চিঠি তো আমাকে পড়তেই হবে। তখন কী বিপদে পড়ব, ভেবে দেখেছ? এক কাজ করো, তুমি আপুকে পাল্টা স্পয়লার দিয়ে দাও। তবে বড় আপু তো, খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না। দেখো, ভাবো।
প্রিয় কিআ,
জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আর ধন্যবাদ সেপ্টেম্বরে এত সুন্দর একটা সংখ্যা ছাপানোর জন্য। আমি তো এবারের প্রচ্ছদ দেখেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, মেসিকে আমার খুব ভালো লাগে। এবারের গল্পগুলোও ছিল অসাধারণ। আচ্ছা, কিআতে আর কৌতুক ছাপানো হয় না কেন? যা–ই হোক, তুমি তো বয়সে একটু বড় হলে, এবার তো শরীরেও বড় হতে হবে, তা–ই না? তাই তুমি বেশি করে গল্প, কবিতা খেয়ে বড় হও। আমি আবার আগের কিআ ফেরত চাই! ভালো থেকো, প্রিয় কিআ।
ইসরাত জাহান
নবম শ্রেণি, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রংপুর
কিআ: ধন্যবাদ ইসরাত। চিন্তা কোরো না। ব্যাপক পরিমাণে গল্প-কমিকস খাচ্ছি। এবার দেখো, আটটি গল্প। দ্রুতই মোটা হয়ে যাব, দেখো।
প্রিয় কিআ,
শুভ জন্মদিন। আশা করি, ভালো আছ, কিন্তু আমি ভালো নেই। তুমি আমার চিঠি ছাপবে নাকি তা নিয়ে টেনশনে আছি। আমি প্রায় এক বছর তিন মাস পর কিআ পড়ছি, তা-ও আমার ফ্রেন্ড সোহানার জন্য। সোহানাকে অনেক ধন্যবাদ। আর জানো তোমার, আমার আর আমার আব্বুর বার্থডে একই মাসে। আর শোনো, প্লিজ আমাকে টেনশনমুক্ত করো। কার্ডটা কেমন লাগল জানিয়ো।
জাইমা জাহান
সপ্তম শ্রেণি, আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
কিআ: অসাধারণ কার্ড বানিয়েছ, জাইমা। দারুণ। ধন্যবাদ তোমাকে। আর তোমাকে, তোমার আব্বুকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ওহ, সোহানাকেও তো ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ধন্যবাদ, সোহানা। তোমরা সবাই ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
আমি যখন প্রথম কিআ পাই, তখন আমার বয়স ছিল ছয় বছর। মা আমাকে কিআর প্রথম দুটি সংখ্যা কিনে দিয়েছিল। আমি শুধু প্রচ্ছদটাই দেখতাম। কারণ, তখন অত ভালো করে পড়তে পারতাম না। রাতে ঘুমানোর আগে মা আমাকে ‘আমরা সবাই রাজা’র লেখাগুলো পড়ে শোনাত। তখন থেকেই আমার কিআ ভালো লাগতে শুরু করে। এরপর মা আমাকে প্রতি মাসে কিআ কিনে দিত, আমি আস্তে আস্তে নিজে থেকে পড়া শুরু করলাম। প্রথমে আমি শুধু কৌতুক আর কুইজগুলো পড়তাম, এরপর ‘আমরা সবাই রাজা’র লেখাগুলো পড়া শুরু করি, এরপর গল্প, সবশেষে ফিচার। এখন আমি কিআ পুরোটাই পড়ি।
আমি গান গাইতে অনেক ভালোবাসি। বিভিন্ন ভাষার গান শুনতেও ভীষণ ভালোবাসি। আমি বাংলা, ইংরেজি, কোরিয়ান, জাপানিজ ইত্যাদি ভাষার গান শুনি। কে–পপ শুনতে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। আমার আরও অনেক ভাষা ও জনরা জানার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সেটা কীভাবে করব, বুঝতে পারছি না। তাই তুমি বিভিন্ন ভাষা ও জনরার বিখ্যাত গান ও শিল্পীদের নিয়ে একটা সংগীত সংখ্যা বের করবে প্লিজ? আর ‘নিজেকে জানো’ বিভাগটা সব সংখ্যায় রাখার চেষ্টা করো প্লিজ।
এর পর থেকে চিঠির পাশাপাশি আস্তে আস্তে গল্প, ফিচার—সব পাঠাব। তুমি ভালো থেকো।
শুভ জন্মদিন।
সিদরাতুল মুনতাহা
অষ্টম শ্রেণি, নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা
কিআ: খুব ভালো আইডিয়া। অনেক দিন ধরে আমরাও ভাবছি মিউজিক সংখ্যা করার কথা। করব। তবে সেখানে তোমাকেও লিখতে হবে। নইলে কে লিখবে এত লেখা? লেখার অপেক্ষায় রইলাম।