আলো ছড়িয়ে যাও কিআ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

তুমি যে আমার জীবনটা কীভাবে বদলে দিয়েছ, আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না। আগে আমার জীবনের সব জ্ঞান শুধু পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর একদিন বাবা কিআ এনে দিল আর তখন থেকে চলছে আমার জ্ঞান অন্বেষণ। তোমাকে পড়ার অভ্যাস হওয়ার পর আমি অনেক গল্পের বই পড়া শুরু করেছি। জানো, বন্ধুদের মধ্যে গল্প হলে আমি বিজ্ঞানীদের মজার মজার গল্পগুলো বলতে পারি এখন। পিথাগোরাস যে থেলিসের ছাত্র ছিলেন, ইরাতোস্থিনিস কীভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বের করলেন, মাশরাফির ডাকনাম যে কৌশিক ছিল, নিলস ওলাভ নামে একটা পেঙ্গুইন যে নাইটহুড খেতাব পেতে পারে—সব যখন বন্ধুদের বলি, ওরা অবাক হয়ে যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কথা উঠলে সপ্তর্ষিমণ্ডলের সাতটি তারার নাম যখন বলে দিই, সবাই তাকিয়ে থাকে। যখন জিজ্ঞেস করে, ‘কীভাবে পারো এসব?’ তখন আমাদের বীজমন্ত্রটি বলে দিই যে ‘আমার পৃথিবী অনেক বড়।’

এভাবেই আলো ছড়িয়ে যাও কিআ। অনেক দূরে নিয়ে চলো আমাদের, যেখানে কিছুই আর অজানা থাকবে না। পাশে থেকো।

সানজিদা পারভেজ

এসএসসি পরীক্ষার্থী, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: অনেক ধন্যবাদ সানজিদা। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তোমাকে পেয়ে পড়ার পর মনে হচ্ছিল, কী যেন খুঁজে পাচ্ছি না। পরে বুঝলাম, ‘আমরা সবাই রাজা’ কোথায় হারিয়ে গেছে! আসলেই সে হারিয়ে গেছে, নাকি বেড়াতে গেছে?

তবে এবারের কিআ আমার খুব ভালো লেগেছে। ১১টি রূপকথা, ৬টি কমিকস! এর আগে কখনো এতগুলো দেখিনি!

রোকাইয়া জাহীন

অষ্টম শ্রেণি, চকরিয়া গ্রামার স্কুল, কক্সবাজার

কিআ: আচ্ছা, ‘আমরা সবাই রাজা’ বেড়াতে গিয়েছিল। যখন দেখল, এবার ১১টি রূপকথা আর ৬টি কমিকস ছাপা হতে যাচ্ছে, তখনই সে ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে ভ্রমণে বের হলো। এক মাস পর আবার ফিরে এসেছে। এবার আর তাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি না।

প্রিয় কিআ,

ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আবার রূপকথা খুব পছন্দ করি কিনা!

তোমার কাছে আমার একটা আবদার। আমি প্রোগ্রামিংয়ের কিছুই বুঝি না। আমি চাই আমার মতো যারা এটা বোঝে না,  তাদের জন্য তুমি প্রোগ্রামিং নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ফিচার ছাপাবে। রাখবে তো আমার কথা?

সানজিদা সুলতানা

নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, একাদশ শ্রেণি, নোয়াখালী

কিআ: অবশ্যই রাখব। কারণ, আমিও প্রোগ্রামিংয়ের কিছু বুঝি না। তোমাদের সঙ্গে আমারও প্রোগ্রামিংয়ের হাতেখড়ি হয়ে যাবে এ সুযোগে। যাকে বলে এক বলে দুই উইকেট!

প্রিয় কিআ,

জানো, তুমি আমার কত্ত কাছের বন্ধু? আমি আজ একা একা সাইকেল চালিয়ে তোমাকে কিনে নিয়ে এসেছি। তা–ও আবার ভরদুপুরে। আমি অঙ্ক আর পদার্থবিজ্ঞানের অন্ধ ভক্ত। মিথ্যা নয়, সত্যি সত্যি। আমি খুব তাড়াতাড়ি অনেক কঠিন অঙ্ক নির্ভুলভাবে করতে পারি। আর আমি অনলাইনে পদার্থবিজ্ঞানের বড় ক্লাসের পড়াও পড়ে ফেলেছি। তবে সমস্যা হলো, আমার হাতের লেখা অনেক ধীরগতির ও অস্পষ্ট। এ কারণেই অন্যান্য বিষয়ে কম নম্বর আসে। যদি আমার হাতের লেখা ভালো হতো, তবে রোল আর ৩-৫-৭ নয়, ১-২ হতো। তাই তোমার কাছে একটা অনুরোধ, চিঠি ছাপো না ছাপো কিন্তু হাতের লেখা নিয়ে কিছু একটা ছাপবে।

সৈয়দা রুশদা

ষষ্ঠ শ্রেণি, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা

কিআ: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ! আমি তো অঙ্ক নিয়ে খুবই আতঙ্কে থাকি সব সময়। তুমি যেহেতু অঙ্ক আর পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ, তুমিই পারো আমাকে সাহায্য করতে। কঠিন এই বিষয় দুটো নিয়ে একটু সহজ করে লেখা পাঠাও না আমাদের। বিনিময়ে তোমার হাতের লেখা ঠিক করার টিপস দিয়ে দেব।